শিরক কাকে বলে ওকত প্রকার?
اِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ اَنْ يُّشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذَالِكَ لِمَن يَّشَاءُ وَمَنْ يُّشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى اِثْمًا عَظِيْمًا–
অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক তাঁহার সহিত শরিককারীকে ক্ষমা করবেন না। এটা ব্যতিত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ পাকের সহিত কাউকে শরিক করে সে এক মহা অপরাধ করল। সূরা নিসা-আয়াত নং- ৪৮।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর : যে ব্যক্তি আল্লাহ্ পাকের জাত ও ছিফাতের সহিত কাউকে শরিক করবে অর্থাৎ অংশীদার বানাবে তাকে শাস্তি দিয়েও আল্লাহ্ পাক ক্ষমা করবেন না বরং তাকে সর্বদা শাস্তির মধ্যে গ্রেফতার করে রাখবেন। কেননা শিরক হচ্ছে সব চাইতে মহাপাপ যা ক্ষমার অযোগ্য।
শিরকের অর্থ ও সংজ্ঞা
শিরকের আভিধানিক অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা। ইসলামী পরিভাষায় উহার অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্ পাকের সত্তা ও গুণাবলীর ব্যাপারে যে আক্বিদা ও বিশ্বাস রাখা জরুরী উক্ত আক্বিদা ও বিশ্বাসের সহিত মাখলুকের মধ্য হতে কাউকে সামিল করাকে শিরক বলা হয়। যার বিস্তারিত বিবরণ নিম্নরূপ-
আল্লাহ্ পাক তাঁর সত্তা এবং গুণাবলীতে এক ও অদ্বিতীয় এবং তুলনাবিহীন মনে করাকে তৌহিদ বলা হয়। এখন যদি কেউ আল্লাহ্ পাকের সহিত সত্তাগত অথবা ছিফাতগত ভাবে মাখলুক হতে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করে তাহাকে মুশরিক বলে। যেমন- শিয়াদের এক অংশের দাবী হল আল্লাহ্ পাকের বিবি ও সন্তান আছে (নাউযুবিল্লাহ্)
বর্তমান কোন এক ভন্ড পীর তার মুরিদদেরকে বলেছে “তোমরা ইল্লিনের মধ্যে আল্লাহর সংগে আমাকে বসা অবস্থায় দেখতে পাবে” যা সুষ্পষ্ট শিরক। মক্কার কাফেরগণ তৎকালীন যুগে মুর্তিকে সিজদা করত যা শিরক হিসাবে গণ্য ছিল। বর্তমানে কেউ যদি পীর অথবা মাজার বা করবরকে সিজদা করে, যে নিয়তেই করুক না কেন উহা স্পষ্ট শিরক হিসাবে গণ্য হবে।
মোট কথা আল্লাহ্ পাকের সত্তার মধ্যে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে একাধিক স্রষ্টা/খোদা মেনে নেয়া। যেমন খ্রিষ্টানরা তিন খোদায় বিশ্বাসী হওয়ার কারণে তারা মুশরিক সাব্যস্ত হয়েছে এবং অগ্নি পুজারিরা দুই খোদা সাবস্ত করায় মুশরিক সাব্যস্ত হয়েছে। একই ভাবে মুর্তি পুজারীরা বহু খোদা সাব্যস্ত করায় মুশরিক বলে গণ্য হয়েছে। সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখিত বর্ণনায় যা বলা হল তাহা শিরক ফিযযাত অর্থাৎ আল্লাহ্ পাকের সত্তার সহিত অংশীদার বানানো উহাকে শিরকে জলিও বলা হয়, যা মারাত্বক গুণাহ্ ।
শিরকের প্রকার ভেদ
শিরক প্রথমতঃ দুই প্রকার। যেমন- ১) শিরক বিল্লাহ্ অর্থাৎ আল্লাহ্ পাকের সহিত কাউকে শরিক বা অংশীদার সাব্যস্ত করা ২) শিরক ফিন্নবুওয়াত অর্থাৎ নবী করিম (সা.) এর নবুওয়াতের মধ্যে শরিক বা অংশীদার করা যাকে বেদআত বলে।
প্রথম প্রকার শিরিক দুই প্রকার। যথা- ১) শিরক ফিযযাত অর্থাৎ আল্লাহ্ পাকের সত্তার সহিত কাউকে শরিক করা বা অংশীদার করা যার বর্ণনা ইতিপূর্বে করা হয়েছে ২) শিরক ফিচ্ছিফাত যা আল্লাহ্ পাকের গুণাবলীর সহিত অংশীদার করা। শিরক ফিচ্ছিফাতের প্রকার অনেক। যার মধ্যে হতে কিছু বিবরণ নিম্নে পেশ করা হলো।
১) আল্লাহ্ পাকের গুণাবলী নামের মূল সংখ্যা নিরানব্বই। উক্ত নামসমূহ হতে কোন একটির সহিত কাউকে অংশীদার স্থাপন করা। যেমন-
القديرক্বাদীর একটি আল্লাহ্ পাকরে গুণবাচক নাম। যার অর্থ ক্ষমতাবান। যার ব্যাখ্যা হচ্ছে নবমন্ডল, ভূমন্ডল তথা সৃষ্টি জগতে যা কিছু ঘটে সব কিছুর উপর এক মাত্র আল্লাহ্ পাকই ক্ষমতার অধিকারী। তিনিই সকল ক্ষমতার মালিক। তার ক্ষমতার মধ্যে কেউ অংশীদার নেই। যদি কেউ কাউকে অথবা কিছুকে উপকার, লাভ-ক্ষতি, সুস্থ-অসুস্থ, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদির মালিক সাব্যস্ত করে অথবা যদি কারো নিকট কাঙ্খিত বস্তু কামনা করে কিংবা জীবিকা অথবা সন্তান-সন্ততি প্রার্থনা করে, নিঃসন্দেহে সে মুশরিক বলে বিবেচিত হবে।
কিছু মানুষ মুসলমান দাবীদার, সুখ-দুঃখ, ধনী-গরীব, সন্তান দাতা সকল হাজত পুরাকারী একমাত্র আল্লাহ্ পাকের হাতে মুখে স্বীকার করে, কিন্তু কোন পীর-বুজর্গের মাজারে গিয়ে সিজদা করতেও দেখা যায়। আবার কোন ভন্ড লোকের দরবারেও কাঙ্খিত বস্তু প্রার্থনা করতে দেখা যায়। যা শিরক বলে গণ্য। রাসুলুল্লাহ্ (সা.) এর ঘোষণা কোন কিছু চাইতে হলে আল্লাহ্ পাকের নিকট চাও এবং সাহায্য প্রার্থনা করতে হলেও আল্লাহ্ পাকের নিকটই সাহায্য প্রার্থনা কর।
২) العليم (আল আলিমু) অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক সর্বকালের, সর্ব যুগের, সর্ব বিষয়ের জ্ঞানী। সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিষয় সম্পর্কে আল্লাহ্ পাক সর্ব অবস্থায় অবগত আছেন। বিশ্বজগের সৃষ্টির সংখ্যা ও পরিমাণ এবং অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, ক্ষুদ্র, বৃহৎ, মানুষের অন্তরযামী, জাহির, বাতেন ইত্যাদি সব কিছুই আল্লাহ্ পাক জ্ঞাত। বিন্দু কণা থেকে শুরু করে সর্ব বৃহৎ সব কিছু আল্লাহ্ পাকের নখদর্পনে। সৃষ্টি জগতের সব কিছুই তাঁর এলমের অন্তরভূক্ত।
যদি কেহ আল্লাহ্ ব্যতিত অন্য কাউকে সর্ববিষয়ে জ্ঞানী রূপে বিশ্বাস করে যেমন- কাহার ব্যাপারে এরূপ বিশ্বাস করে যে অমুক ব্যক্তি আমাদের কাছের বা দূরের অথবা অন্তরের বিষয় সম্পর্কে অবগত আছে এবং অমুক ব্যক্তি আমাদের সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিষয় এমন কি অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ এবং সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, সম্পর্কে অবগত আছে। এমন আক্বিদা বা বিশ্বাস রাখাকে শিরক বলে এবং এমন আক্বিদা পোষণকারীকে মুশরিক বলা হয়। উক্ত আক্বিদা বা বিশ্বাস কোন নবী-রাসূল (সা.) অথবা কোন পীর-বুজুর্গ ব্যক্তির ব্যাপারে পোষণকারীকেও মুশরিক বলা হয়।
ইবাদতের মধ্যে শিরক
আল্লাহ্ পাকের ন্যায় কাউকে ইবাদতের উপযুক্ত মনে করে সিজদা করা, মান্নত করা, কসম করা ইত্যাদি যেমন মাজার বা কবর অথবা পীরকে সিজদা করা বা রুকু করা অথবা আল্লাহ্ ব্যতিত কাহারও নামে রোজা রাখা, দান-সদকা করা, কুরবাণী করা, হালাল প্রাণী জবাই করা ইত্যাদি সুষ্পষ্ট শিরক। কিছু নামধারী মুসলমান পীরকে সিজদা করে এবং তারা বলে আমরা পীরকে তাজিমী সিজদা করি, অথচ নবী-রাসূল (সা.) দের জন্যও তাজিমী সিজদা বৈধ ছিল না
এবং বর্তমানেও কোন পীর, ওলি, কুতুব, আবদাল, জিন্দা-মুর্দা কাহারো জন্য তাজিমী সিজদা বৈধ নয়। কোন পীরের ঘর-বাড়ী, কবর, আসন, আস্তানা, দরবার তাহার ব্যবহারকৃত আসবাব পত্র, কাবা শরীফের ন্যায় প্রদক্ষিণ করা সুস্পষ্ট ইবাদতের মধ্যে শিরক বলে গণ্য।
তাজেমী সিজদার দলিল ও তার খন্ডন
যে সকল মুসলমান নামধারী পীরকে সিজদা করে এবং যে সকল ভন্ডপীর মুরিদদের থেকে সিজদা গ্রহণ করে তাদের দলিল হল-
১) হযরত আদম (আ:) কে ফেরেশতাগণ সিজদা করেছিলেন। এই জন্যে পীর একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে সিজদা করা বৈধ। (নাউযুবিল্লাহ্)
২) হযরত ইউসুফ (আ:) কে তার ভাইরা সিজদা করেছিল এই জন্য মানুষ হয়ে মানুষকে তাজেমী সিজদা বৈধ। বিধায় পীরকে সিজদা করা জায়েজ। নাউযুবিল্লাহ্
১ নং খন্ডন : ১ম দলিলের দ্বারা পীরকে সিজদা করার বৈধতা প্রমাণ করা গাধামী ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ ফেরেস্তা কর্তৃক আদম (আ:) কে সিজদা করা এটা ছিল আল্লাহ্ পাকের পক্ষ হতে ফেরেস্তাদের প্রতি সরাসরি নির্দেশ। যা কোন মানুষকে অন্য কোন মানুষের জন্য আল্লাহ্ পাক হুকুম করে নাই। কোন নবী-রাসূলগণের জন্য তার উম্মতের পক্ষ থেকে সেজদার হুকুম নাযিল হয় নাই।
তাফসীরকারকগণ আদম (আ:) কে সিজদার ব্যাপারে বহু ব্যাখ্যা দিয়েছেন- যেমন-
১) জালালাইন শরীফে উল্লেখ আছে ফেরেস্তাগণ আল্লাহ্র হুকুমে মাথা ঝুকিয়ে আদম (আ:) কে সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন।
২) কাবা শরীফকে যেমন কেবলা বানিয়ে আল্লাহ্ পাক সকল মানব জাতিকে সে দিকে ইবাদতের জন্য হুকুম করেছেন তেমনি ভাবে হযরত আদম (আ:) কে আসমানি জগতে কেবলা বানিয়ে তার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ফেরেস্তাদের সেজদা করার হুকুম করেছিলেন। সুতরাং প্রকৃত পক্ষে ফেরেস্তাদের সিজদা ছিল আদম (আ:) এর দিকে আল্লাহ্ পাকের জন্যে। যেমন আমরা নামায পড়ি কেবলার দিকে। কিন্তু নামাজের সকল ক্রিয়া কলাপ তথা দাঁড়ান, রুকু, সিজদা ও তাছবীহ তাহলিল সব কিছুই আল্লাহর জন্য।
তেমনি ভাবে আদম (আ:) কে সৃষ্টি করার পর আল্লাহ্ পাক তাকে সকল ফেরেস্তা ও সৃষ্টির সেরা হিসাবে প্রমাণ করার জন্য তাকে কেবলা বানিয়ে ফেরেস্তাদেরকে নিজের জন্য সিজদা করার হুকুম করেছিলেন, যা ছিল ফেরেস্তাগণ ও ইবলিস শয়তানের জন্য মহা পরীক্ষা। উক্ত পরীক্ষায় ফেরেস্তাগণ গোল্ডেন প্লাস পেয়ে পাশ করেছিলেন এবং ইবলিস শয়তান অপমানিত ভাবে ফেল করেছিল।
৩। ফেরেস্তাগণ কর্তৃক আদম (আ:) কে সিজদা করা এটাছিল আসমানি জগতের আমল। সুতরাং আসমানি জগতের আমল দ্বারা দুনিয়ার জগতের মানুষ হয়ে মানুষকে সিজদা করার দলিল পেশ করা কোন ভাবেই সঠিক হতে পারে না।
৪। ফেরেস্তাগণ শরীয়তের মুকাল্লাফ তথা শরীয়তের অনুসারী ছিলেন না। এমন কি আসমানি জগতে ঐ সময় শরীয়তের অস্তিত্ব ছিল না। অতএব শরীয়তহীন ফেরেস্তাদের আমল শরীয়তের অনুসারী মানুষের জন্য দলিল হতে পারে না।
৫। ফেরেস্তাগণ নূরের তৈরী। মানুষ মাটির তৈরী। বিধায় ফেরেস্তাদের কোন আমল মাটির তৈরী মানুষের জন্য দলিল হতে পারে না।
২ নং দলিলের খন্ডন : পীর সেজদা জায়েজ বা বৈধতার জন্য হযরত ইউসুফ (আ:) এর ঘটনা দলিল হিসাবে পেশ করা মোটেও ঠিকা নয়। কেননা হযরত ইউসুফ (আ:) এর শরীয়তে সালামের পরিবর্তে সেজদা করে সম্মান প্রদর্শন করা বৈধ ছিল যা শরীয়তে মুহাম্মদী (সা:) এর বিধান হতে সম্পূর্ণ নিষেধ এবং হারাম সাব্যস্ত হয়েছে।
পূর্বের নবীগণের উম্মতের অবস্থার উপর ব্যবস্থা পত্র নাজিল হয়েছিল। যেমন- বনী ইস্রাইলের জন্য নিসাবের হাজার ভাগের এক ভাগ যাকাত ফরজ ছিল, অথচ উম্মতি মুহাম্মদী (সা:) এর শরীয়তে ৪০ ভাগের এক ভাগ ফরজ করা হয়েছে। হযরত আদম (আ:)-এর সন্তানদের মধ্যে পরস্পর ভাই-বোনের মধ্যে বিবাহ বৈধ ছিল। যাহা উম্মতে মুহাম্মদী (সা:) এর শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে। তদরূপ হযরত ইউসুফ (আ:) এর যুগে তার উম্মতের জন্য সেজদায়ে তাজেমী তথা সালামের পরিবর্তে সিজদা করা জায়েজ ছিল। যাহা উম্মতে মুহাম্মদীর শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম ও শিরকে জলি সাব্যস্ত করা হয়েছে।
সিজদায়ে তাজেমীর পরিবর্তে সালামকে তাজিম ও সম্মানের স্থানে রাখা হয়েছে। সালামের নিয়ম ও প্রথা কিয়ামত পর্যন্ত চালু থাকবে এবং মানুষ হয়ে মানুষকে সিজদা করা তথা পীরকে সিজদা করা, মাজার বা কবরকে সিজদা করা, কোন বৃক্ষকে সিজদা করা, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র, মূর্তি মোট কথা আল্লাহ্ পাক ব্যতিত অন্য কারো বা অন্য কিছুকে সিজদা করা কিয়ামত পর্যন্ত রহিত এবং প্রকাশ্য শিরক ফিল ইবাদত হিসাবে গণ্য থাকবে। যারা এ ধরনের শিরক করবে তারা মুশরিক হিসাবে গণ্য হয়ে ক্ষমার অযোগ্য হিসাবে সাব্যস্ত হবে।
কোন পীরকে মুশকীল কুশা, গায়েবের খবর রাখে, হাজির নাজির মনে করা, দূরের খানকা থেকে মুরীদের সকল খবর রাখে মনে করা, মৃত্যুর পর কবরে মুনকার নকিরের প্রশ্নের উত্তর পীর সাহেব দিয়ে দিবেন মনে করা, হাশরের ময়দানে পীর সাহেব পার করবে বিশ্বাস করা, পীর সাহেবের ওজু গোসলে ব্যবহৃত পানির পবিত্র মনে করা, পীরের বাড়ীর দিকে মূখ করে মোনাজাত করা, পীরের সামনে জোড় হাত করে দাঁড়িয়ে থাকা, জোড় হাত করে পিছপা হওয়া, পীরের নজরেই মুিক্তর আশা করা, পীরকে রুহানী পিতা মনে করে পর্দা ছাড়া দেখা সাক্ষাত ও কথা বার্তা বলা
এবং তার মন খুশির জন্য নিজেকে হাওয়ালা করা, নিজের পিতা-মাতা থেকে পীরকে বেশী ভক্তি করা ও হাদিয়া দেওয়া, জীবিত পীরের যে কোন প্রকার সিজদা, মৃত্যু পীরের কবরকে যে কোন প্রকার সিজদা, পীরের ব্যবহৃত চেয়ার, জুব্বা, লেবাস, আসন, খাট-পালঙ্গ ইত্যাদিকে সিজদা করা, পীরের কবরকে মাজারে পরিণত করা, কবরের উপর চাঁদর বা গেলাফ দেওয়া, ফুল দেওয়া, ওরশ করা, মাজারকে গোসল দেওয়া, মাজারে মান্নত করা, পীরের নামে কসম করা, মান্নত করা ইত্যাদি সব কিছুই শিরক হিসাবে গণ্য। যা থেকে মুসলমানদেরকে দূরে থাকা খুবই প্রয়োজন।
কুফর ও শিরকের মধ্যে পার্থক্য
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কর্তৃক আনিত দ্বীনের কোন বিষয় অস্বীকার করাকে কুফর বলে। আর আল্লাহ্ পাকের সত্তা, গুণাবলী অথবা তার কার্যাবলীর সাথে কাউকে অংশীদার স্থাপন করাকে শিরক বলে। কুফর ও শিরক দুইটাই মারাত্বক গুনাহ্ এবং অমার্জনীয়। আততাওবা, আয়াত- ২৮