হাঁচি বন্ধের ঘরোয়া ঔষধ - Home remedies to stop sneezing
হাঁচি বন্ধের ঘরোয়া ঔষধ : হাঁচি একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যা মূলত শরীর থেকে ধুলাবালি, জীবাণু বা অন্যান্য উত্তেজক উপাদান দূর করার জন্য ঘটে। এটি ঠান্ডা, অ্যালার্জি, ধুলাবালি, ফুলের রেণু বা সংক্রমণের কারণে হতে পারে। যদিও সাধারণত এটি ক্ষতিকারক নয়, বারবার হাঁচি হওয়া অস্বস্তিকর এবং বিরক্তিকর হতে পারে। কিছু প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা হাঁচি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার কি ডলার প্রয়োজন? বিস্তারিত
১. আদা ও মধু
আদা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ, যা ঠান্ডা ও অ্যালার্জিজনিত হাঁচি বন্ধ করতে সহায়তা করে। এক চামচ আদার রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে হাঁচি কমে যেতে পারে।
২. কালোজিরা
কালোজিরার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অ্যালার্জিক উপাদান শ্বাসযন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। সকালে ও রাতে এক চিমটি কালোজিরার তেল হালকা গরম পানির সাথে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও, কালোজিরার ধোঁয়া শুঁকলেও হাঁচির পরিমাণ কমতে পারে।
৩. লেবু ও গরম পানি
লেবুর মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে অ্যালার্জিজনিত হাঁচি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে হাঁচি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৪. হলুদ দুধ
হলুদে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে, যা হাঁচি কমাতে সহায়ক। এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে হাঁচির সমস্যা কমে যায়।
৫. তুলসী পাতা
তুলসী পাতা ঠান্ডা-কাশি ও অ্যালার্জির জন্য খুব কার্যকরী। কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে বা গরম পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি করে পান করলে হাঁচি কমে যায়।
৬. রসুন
রসুনের অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কয়েকটি রসুনের কোয়া বেটে গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে হাঁচি ও ঠান্ডা কমে যেতে পারে।
৭. এলাচ ও দারুচিনি
এলাচ ও দারুচিনি চায়ে ব্যবহার করলে এটি শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং হাঁচি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক কাপ এলাচ বা দারুচিনির চা পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
৮. মেথি বীজ
মেথি বীজ ঠান্ডা ও অ্যালার্জিজনিত হাঁচি প্রতিরোধে কার্যকর। এক চামচ মেথি বীজ এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে পান করলে হাঁচি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৯. ভাপ নেওয়া
গরম পানির ভাপ নিলে নাসারন্ধ্র পরিষ্কার হয় এবং হাঁচি কমে। পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল দিয়ে ভাপ নিলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
১০. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পানি পান
শরীরকে রিল্যাক্স করতে পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে এবং দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
শেষ কথা
যদি হাঁচি বেশি দিন স্থায়ী হয় বা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে উপরের ঘরোয়া উপায়গুলো সাধারণ হাঁচি কমাতে কার্যকর হতে পারে।
এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো সহজে অনুসরণ করা যায় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম। আশা করি, এগুলো আপনার উপকারে আসবে।