সর্দি থেকে বাঁচার উপায় - Ways to avoid colds
সর্দি থেকে বাঁচার উপায়
সর্দি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়া, ধুলাবালি, দূষণ, দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শের ফলে ছড়িয়ে পড়ে। সর্দি হলে নাক বন্ধ হওয়া, হাঁচি, গলাব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা এবং জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করে আমরা সহজেই সর্দি থেকে বাঁচতে পারি।
আপনার কি ডলার প্রয়োজন? বিস্তারিত
১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
সর্দি-কাশির ভাইরাস সাধারণত হাতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে, তাই নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস করা অত্যন্ত জরুরি। সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া উচিৎ। বিশেষ করে বাইরে থেকে আসার পর, খাবার খাওয়ার আগে, নাক-মুখ স্পর্শ করার আগে ও পরে হাত ধোয়া উচিত। প্রয়োজনে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ
শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- লেবু, কমলা, আমলকি, পেয়ারা, টমেটো, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খেলে সর্দি প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম, মধু ও রসুন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান করা
শরীরের অভ্যন্তরীণ আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রচুর পানি পান করা জরুরি। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। গরম পানি বা ভেষজ চা পান করলে গলা আরাম পায় ও সংক্রমণের প্রকোপ কমে।
৪. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া
শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম প্রয়োজন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। কম ঘুম বা অতিরিক্ত কাজের চাপ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে, যা সহজেই সর্দি-কাশির সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
৫. ঠান্ডা এড়িয়ে চলা
সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার, বরফযুক্ত পানীয় এবং অতিরিক্ত এসি বা ফ্যানের বাতাস থেকে দূরে থাকা উচিত। শীতের দিনে বাইরে বের হলে গরম পোশাক পরা, কান ও গলা ঢেকে রাখা উচিত।
৬. নিয়মিত ব্যায়াম করা
শরীরচর্চা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। হালকা হাঁটা, যোগব্যায়াম ও শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যায়াম করলে সর্দি প্রতিরোধ করা সহজ হয়।
৭. ধুলোবালি ও দূষণ এড়িয়ে চলা
বাইরের ধুলাবালি ও দূষণ সর্দি-কাশির অন্যতম কারণ। তাই রাস্তায় বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। ঘর পরিষ্কার রাখা এবং শীতল ও আর্দ্র পরিবেশ বজায় রাখা প্রয়োজন।
৮. প্রাকৃতিক প্রতিকার গ্রহণ
সর্দি প্রতিরোধের জন্য আদা-লেবুর চা, তুলসীপাতার রস, মধু ও কালোজিরার ব্যবহার উপকারী। গরম পানির ভাপ নেওয়া এবং লবণ-পানির গার্গল করলে গলার ব্যথা কমে এবং শ্বাসনালীর সমস্যা দূর হয়।
উপরে উল্লিখিত উপায়গুলো অনুসরণ করলে সহজেই সর্দি থেকে বাঁচা সম্ভব।