ইসলাম ধর্মে কুরবানী, যদিও প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু, ইয়াহুদ, নাসারাদের ধর্মে মিশর, ইউনান, প্রভৃতি দেশে কুরবানীর প্রচলন ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মে কুরবানীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কুরবানী ইসলাম ধর্মে একটি অন্যতম ইবাদত এবং নিদর্শন।
মহান আল্লাহর ভাষায়:
পবিত্র মক্কা নগরীতে কোরবানি করা জন্তুকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর একটি নিদর্শন করেছি। এর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ। (সূরা হাজ ৩৬)
এজন্যই ইসলাম ধর্মে কুরবানী শুধু রুসুম বা প্রথা নয়; বরং আল্লাহ তায়ালার জন্য একটি বিশেষ ইবাদত। নামাজ, রোজা ইত্যাদি এবাদত যেমন আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে হয়না, তেমনি কুরবানি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য হয় না।
এ মর্মে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন:
আপনার প্রতিপালকের জন্য নামাজ পড়ুন ও কুরবানী করুন।
আল্লাহ তা’য়ালা অন্যত্র বলেন: অবশ্যই আমার নামাজ আমার কুরবানী আমার জীবন ও আমার মরণ সবকিছুই মহান প্রতিপালকের জন্য। (সূরা আনআম ১৬২)
এজন্য ফুকহায়ে কেরাম লিখেন, কুরবানী আদায়ের জন্য শাব্দিক নিয়ত শর্ত নয়; বরং অন্তরের বিশুদ্ধ তাই যথেষ্ট। কেননা গোশত ও রক্তের প্রবাহ কোন কিছুই আল্লাহ তা’য়ালা পর্যন্ত পৌঁছে না, পৌঁছে শুধু তোমাদের খাঁটি নিয়ত এবং তাকওয়া।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
অর্থাৎ আল্লাহর নিকট গোস্ত বা রক্ত কিছুই পৌঁছে না। পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। হযরত ইবরাহীম (আ) এর মত উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং আবেগ নিয়ে আমাদেরকে কুরবানী করতে হবে। তাহলেই আমাদের কুরবানী সার্থক।