তাবিজ নেয়া যাবে কি?

তাবিজ নেয়া যাবে কি?

তাবিজ কবজ কি? তাবিজ লোহা তামা দ্বারা তৈরি এক জাতীয় উপকরণ। যার মধ্যে কোরআনের আয়াত বা অন্য কোন কিছু লিখে ব্যবহার করা হয়। তাবিজ সাধারণত ব্যবহার করা হয় রোগ শোকের বিভিন্ন কারণে এ প্রচলনটি ভারতবর্ষে দেখা যায় অন্যান্য কোন কোন দেশেও পাওয়া যায়। তাবিজ ব্যবহার নিয়ে নানা ধরনের মতবাদ রয়েছে অনেকেই বলেছেন তাবিজ ব্যবহার করা শিরক্ আবার অনেকে বলেছেন জায়েয।

টাকা কামানোর সহজ উপায়

কোন শর্তে জায়েয তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. ইউসুফ কারযাভী বলেছেন, তিনটি শর্তে তাবিজ নেয়া যায় ।

১. তাবিজ সুস্পষ্ট আরবী অক্ষরে লেখা হতে হবে। দুর্বোধ্য আঁক ঝোক ও নকশা দিয়ে লেখা যাবে না। ২. কোরআনের আয়াত বা আল্লাহর নাম দ্বারা তাবিজ লিখতে হবে। ৩. তাবিজের কোন শক্তি নেই, আল্লাহই ভাল করেন এ বিশ্বাস নিয়ে তাবিজ লিখতে হবে ও গ্রহণ করতে হবে। তবে তাবিজ ঝুলানো পরিবর্তে আয়াত বা দোয়া মুখস্থ করা ভাল। তার কয়েকটি কারণ আছে।

(১) কোরআনের আয়াত লিখে তাবিজ দেয়ার অভ্যাস সমাজে গড়ে উঠলে এক সময় সাধারণ মানুষ হিন্দু, বৌদ্ধ বা মগের কাছে তাবিজের জন্যে যাওয়া শুরু করবে । আমরা বাংলাদেশে তথাকথিত তন্ত্র সম্রাটদের যে দৌরাত্মা ও উৎপাত লক্ষ করছি এটি তারই ফলাফল। তাবিজ ব্যবসা মানুষকে ঈমানহারা করতে পারে, নিক্ষেপ করতে পারে দাজ্জালের খপ্পরে ।

(২) কোরআন সম্বলিত তাবিজ যথাযথভাবে সংরক্ষিত না হলে কোরআনের মর্যাদাহানি ও অবমাননা হবে। সাধারণত: টয়লেটে, নাপাক অবস্থায় তাবিজ ঝুলন্তই থাকে । তাতে আল্লাহর নাম ও কোরআনের আয়াতের অবমাননা হয় ।

(৩) মহানবী (সাঃ) কাউকে তাবিজ দিয়েছেন, এই মর্মে কোন হাদীস বর্ণিত নেই । বরং তিনি শিরকযুক্ত জাহেলী যুগের তাবিজ প্রথার বিরুদ্ধে বলেছেন । তিনি বলেন,

التمائم شرك

“তাবিজ হল শিরক।”

Leave a Comment