খাওয়ার রুচি বৃদ্ধির উপায় - Ways to increase appetite
খাওয়ার রুচি বৃদ্ধির উপায় : খাদ্য আমাদের শরীরের প্রধান জ্বালানি, কিন্তু অনেক সময় নানা কারণে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে এবং শারীরিক দুর্বলতা, ক্লান্তি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই খাওয়ার রুচি বৃদ্ধির জন্য কিছু কার্যকরী উপায় অনুসরণ করা জরুরি।
আপনার কি ডলার প্রয়োজন? বিস্তারিত
১. পরিপূর্ণ ও ব্যালান্সড খাদ্য গ্রহণ
অনেক সময় অপুষ্টির কারণে খাওয়ার রুচি কমে যায়। সঠিক পুষ্টির জন্য প্রতিদিন খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেল থাকা জরুরি। বিশেষ করে, দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, জিঙ্ক ও আয়রনের ঘাটতি থাকলে খাওয়ার ইচ্ছা কমে যেতে পারে।
২. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম
ব্যায়াম করলে শরীরে এন্ডরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মস্তিষ্ককে সতেজ করে এবং ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, যোগব্যায়াম বা হালকা শরীরচর্চা করলে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পায়।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান
শরীরে পানির অভাব থাকলে অনেক সময় হজমক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত, বিশেষ করে খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে বা পরে পানি খেলে হজমের সমস্যা কমে।
৪. মশলা ও ভেষজ উপাদান ব্যবহার
বিভিন্ন ভেষজ উপাদান যেমন আদা, গোলমরিচ, ধনে, জিরা এবং লেবু হজমশক্তি বাড়ায় ও ক্ষুধা উদ্দীপিত করে। লেবুর রস ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে রুচি বাড়ে। এছাড়া আদার রস খাওয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে খেলে ক্ষুধা অনুভূত হয়।
৫. মানসিক চাপ কমানো
অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা খাওয়ার রুচি কমিয়ে দিতে পারে। তাই মনকে শান্ত রাখতে মেডিটেশন, বই পড়া, সংগীত শোনা বা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর অভ্যাস করা উচিত।
৬. খাবারের বৈচিত্র্য আনুন
প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খেলে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন রঙিন সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও ফল যুক্ত করা জরুরি। এছাড়া নিত্যনতুন রেসিপি ট্রাই করলে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পায়।
৭. কম পরিমাণে, বারবার খাবার
অনেক সময় বড় পরিমাণে খাবার একবারে খেলে খাওয়ার ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যায়। তাই অল্প পরিমাণে, কিন্তু বারবার খাওয়ার অভ্যাস করলে খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
৮. হজমশক্তি উন্নত করা
হজমজনিত সমস্যা থাকলে খাওয়ার রুচি কমে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন দই, ইসবগুলের ভুষি বা প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত, যা হজমে সহায়ক।
৯. যথাযথ বিশ্রাম
ঘুমের অভাব হলে শরীরে ক্লান্তি আসে এবং ক্ষুধা কমে যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত, যা শরীরের স্বাভাবিক চক্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
উপরে বর্ণিত এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে ধীরে ধীরে খাওয়ার রুচি বাড়বে এবং শরীর সুস্থ থাকবে।