দাড়ি কর্তনকারী ইমামতি

দাড়ি কর্তনকারী ইমামতি

দাড়ি এক মুষ্টি থেকে কম রাখা হারাম। এবং অন্যান্য কবিরা গূনাহ থেকেও জঘন্যতম, এজন্য যে, উহা প্রকাশ্যে হওয়ার কারণে তাতে ইসলাম ধর্মকে তুচ্ছ করা হয়। এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করা হয়। এই কারণেই ফিকাহবিদগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি রমজান মাসে প্রকাশ্যে পানাহার করে সে অবশ্যই হত্যাযোজ্ঞ।

কেননা সে শরীয়াতের বিরোধিতা করেছে নবীজি (স.) বলেছেন আমার সমস্ত উম্মত ক্ষমার যোগ্য কিন্তু প্রকাশ্যে গোনাহকারীরা ক্ষমার যোগ্য নয়। দ্বিতীয় পার্থক্য হল অন্যান্য গোনাহ বিশেষ কোন সময় হয় কিন্তু দাড়ি কাটার গুনাহ সব সময় নিজের সঙ্গে লেগেই থাকে। ঘুমাচ্ছে তবুও গুনাহ সাথে আছে। এমনকি নামাজ ইত্যাদি এবাদতে রত থাকা অবস্থায়ও গুনাহের মধ্যে লিপ্ত আছে।

লুত (আ.) এর গোত্রের উপর যে সমস্ত কারণে শাস্তি এসেছিল তার মধ্যে একটি দাড়ি কাটাও ছিল (দুররে মানসুর)

মোটকথা দাড়ি কর্তনকারী অথবা মুন্ডনকারী ফাসেক। আর ফাসেকের ইমামতি

মাকরুহ তাহরীমী। এজন্যে এরকম ব্যক্তি কে ইমাম বানানো জায়েয নেই যদি এরকম কোন ব্যক্তি জোরপূর্বক ইমাম হয়ে যায়, অথবা মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক তাকে ইমাম বানিয়ে দেয়। আর কেউ তাকে সরানোর ক্ষমতা না রাখে; তাহলে অন্য কোন মসজিদে ভালো ইমাম তালাশ করবে। যদি পাওয়া না যায়,

তাহলে জামায়াত ছাড়বে না, বরং ফাসেকের পিছনে নামাজ পড়ে নেবে উহার দুর্ভোগ এবং শাস্তি মসজিদের ব্যবস্থাপকদের উপর আসবে। ( আহসানুল ফতোয়া তৃতীয় খন্ড ২৬০ পৃষ্ঠা)

দিবস পালন করা জায়েয?

টাইপ

Leave a Comment