চুল গোল্ডেন করার উপায় - Ways to make hair golden
চুল গোল্ডেন করার উপায়
চুলের রং পরিবর্তন করা আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, এবং "গোল্ডেন হেয়ার" বা সোনালি চুল অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় মনে হয়। চুল গোল্ডেন করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যেমন পার্লারে রং করা, প্রাকৃতিক উপায়ে চুল হালকা করা, অথবা সাময়িকভাবে গোল্ডেন হেয়ার কালার স্প্রে ব্যবহার করা। নিচে চুল গোল্ডেন করার বিভিন্ন পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
পার্লারে গিয়ে চুল গোল্ডেন করা
প্রফেশনাল হেয়ার কালারিস্টের সাহায্যে চুল গোল্ডেন করা সবচেয়ে কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী উপায়। পার্লারে সাধারণত ব্লিচ ও হেয়ার ডাই ব্যবহার করে চুলের রং পরিবর্তন করা হয়।
সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি
প্রক্রিয়া:
ব্লিচিং: প্রথমে চুলের স্বাভাবিক রং হালকা করতে ব্লিচ ব্যবহার করা হয়। এটি চুলের মেলানিন ধ্বংস করে, ফলে চুলের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
গোল্ডেন ডাই: ব্লিচের পর হেয়ার ডাই বা টোনার ব্যবহার করে সোনালি রঙ আনা হয়।
টোনিং ও কন্ডিশনিং: চুল যাতে শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য টোনিং ও গভীর কন্ডিশনিং করা হয়।
বাড়িতে চুল গোল্ডেন করার উপায়
যদি পার্লারে না যেতে চান, তবে বাড়িতেও কিছু সহজ উপায়ে চুল গোল্ডেন করতে পারেন। তবে এটি পার্লারের মতো নিখুঁত ফলাফল নাও দিতে পারে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
১. হেয়ার কালার ব্যবহার করে গোল্ডেন করা
বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের হেয়ার কালার পাওয়া যায়, যেমন L’Oréal, Garnier, Revlon ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহার করতে হলে প্রথমে নির্দেশিকা ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে।
২. প্রাকৃতিক উপায়ে চুল হালকা করা
যারা কেমিক্যাল ব্যবহার করতে চান না, তারা কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ধীরে ধীরে চুল হালকা করতে পারেন।
লেবু ও রোদ:
লেবুর রস চুলের প্রাকৃতিক রং হালকা করতে সাহায্য করে।
এক কাপ পানিতে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলে স্প্রে করুন।
রোদে ৩০-৪৫ মিনিট বসুন, এরপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
মধু ও দারুচিনি:
মধুর মধ্যে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন পারক্সাইড থাকে, যা ধীরে ধীরে চুল হালকা করে।
এক টেবিল চামচ মধু, এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া ও দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান।
এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
ক্যামোমাইল টি রিন্স:
ক্যামোমাইল চুলের রং হালকা করতে সাহায্য করে।
ক্যামোমাইল টি বানিয়ে ঠান্ডা করে চুলে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কতা ও পরামর্শ
চুল ব্লিচ করলে তা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাই নিয়মিত হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
সানস্ক্রিন স্প্রে ব্যবহার করুন, কারণ রোদ চুলের রং পরিবর্তন করতে পারে।
যদি প্রথমবার চুল রং করেন, তবে হেয়ার কালার টেস্ট করে নিন যাতে কোনো অ্যালার্জি না হয়।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে সহজেই চুল গোল্ডেন করতে পারবেন এবং আপনার চেহারায় নতুন এক আকর্ষণীয় লুক আনতে পারবেন