Narrow selection

কানে কম শোনার পাঁচটি ঔষধের নাম - Names of five medicines for hearing loss


কানে কম শোনার পাঁচটি ঔষধের নাম : এখানে কানে কম শোনার জন্য ব্যবহৃত পাঁচটি ওষুধের নাম এবং তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো। তবে মনে রাখা জরুরি যে, কানের শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার কারণ অনুসারে চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়।

 

১. প্রেডনিসোলোন (Prednisolone)

প্রেডনিসোলোন হলো একটি কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ, যা মূলত আকস্মিক শ্রবণ হ্রাস (Sudden Sensorineural Hearing Loss) চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি কানের অভ্যন্তরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং শ্রবণশক্তি পুনরুদ্ধার করতে সহায়ক হতে পারে। সাধারণত স্বল্পমেয়াদী ব্যবহারের জন্য এই ওষুধটি প্রেসক্রাইব করা হয়, এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ এটি উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি, এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

 

আপনার কি ডলার প্রয়োজন? যোগাযোগ করুন 01303 483365

 

২. পেন্টক্সিফিলিন (Pentoxifylline)

পেন্টক্সিফিলিন একটি ভাসোডাইলেটর ওষুধ, যা রক্তপ্রবাহ উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি কানের কোকলিয়ার অভ্যন্তরে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে অক্সিজেনেশন উন্নত করতে পারে। শ্রবণশক্তির হ্রাস যদি রক্তপ্রবাহ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে, তবে এটি কার্যকর হতে পারে।

 

৩. বিটাহিস্টিন (Betahistine)

বিটাহিস্টিন মূলত মেনিয়ার্স ডিজিজ (Ménière’s Disease) এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, যার ফলে রোগীরা কানে কম শোনা, ভারসাম্যের সমস্যা এবং মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ অনুভব করেন। এই ওষুধটি কানের ভেতরের তরল প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক, যা শ্রবণশক্তি উন্নত করতে পারে এবং টিনিটাস (কানে বাজা) সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

 

৪. ফুরোসেমাইড (Furosemide)

ফুরোসেমাইড একটি ডাইউরেটিক ওষুধ, যা মূলত উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগজনিত কারণে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমা হওয়া প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়। কিছু ক্ষেত্রে, এটি শ্রবণশক্তি পুনরুদ্ধারেও সহায়ক হতে পারে, বিশেষত যদি শ্রবণ সমস্যার কারণ তরল জমাট বাঁধা হয়। তবে, এটি অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে শ্রবণশক্তির ক্ষতিও করতে পারে, তাই শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।

 

৫. অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড অ্যান্টিবায়োটিক (Aminoglycoside Antibiotics)

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের একটি বিশেষ শ্রেণী, যেমন জেন্টামাইসিন (Gentamicin), কখনও কখনও মেনিয়ার্স ডিজিজের গুরুতর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এটি কানের ভারসাম্যজনিত অংশে কাজ করে এবং মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই ওষুধটি ভুলভাবে ব্যবহৃত হলে স্থায়ী শ্রবণহানি ঘটাতে পারে, তাই এটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়।

 

উপসংহার

কানে কম শোনার সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন বয়সজনিত পরিবর্তন, সংক্রমণ, আঘাত, উচ্চ শব্দের সংস্পর্শ, অথবা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই সঠিক কারণ নির্ধারণ করে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। উপরোক্ত ওষুধগুলো নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কার্যকর হতে পারে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়। যদি আপনার শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, তবে যত দ্রুত সম্ভব একজন ইএনটি (ENT) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

 

সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color