পানি কত প্রকার ও কি কি? - Pani Koy Prokar o ki ki?
13:41:44 06/15/2024
যে পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জিত হয়
পবিত্রতা অর্জিত হয়, সাধারন পানি দ্বারা। সাধারণ পানি হল ঐ পানি যা তার স্বাভাবিক অবস্থার উপর থাকে এবং তার সাথে কোন নাপাকি মিশ্রিত হয়নি ও তার মধ্যে অন্য কোন বস্তুর আধিক্য হয়নি।
যে পানি সমূহ সাধারণ পানির অন্তর্ভুক্ত:
বৃষ্টির পানি, নদীর পানি, কূপের পানি, ঝর্ণার পানি, সমুদ্রের পানি, বরফ গলিত পানি, শিলা গলিত পানি।
পানির প্রকার ও তার বিধান
যে পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জিত হয় এবং যে পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন হয় না, এই হিসেবে পানি পাঁচ প্রকার
প্রথম প্রকার:
যে পানি নিজে পবিত্র অন্যকে পবিত্র করতে পারে এবং যা ব্যবহার করা মাকরুহ নয়। সাধারণ পানি পবিত্র এবং তাঁর দ্বারা পবিত্রতা অর্জিত হয়।
দ্বিতীয় প্রকার:
যে পানি নিজে পবিত্র, অন্যকে পবিত্র করতে পারে, যার ব্যবহার মাকরুহ। এটা এমন পানি যা থেকে বিড়াল, মুরগি, হিংস্র পাখি অথবা সাপ পান করেছে। এ পানি দ্বারা ওযু গোসল করা মাকরুহ, যখন সাধারন পানি বিদ্যমান থাকে। তবে অন্য পানি না থাকলে ব্যবহার করা মাকরুহ হবে না।
তৃতীয় প্রকার:
যে পানি নিজে পবিত্র কিন্তু অন্যান্য জিনিসের পবিত্র করার ব্যাপারে সন্দেহ হয়ে গেছে। এটাই এমন পানি যা থেকে গাধা অথবা খচ্চর পান করেছে। এ পানি কোন সন্দেহ ছাড়াই পবিত্র। কিন্তু তার দ্বারা কি ওজু শুদ্ধ হবে? নাকি শুদ্ধ হবেনা। এ ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে, যদি এছাড়া অন্য পানি না পায় তাহলে এর দ্বারা অজু করবে এবং তাায়াম্মুম করবে।
চতুর্থ প্রকার:
যে পানি নিজে পবিত্র অন্যকে পবিত্রকারী নয়। এটা হল ব্যবহৃত পানি। এ পানি নিজে পবিত্র কিন্তু অন্যকে পবিত্র করে না। এ পানি দ্বারা অজু শুদ্ধ হবেনা। ব্যবহৃত পানি বলা হয় ওই পানিকে যে পানি অজু অথবা গোসলে অপবিত্রতা দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। অথবা সওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন ওজুর উপর ওজু।
যদি পানি দ্বারা অজু করে, শীতলতা লাভের জন্য অথবা কাউকে অজু শিক্ষা দেওয়ার জন্য, তাহলে সে পানি ব্যবহৃত হবে না। আর যদি অজু বিহীন ব্যাক্তি শীতলতা লাভের জন্য অথবা ও শিক্ষা দেওয়ার জন্য অজু করে তাহলে সে পানি ব্যবহৃত পানি হয়ে যাবে।
পঞ্চম প্রকার:
নাপাক পানি। এটা হল স্থির স্বল্প পানি, যাতে নাপাক মিশ্রিত হয়েছে। পানিতে নাপাক এর প্রভাব প্রকাশিত হোক বা না হোক।
অথবা পানিতে নাপাক এর প্রভাব প্রকাশিত হলে তখন পানি নাপাক হয়ে যাবে, পানি কম হোক বা বেশি হোক। এবং পানি স্থীর হোক বা প্রবাহমান হোক। এ ক্ষেত্রে সমান্
যখন পানি বড় একটি হাউজ এর মধ্যে হয়। যার একদিকে নাড়া দিলে অন্যদিকে না নড়ে তাহলে তাই বেশি পানি বলে গণ্য হবে।
বেশি পানি হলো হাউজের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ 10 হাত 10 হাত। এবং গভীরতা এতটুকু হবে যে তার থেকে হাত দ্বারা পানি তোলা হলে মাটি দেখা যায় না।আর অল্প পানি হল এর চেয়ে কম।
সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি
মধু খাওয়ার উপকারিতা কি?
নাপাক পানির হুকুম হলো, সে পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জিত হবে না। বরং যখন তা অন্য কোন বস্তুর সাথে মিশ্রিত হবে, তখন সে বস্তুও নাপাক হয়ে যাবে।