Narrow selection

প্রতিদিন কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত? - How many hours should you sleep every day?


প্রতিদিন কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত? ঘুম মানুষের শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের মস্তিষ্ক ও দেহকে পুনরুজ্জীবিত করে, কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং সামগ্রিক সুস্থতায় সহায়তা করে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিদিন কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত? এর উত্তর বয়স, জীবনধারা ও স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর নির্ভর করে।

 

বিভিন্ন বয়সের জন্য ঘুমের প্রয়োজনীয়তা

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য ঘুমের আদর্শ সময়সীমা নিম্নরূপ:

  1. নবজাতক (০-৩ মাস) – ১৪-১৭ ঘণ্টা
  2. শিশু (৪-১১ মাস) – ১২-১৫ ঘণ্টা
  3. টডলার (১-২ বছর) – ১১-১৪ ঘণ্টা
  4. প্রি-স্কুলার (৩-৫ বছর) – ১০-১৩ ঘণ্টা
  5. স্কুলগামী শিশু (৬-১৩ বছর) – ৯-১১ ঘণ্টা
  6. কিশোর (১৪-১৭ বছর) – ৮-১০ ঘণ্টা
  7. যুবক ও প্রাপ্তবয়স্ক (১৮-৬৪ বছর) – ৭-৯ ঘণ্টা
  8. বয়সী ব্যক্তি (৬৫ বছর ও বেশি) – ৭-৮ ঘণ্টা

 

আপনার কি ডলার প্রয়োজন? যোগাযোগ করুন 01303 483365

 

ঘুমের অভাবের ক্ষতিকর প্রভাব

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমালে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হ্রাস: ঘুমের অভাবে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা কমে যায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর সহজেই সংক্রমণের শিকার হতে পারে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: কম ঘুম উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • ওজন বৃদ্ধি: পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়াতে পারে।
  • মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: অনিদ্রা, উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

 

সুস্থ ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলার উপায়

সঠিক পরিমাণে ও গুণগত ঘুম নিশ্চিত করার জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনুসরণ করা প্রয়োজন:

  1. নিয়মিত সময়ে ঘুমানো ও জাগ্রত হওয়া: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও জেগে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  2. ইলেকট্রনিক ডিভাইস এড়িয়ে চলা: ঘুমের আগে মোবাইল, কম্পিউটার ও টেলিভিশন কম ব্যবহার করা উচিত।
  3. শারীরিক ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করলে ঘুমের গুণগত মান ভালো হয়।
  4. ক্যাফেইন ও নিকোটিন পরিহার: ঘুমানোর আগে চা, কফি বা ধূমপান না করাই ভালো।
  5. আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করা: ঘর ঠান্ডা, অন্ধকার ও নীরব রাখা উচিৎ যাতে সহজে ঘুম আসে।

 

উপসংহার

সঠিক পরিমাণে ঘুম সুস্থ জীবনের অন্যতম চাবিকাঠি। বয়স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঘুম নিশ্চিত করা হলে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে। তাই, পর্যাপ্ত ও গুণগত মানের ঘুম নিশ্চিত করতে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

 

সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color