আকিকা করার নিয়ম
আকিকা বরকত:
সন্তান-সন্ততির পক্ষ থেকে আকিকা করলে সন্তানাদি সব ধরনের বিপদ-আপদ এবং দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকে।
যে বাচ্চার পক্ষ থেকে সঠিকভাবে আকিকা করা হয় সে বাচ্চা সুস্থ ও ভালো থাকে (ফতোয়া রহিমিয়া দ্বিতীয় খন্ড ৯০ পৃষ্ঠা )
আকিকার সুন্নত তরিকা
আকিকার সুন্নত তরিকা বাচ্চার জন্মের পর তার সুন্দর একটি নাম রাখতে হবে, এবং সপ্তম দিনে উদাহরণ স্বরূপ যদি বৃহস্পতিবার বাচ্চার জন্ম হয় তাহলে বুধবার আর শুক্রবার জন্ম হলে বৃহস্পতিবার কুরবানীর জানোয়ারের মত এক বছরের একটা ছাগল জবাই করবে, জবেহের পর সন্তানের মাথা নেড়ে করে দিবে এবং মাথার চুলের ওজনের সমপরিমাণ রুপা বা রুপার দাম দান করে দিবে। (তিরমিজি প্রথম খন্ড ২৭৮ পৃষ্ঠা)
আকিকা করা সুন্নত তরিকা:
জন্মের সপ্তম দিনে করা সুন্নাত, কিন্তু যদি কোনো কারণে সপ্তম দিনে করতে না পারে তাহলে ২১তম দিনে অবশ্যই করা উচিত। কেননা যেমনি আকিকা করা সুন্নাত তেমনই নির্ধারিত দিনে করাও সুন্নাত। সুতরাং ২১তম দিনের পরেও দেরি করলে আকিকা নির্ধারিত দিনে করলে যে সওয়াব পাওয়া যেত তা থেকে বঞ্চিত থাকবে। তখন শুধু আকিকার দাইত্ব পালন হবে। (ফাতহুল বারি ৯/৫৯৪ পৃষ্ঠা)
আকিকায় ছেলে সন্তানের জন্য দুটো ছাগল:
যদি আল্লাহ তা’য়ালা কাউকে সচ্ছলতা দিয়ে থাকেন তাহলে তার জন্য সুন্নাত হল ছেলের পক্ষ থেকে দুটো ছাগল জবাই করবে। আর মেয়ের পক্ষ থেকে একটা ছাগল। আর যদি কোন ব্যক্তি অসচ্ছল হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য ছেলের পক্ষ থেকে একটা ছাগল জবাই করলেও সুন্নাত আদায় হবে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত হাসান (রা.) এর পক্ষ থেকে একটা ছাগল যবেহ করেছিলেন। (তিরমিজি ১/২৭৮)
আকিকার গোশতের হুকুম:
অনেকেই মনে করেন আকিকার গোশত পিতা-মাতা খেতে পারবে না বা আত্মীয় স্বজন খেতে পারবে না এটি সঠিক নয়। বরং আকিকার গোশতের হুকুম কুরবানীর গোশত নেয়। অর্থাৎ আকিকার গোশত ৩ভাগে ভাগ করে একভাগ আত্মীয়-স্বজনের, এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের, আরেক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য ব্যবহার করতে পারবে এবং আকিকার গোশত সবাই খেতে পারবে।