কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় - Ways to straighten curly hair
কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায়
অনেকেরই প্রাকৃতিকভাবে কোঁকড়ানো চুল থাকে, যা দেখতে সুন্দর হলেও মাঝে মাঝে পরিবর্তনের জন্য চুল সোজা করতে ইচ্ছে করে। চুল সোজা করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে—কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে করা যায়, আবার কিছুতে তাপ ব্যবহার করতে হয়। তবে, অতিরিক্ত তাপ ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে, তাই নিরাপদ এবং কার্যকর উপায় বেছে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো।
সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি
১. হিট স্টাইলিং-এর মাধ্যমে চুল সোজা করা
হিট স্টাইলিং-এর মাধ্যমে চুল সোজা করা সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দ্রুত কার্যকর পদ্ধতি।
(ক) স্ট্রেটনার বা ফ্ল্যাট আয়রনের সাহায্যে
- প্রথমে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন।
- চুল শুকিয়ে গেলে একটি হিট প্রটেক্ট্যান্ট স্প্রে বা সিরাম ব্যবহার করুন, যাতে চুলের ক্ষতি কম হয়।
- চুল ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে ফ্ল্যাট আয়রন দিয়ে প্রতিটি অংশ আলতোভাবে স্ট্রেট করুন।
- শেষে হালকা হেয়ার স্প্রে লাগিয়ে নিন, যাতে স্ট্রেট করা চুল দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থাকে।
(খ) ব্লো-ড্রাই করে চুল সোজা করা
- শ্যাম্পু করার পর চুল সামান্য ভেজা অবস্থায় থাকলে তাতে হিট প্রটেকশন স্প্রে লাগান।
- একটি বড় রাউন্ড ব্রাশ ব্যবহার করে ব্লো-ড্রায়ার দিয়ে ধীরে ধীরে চুল সোজা করুন।
- চুল শুকিয়ে গেলে একটি হালকা স্ট্রেটনিং সিরাম ব্যবহার করুন, যাতে চুল নরম ও ঝলমলে দেখায়।
২. প্রাকৃতিক উপায়ে চুল সোজা করা
যারা তাপ ব্যবহার করতে চান না, তারা কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে চুল সোজা করতে পারেন।
(ক) দুধ এবং মধুর ব্যবহার
- আধা কাপ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে চুলে ভালোভাবে লাগান।
- ৩০-৪০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে নরম করে এবং প্রাকৃতিকভাবে কিছুটা সোজা করে।
(খ) নারকেল দুধ এবং লেবুর রস
- নারকেল দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
- এটি মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং নিয়মিত করলে চুল ধীরে ধীরে সোজা হয়ে আসবে।
(গ) ডিম এবং অলিভ অয়েল
- একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
- এটি চুলে লাগিয়ে ৩০-৪৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
- এটি চুলকে সোজা এবং মসৃণ করতে সাহায্য করবে।
৩. চুল সোজা রাখার জন্য কিছু অতিরিক্ত টিপস
- ভেজা অবস্থায় চুল বাঁধবেন না, কারণ এতে চুল ঢেউখেলানো হয়ে যেতে পারে।
- কটন বা সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন, এতে চুল কম জট পাকাবে এবং সোজা থাকবে।
- অতিরিক্ত তাপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন, যাতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- চুলে নিয়মিত তেল ও মাস্ক ব্যবহার করুন, এতে চুল নরম ও সোজা রাখতে সাহায্য করবে।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে চুল সোজা এবং ঝলমলে থাকবে, পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।