ব্রাশ করলে কি সুন্নাত আদায় হবে? - Brash Korle ki Sunnat Aday Hobe
06:47:29 06/15/2024
ব্রাশ করলে কি সুন্নাত আদায় হবে? : ব্রাশ ও মেসওয়াক এর মধ্যে পার্থক্য কি
দাঁত সুস্থ রাখতে ও পরিষ্কার করতে আমরা নানা ধরনের জিনিস ব্যবহার করে থাকি। যেমন, ব্রাশ অথবা মেসওয়াক।
ব্রাশ আর মেসওয়াক এর মধ্যে পার্থক্য কি: ব্রাশে কি ক্ষতি। আর মিসওয়াকে কি লাভ এবিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল। জীবাণু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগনের সুদীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, ব্রাশ একবার ব্যবহার করার পর অন্যবার ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ ব্রাশ ব্যবহারের দ্বারা দাঁতের মধ্যে জীবাণু ভিত্তি স্থাপন করে। ব্রাশ ধৌত করার পরেও ব্রাশের ফাঁকে জীবাণুগুলো আটকে থাকে।
তাছাড়া, ব্রাশ দাঁতের উপরের উজ্জ্বল ত্বক নষ্ট করে দেয়। যার ফলে দাঁতের মাঝে ফাঁকা সৃষ্টি হয় এবং ক্রমান্বয়ে দাঁতগুলো থেকে মারি আলাদা হতে থাকে। আর খাবারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাগুলো দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে। এবং দাঁতের ব্যাপক ক্ষতি করে।
মিসওয়াকের গুরুত্ব: এমন গাছের মেসওয়াক ব্যবহার করা উচিত যা দাতের জন্য উপযোগী, নরম ও কোমল। দাঁতের মাঝে ফাঁকা বৃদ্ধি করে না এবং মাড়িতে ক্ষত সৃষ্টি করেনা।
তিনটি গাছের ডাল মেসওয়াক এর জন্য বিশেষ উপকারী ও উপযোগী।
যেমন, (১)পিলু গাছ (২) নিম গাছ (৩) বাবলা গাছ।
অনেক সময় আমরা দেবদারু গাছের ডাল দাড়াও মেসওয়াক করে থাকি। মিসওয়াক করা সুন্নাত। আর প্রতিটি সুন্নাতের মধ্যেই রয়েছে মানব জাতির কল্যাণ। সুতরাং আসুন আমরা নিয়মিত মেসওয়াক করি। মেসওয়াক শুধু দাঁত পরিষ্কার করার জন্য নয়, বরং এতে আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের প্রতি খুশি হন।
একজন মুমিনের প্রতিটি কাজ দুনিয়াবী লাভ এবং পরকালীন কল্যাণের জন্য হয়ে থাকে। মুমিনের ঘুমানোও ইবাদত। কারণ একজন মুমিন সুন্নত তরিকায় ঘুমায়। আল্লাহ তায়া’লা আমাদের বেশি বেশি সুন্নাত তরিকায় আমল করার তৌফিক দান করুন