পাকস্থলী রোগের চিকিৎসায় মিসওয়াকের গুরুত্ব
06:49:48 06/15/2024
পাকস্থলী রোগের চিকিৎসায় মিসওয়াকের গুরুত্ব
পাকস্থলী হল মানব শরীরের একটি রাজধানীর মতো অর্থাৎ আমরা যা কিছু আহার করি তার নির্যাস ভিটামিন আমাদের শরীরে ছড়িয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে এবং শরীর সুস্থ রাখে।
অভিজ্ঞ চিকিৎসকের গবেষণা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, পাকস্থলীর 80% ভাগ রোগ দন্ত রোগের কারণে হয়ে থাকে। পাকস্থলী রোগ বর্তমান বিশ্বে এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দাঁতের মাড়ির ক্ষত নিঃসৃত রক্ত যখন খাদ্য পানির সাথে মিলিত হয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে তখন ঐ রক্ত রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যা সমস্ত খাদ্যসমূহ দুর্গন্ধ করে তোলে।
ফলে পাকস্থলীতে ধীরে ধীরে আলসারে পরিণত হয়। আলসার হলে সেখান থেকে আবার কশানি নির্গত হয়। যার ফলে আমাদের পাকস্থলী ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। এ রোগের কারণে আমাদের অনেক বড় জটিল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আমরা পাকস্থলী সুস্থ রাখতে ডাক্তারের সহযোগিতা নিয়ে থাকি। পাশাপাশি যদি আমরা সুন্নাত তরিকায় মেসওয়াক ব্যবহার করি, পাঁচবার নামাজ পড়ার পূর্বে আমরা অজু করে থাকি। ওযুর পূর্বে যদি আমরা নিয়মিত প্রতিদিন পাঁচবার মেসওয়াক করি, তাহলে আমাদের দাঁতের রোগের সমস্যায় ভুগতে হবে না।
দাঁত সুস্থ থাকলে আমাদের পাকস্থলী সুস্থ থাকবে ইনশাআল্লাহ। সুতরাং আমরা নামাজের পূর্বে অজু করে থাকি। ওযুর পূর্বে আমরা মিসওয়াক করে নেব। যার ফলস্বরূপ আমরা আমাদের দাঁতের রোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারবো। মেসওয়াকের উছিলায় আল্লাহতালা আমাদের দাঁতের রোগ থেকে হেফাজত করবেন। প্রতিটি সুন্নাতের মধ্যে রয়েছে মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ।