হেদায়াতুন্নাহু নহব এর লেখক বা মুছান্নিফ
শায়েখ সিরাজুদ্দীন উধী রহ.
জন্ম ও বংশঃ
শায়েখ সিরাজুদ্দীন উসমান চিশতী ততকালীন উপমহাদেশের প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। তিনি ছিলেন যুগশ্রেষ্ট আলেম। তার প্রকৃত নাম উসমান। লকব সিরাজুদ্দিন। জন্ম ও বংশ সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়না। মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি হযরত নিজামুদ্দিন মুহাম্মাদ বদায়ুনীর খানকায় আগমন করেন। সাথে ছিল শুধু মাত্র কিতাবপত্র ও কাগজ-কলম।
শিক্ষা জীবন:
গিয়াসপুরে মাওলানা ফখরুদ্দিনের হাতে তার লেখাপড়া (বিশেষ করে ছরফ) শুরু হয়। উসমানী (বারদী) নামে ছরফের কিতাব লিখে তা ছয় মাসের মধ্যে খুব ভালোভাবে পড়িয়ে তিনি তাকে দক্ষ করে তোলেন। মাওলানা রুকনুদ্দিন আন্দারপতি রহ. থেকে ফিকহ্ ও নাহু শাত্রের কাফিয়া মুখতাসারুল কুদরী, মাজমাউল বাহরাইন প্রভৃতি গ্রন্থ অধ্যয়ন করেন। ৬মাসের মধ্য এসব বিষয়ে এত অধিক যোগ্য হয়ে ওঠেন যে, কোন আলেমের সাথেই এসব বিষয়ে বাহাছ করা তার জন্য কঠিন ব্যপার ছিলনা।
খিলাফত লাভ:
শায়েখ বদায়ুনী যাহেরী ইলম অর্জনের জন্য তার খিলাফত স্থগিত রেখেছিলেন এদিকে দীর্ঘ তিন বছরের মধ্যে যখন তিনি যাহেরী ইলমে দক্ষ হয়েগেলেন, তখন শায়েখ আর জীবিত নেই। অবশ্য শায়েখ তাকে ভুলেননি। ইন্তেকালের পূর্বে তার জন্য খেরকায়ে খেলাফত রেখে যান এবং ভক্তদের অসিয়ত করে যান।
কর্ম জীবন:
দিল্লী থেকে তৎকালীন বাংলায় এসে গ্রামে গ্রামে ঈমান ও ইসলামের আলো প্রজ্জ্বলিত করেন। অজ্ঞতার অন্ধকার, কুসংস্কার, খারাপ রীতিনীতি নিশ্চিহ্ন করেন এবং মানুষকে খাটি দ্বীন উপহার দেন। বেদয়াত উৎখাত করেন। এভাবে দ্বীনের আলো প্রজ্জ্বলিত করেন।
ইন্তেকাল:
শায়েখ সিরাজুদ্দির রহ. ৭৫৮ হিজরীতে পরলোক গমন করেন।
হেদায়াতুন্নাহু এর শরাহ্ ও হাশিয়া এটি এমন একটি অতুলনীয় কিতাব, যার কোন বিকল্প হয়না। কালক্রমে বিভিন্নভাষায় এর অনেক শরাহ ও হাশিয়া প্রকাশিত হয়েছে। যেমন. মিসবাহুন্নাহব, কিফায়াতুন নাহব, শরহে হেদায়াতুন নাহব।