মদ খেলে কি ক্ষতি হয় : চিকিৎসা বিজ্ঞানের সামনে এমন বেশ কিছু রোগের উৎপত্তি পরিষ্কার হয়ে গেছে যেসব রোগে সাধারণত মন-খোৱৱাই আক্রান্ত হয় । মদ এমন একটি ব্যাধি, যার কারণে সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। লক্ষ লক্ষ আদম সন্তান শুধু মদ পানের কারণে পৃথিবী থেকে অকালে ঝরে গেছে। সাধারণত মদ্যপায়ীরাই আক্রান্ত হয় এমন অতি পরিচিত কিছু রোগের একটি ছোট্ট তালিকা নিম্নে দেয়া হলোঃ
১. কলিজা শুকিয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া। যা লিভার সিরোসিস নামে খ্যাত।
২. অগ্ন্যাশয় ও যকৃতের প্রদাহ।
৩. অন্ননালীর ক্যান্সার এবং মাথা, গলা, কলিজা ও মল নালীর ক্যান্সার।
৪. স্নায়ু ও মস্তিষ্কের সমস্ত রোগ।
৫. হৃৎপিন্ডে রক্ত সঞ্চালনের নালীসমূহের সমুদয় রোগ, গলনালী প্রদাহ এবং হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া।
৬. পক্ষাঘাত, সন্যাস রোগ এরকম আরো অন্যান্য প্যারালাইসিস।
৭. হৃদযন্ত্র ত্রিয়া সংক্রান্ত সকল রোগ, হাইপার টেনশান।
এরকম আরো অসংখ্য রোগ রয়েছে।
মাদকাসক্তিই একটি ব্যাধি
চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা মদখোরদের ব্যাপারে এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তারা এটাকে এখন আর নেশা বলছেন না, বলেন এটা নিজেই একটা রোগ। ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ একটা পোষ্টার বের করেছে, তাতে বলা হয়েছে যদি ‘মনই’ রোগ হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীতে এটাই একমাত্র ব্যতিক্রম রোগ যা সুন্দর সুন্দর বোতলে ভরে বিক্রি হয়।
- পর পত্রিকা এবং রেডিও টেলিভিশনের ন্যায় প্রচার মাধ্যমে এর বিজ্ঞাপন করা হয়।
- দেশের জন্য রাজস্ব আমদানী করে।
- মৃত্যুকে যে প্রকাশ্য রাজপথে নিয়ে আসে।
- পারিবারিক জীবন ধ্বংস ও অপরাধ প্রবণতার মূল হোতা।
- মন শুধু একটি রোগ নয় বরং তা শয়তানের কাজ
আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মানুষের জন্য তাঁর সর্বোত্তম নেয়ামত আল-কুরআনে শয়তানের পাতানো এই লোভনীয় ফাঁদ সম্পর্কে আমদেরকে সাবধান করে নিয়েছেন। তাই কুরআনে বর্ণিত জীবন যাপন পদ্ধতিতে দ্বীনুল ফিল্লাহ’ তথা মানুষের প্রকৃতিসম্মত জীবনব্যবস্থা ‘ইসলাম’ বলা হয়। এর সকল বিধি-নিষেধের মূল উদ্দেশ্য মানব প্রকৃতিকে সমস্ত অনিষ্ট থেকে হেফাযত করা।
মদ মানুষকে তার প্রকৃতগত স্বভাবের ওপর থাকতে দেয় না। একথা কোন স্বতন্ত্র ব্যক্তির বেলায় যেমন সত্য তেমনি বৃহত্তর কোন সমাজের ক্ষেত্রেও। এটা মানুষকে নিচে নামিয়ে নিয়ে আসে অথচ মানুষ দাবী করে যে সে সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠতম। সর্বোপরি ইসলামে মদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বা হারাম।