ফেস সুন্দর করার ঘরোয়া উপায়
ফেস সুন্দর করার ঘরোয়া উপায় : সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে সবাই চায়, কিন্তু পার্লারে গিয়ে দামি ফেসিয়াল বা কসমেটিকস ব্যবহার করা সবসময় সম্ভব হয় না। তবে কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করলেই ত্বককে সুন্দর, মসৃণ ও উজ্জ্বল করা সম্ভব। নিচে কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় আলোচনা করা হলো
আপনার কি ডলার প্রয়োজন? বিস্তারিত
১. মধু ও লেবুর প্যাক
মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা ত্বককে উজ্জ্বল করে। লেবুতে আছে ভিটামিন সি, যা ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
- এক চামচ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান।
- ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
- সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
২. দুধ ও হলুদের ফেসপ্যাক
দুধ ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও ব্রণের সমস্যা দূর করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
- এক চামচ কাঁচা দুধের সঙ্গে আধা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগান।
- ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- এটি প্রতিদিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
৩. বেসন ও দইয়ের স্ক্রাব
বেসন প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর যা মৃত কোষ দূর করে এবং দই ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
- দুই চামচ বেসনের সঙ্গে এক চামচ দই ও সামান্য মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
- মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে ঘষুন এবং ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
- সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার করুন।
৪. অ্যালোভেরা জেল ম্যাসাজ
অ্যালোভেরা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সহায়ক।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
- একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা কেটে জেল বের করে নিন।
- এটি সরাসরি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
- প্রতিদিন এটি করলে ত্বক হবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
৫. শসার রস ও গোলাপজল টোনার
শসা ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং গোলাপজল ত্বককে সতেজ করে তোলে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
- এক টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে লাগান।
- এটি প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বক সতেজ ও দীপ্তিময় হবে।
৬. পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান
সুন্দর ত্বকের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা খুব জরুরি। এছাড়া খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম ও পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখলে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হবে।
এই ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে কেমিক্যাল ছাড়াই ত্বককে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব।