করোনায় আক্রান্ত হলে করণীয় কি?
প্রিয় ভাই, ভালোভাবে হাত ধোয়া মাস্ক পরা কোন ভাইরাস আক্রান্ত না হওয়ার অনেক উপায় বাতলে দেয়া হচ্ছে, কিন্তু ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গেলে কি করবেন এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা কিন্তু হচ্ছেনা। অজ্ঞতার কারনে অজানা আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়ছে মানুষ।
ইনশাআল্লাহ এ ভিডিওতে জানানোর চেষ্টা করব করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে বা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেলে আপনি কি করবেন।
পোস্টটি বা ভিডিওটি শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ রইল।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৫% মারাত্মক অসুস্থ হয়। এদেরকে হাসপাতালে রেখে নিবিড় পরিচর্যা করার প্রয়োজন পড়ে। ১৫% রোগী নিউমোনিয়া বা প্রচন্ড শ্বাস কষ্টে ভোগেন।
এ ভিডিও এসব মুমূর্স রোগীদের জন্য নয়, ৮০% করোনা রোগী মৃদু অসুস্থতা বোধ করেন। এরা বাড়ীতে থেকে সুস্থ হবার সক্ষমতা রাখে সময় লাগে ২-৩ সপ্তাহ।
করোনায় আক্রান্ত হলে আমাদের করণীয় কি কি?
১. জ্বর সর্দি কাশি শ্বাস কষ্ট বা গলা ব্যথা দেখা দিলে অনলাইন সেবায় কল করে পরামর্শ নিতে পারেন অথবা নাপা এক্সটেন্ড ফেক্সো ভিটামিন-সি ইত্যাদি সেবন করুন ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে।
আগে থেকেই এজমা থাকলে ইনহেলার রিফিল করে নিন।
২. গরম পানিও পান করতে থাকুন, চা, কফি গ্রীন টি, হার্বাল টি, আদা দারুচিনি দিয়ে গরম পানিও
সুস্থ হয়ে ওঠে অনেক রোগী জানিয়েছেন যে কোন ধরনের গরম পানি ও তাদের দারুণ উপকার করেছে তার অনুভব করেছেন গরম কিছু পান করার সাথে সাথেই আরাম পাওয়া যায়।
৩. একটা পাত্রে গরম পানি নিয়ে মাথার ওপর একটা গামছা রেখে গরম পানির বাস্প নিশ্বাসের সাথে ভেতরে নিন এটাতেও সাথে সাথে আরাম মিলবে পানিতে চাইলে ভেক্সমলও মেশাতে পারেন এটি ওষধের দোকানে পাবেন।
৪, গরম পানি দিয়ে গড়গড় করে কুলি করুন যেহেতু ভাইরাসগুলো গলায় বা সাইনাসে আক্রমন করতে থাকে তাই গরম কিছু ভেতরে নিলে সাথে সাথে শুরু করলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। ভাল হবার সম্ভাবনাও থাকে প্রচুর ।
৫. শাকসবজি ফলমূল খান প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। ফলের জুস ডাবের পানি লেবু মধু কাল জিরা হাতের কাছেই রাখুন।
৬. ঘরের ভেতর নিয়ম মেনে চলতে হবে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। কারো সাথে সরাসরি সংস্পর্শে যাবেন না হাতে হাতে খাবার না নিয়ে দরযায় রেখে যেতে বলুন।
মাস্ক পরুন। কাপড় কাচা সাবান দিয়ে বেশি বেশি হাত ধুতে থাকুন। কফ বা সর্দি যে টিসু ব্যবহার করে মুছে ফেলেছেন সেটা নষ্ট করে ফেলুন।
সর্দি কাফ মুছার জন্য কাপড় ব্যবহার করলে ব্যবহারের পর সেটি নষ্ট করে ফেলুন অন্য কাউকে দিয়ে ধুয়ে নিয়ে আবার ব্যবহার করবেন না।
৭. চশমা মোবাইল চাবি ইত্যাদি ভাল ভালমত পরিষ্কার করুন পারলে আলাদা বাথরুম ব্যবহার করুন একি বাথরুম ব্যবহার করলে ভাল ভাবে পরিস্কার করুন।
৮. উঠানে বাব্যালকনিতে যেতে পারবেন তবে অবশ্যই মাস পরে কোনো কিছু স্পর্শ করলে সেটি ভালোমতো স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে
৯. ফোনে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কথা বলুন যে কাজগুলো করার মত সময় পান না সেই কাজগুলো করে ফেলুন এই ফাঁকে, বই পড়ুন বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করুন,
আল্লাহর কাছে মাফ চান দোয়া করুন, ইসলাকিক লেকচার শুনুন, নিজেকে ব্যস্ত রাখুন অলস বসে থাকলে অজথা বসে থাকলে ভয় পেয়ে বসবেন। তাই বলে মুভী, নাটক গান দেখবেন না। অন্তত এই সময় আল্লাহর অবাধ্য হোয়েন না।
১০. ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক অসুস্থ মানুষ ঘরে একাকী থেকেই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন, যদি আপনার অতিরিক্ত শ্বাস কষ্ট হয় জ্বর ১০২ ডিগ্রির বেশি হয় ওষুধেও না কমে তাহলে হাসপাতালে ফোন করে জানতে চান এখন কি করনীয়।
আপনি হাসপাতালে ভর্তি হবেন কিনা যদি হাসপাতালে যেতে হয় তাহলে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যেমন বাস সি এন জি রেকশা বা পাঠাও উভার এড়িয়ে চলুন। এম্বুলেন্স ব্যবহার করুন।
১১. অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে গেলেও ঘর ছেড়ে বেরোবেন না অনেকেরই একবার ভালো হবার পর আবার ভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে এতদিন যেহেতু কষ্ট করলেন সেহেতু ১৪দিনের কোঠাটা একেবারেই পূরণ করে আসুন
প্রিয় ভাই ও বোন আমাদের নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হবে। ঘরেই থাকুন অযথা ওসুক লুকিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আপনার আশেপাশের মানুষের বিপদ ডেকে আনবেন না আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন।