সারা (আঃ) এর জীবনী
05:54:37 06/15/2024
সারা (আঃ) এর জীবনী
বিবি সারা হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর স্ত্রী এবং হযরত ইসহাক (আঃ)-এর মাতা। ফেরেশ্তাগণ হযরত সারাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আপনি আপনাদের পরিবার-পরিজনের জন্য আল্লাহর রহমত স্বরুপ”। তার ঐশীপ্রেমও দো‘আ কবুল হওয়ার কথা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে।
হাদীস শরীফে আছে-একদা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) শামদেশে হিযরত করতেছিলেন। বিবি সারা ছিলেন তার সঙ্গীনী। তারা পথ চলিতে এক জালেম বাদশাহের রাজ্যে এসে পৌছালেন। এক নাদান গোপনে বাদশাহকে জানাল যে,আপনার রাজ্যে এক সুন্দরী রমণী আগমন করেছে। ঘটনা চক্রে হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-কে রাজ দরবারে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হলোঃ তোমার স ঙ্গী রমণীটি কে? উত্তরে তিনি বললেন,সে আমার ভগ্নী।
(হযরত ইব্রাহিম [আঃ] এখানে বিবি সারাকে স্বীয় স্ত্রী বলে স্বীকার করলেন না। যেহেতু ইব্রাহিম [আঃ] কে স্বামী বলে জানতে পারলে জালিম বাদশাহ্ তাকে হত্যা করে ফেলার সম্ভাবনা বেশি ছিল)। বাদশাহের সামনে থেকে এসে ইব্রাহিম (আঃ) বিবি সারা কে বললেন, দেখ তুমি আমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করোনা।যেহেতু দীনী সম্পর্কে তুমি আমার ভগ্নিই হও।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
এরপর বাদশাহ্ বিবি সারা কে ডেকে পাঠাল।তিনি বাদশাহের দরবারে হাজির হলেন এবং বুঝতে পারলেন যে,বাদশাহের মতলব মোটেই ভালো নয়। তাই তিনি ওযূ করে নামায পড়লেন এবং দো‘আর জন্য দরবারে এলাহীতে হাত উঠালেন। প্রার্থনা জানালেন, আয় আল্লাহ্! হে পরওয়ারদেগার বেনিয়ায! সত্য সত্যই আমি যদি প্রেরিত পয়গম্বরের উপর বিশ্বসী হয়ে থাকি্,ঈমান আনিয়া থাকি এবং অদ্যবধি আমার সতীত্বকে বজায় রাখিয়া থাকি, তবে এই জালেম বাদশাহকে আমার উপর গালেব করিয়া দিও না।
দোআ করার সঙ্গে সঙ্গেই যালেম বাদশাহ্র হাত,পা,এমন কি সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমনি পঙ্গু হয়ে পড়ল যে,অত্যাচার যুলুম তো দূরের কথা,সে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে কাকুতি মিনতি করতে লাগল। কিছুক্ষনের মধ্যে তার অবস্থা মৃতপ্রায় হয়ে উঠল।
বিবি সারা ভাবলেন,এমন অবস্থায় যদি বাদশাহ্ মারা যায়,তবে জনগণ অবশ্যই বলবে যে,এই রমণিই বাদশাহের হত্যাকারিণী।তাই তিনি (সারা) বাদশাহের নিমিত্তে নেক (খায়রের ) দোয়া করেন।সঙ্গে সঙ্গে সে সুস্থ্য হয়ে গেল। পূণরায় বাদশাহের মাথায় বদ খেয়াল চাপল। বাধ্য হয়ে বিবি সারা আবার বদ দোয়া করলেন।
সঙ্গে সঙ্গে তার পূর্বাবস্থা ঘটল। এইবার বাদশাহ কঠোর প্রতিজ্ঞা করে খুব কান্নাকাটি করতে লাগল।বিবি সারার দয়ার বান ডাকিল। তিনি দোআ করলেন,বাদশাহ্ ভালো হয়ে গেল। এইরুপে সে তিনবার প্রতিজ্ঞা করে প্রতিবারই তা ভঙ্গ করলেন।অবশেষে বাদশাহ্ বলে ফেলল-আপনি এখানে কি মুছিবত নিয়ে আসছেন,আপনি দয়া করে এখান থেকে বিদায় হন।
বাদশাহ্ পূবাহ্নেই বিবি হাজেরাকে বাদী বানিয়ে রাখছিল।এবার তাকে খেদমতের নিমিত্তে বিবি সারার হাওলা করে দিল। বিবি হাজেরার ইজ্জত আবরু আল্লাহ্ তাআলা হেফাযত করিয়া রেখেছিলেন।বিবি সারা তাকে স্বীয় স্বামী হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-কে প্রদান করিলেন।
উপরোক্ত কাহিনী হতে স্পষ্ঠই বোঝা যায় যে,নামাযের পরের দোআ কবুল হয়ে থাক। তাই প্রত্যেকের উচিত কোন মুছিবতে লিপ্ত হয়ে পড়লে খাঁটি দেলে তওবা করিয়া নফল নামায আদায় করে দোআয় মশগুল হওয়া।