চোখ লাল হলে কোন ঔষধ ব্যবহার করবেন?
চোখ লাল হলে কোন ঔষধ ব্যবহার করবেন?
চোখ লাল হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি সংক্রমণ, অ্যালার্জি, চোখের শুষ্কতা, ধুলাবালি, বা দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে হতে পারে। অনেক সময় চোখ লাল হওয়ার সাথে চুলকানি, ব্যথা, পানির প্রবাহ বা দৃষ্টির অস্পষ্টতা দেখা যায়। সঠিক চিকিৎসার জন্য মূল কারণ নির্ণয় করা জরুরি। তবে কিছু সাধারণ ওষুধ এবং পরিচর্যার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি
চোখ লাল হওয়ার কারণ অনুযায়ী ওষুধ
১. অ্যালার্জির কারণে চোখ লাল হলে:
অ্যালার্জির ফলে চোখ লাল হলে চুলকানি, পানির প্রবাহ এবং ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিহিস্টামিন আই ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- Ketotifen (Ketotifen Fumarate Eye Drops)
- Olopatadine (Olopatadine Hydrochloride Eye Drops)
- Azelastine (Azelastine Hydrochloride Eye Drops)
২. সংক্রমণের কারণে চোখ লাল হলে:
ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল সংক্রমণের কারণে চোখ লাল হতে পারে। যদি চোখে পুঁজ জমে, ব্যথা হয় এবং লালচে ভাব থাকে, তবে এটি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হতে পারে।
- Moxifloxacin (Moxifloxacin Eye Drops, যেমন Vigamox, Moxicip)
- Tobramycin (Tobramycin Eye Drops, যেমন Tobrex)
- Chloramphenicol (Chloramphenicol Eye Drops, যেমন Chloroptic)
ভাইরাল সংক্রমণে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার হয় না, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. শুষ্ক চোখের কারণে চোখ লাল হলে:
শুষ্ক চোখ হলে চোখ লাল হয়ে যায় এবং অস্বস্তি হয়। এ ক্ষেত্রে লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করা ভালো।
- Carboxymethylcellulose (CMC, যেমন Refresh Tears, Optive, Celluvisc)
- Hydroxypropyl Methylcellulose (HPMC, যেমন Tear Natural, Isotine Plus)
- Hyaluronic Acid (Hyaluronic Acid Eye Drops, যেমন Hylo-Comod, Blink Tears)
৪. চোখে ধুলাবালি বা প্রদাহজনিত কারণে:
চোখে ধুলাবালি বা ধোঁয়া ঢুকলে, অতিরিক্ত ঘর্ষণ বা ক্লান্তির ফলে চোখ লাল হতে পারে। সাধারণত ঠান্ডা পানির ঝাপটা বা আর্টিফিশিয়াল টিয়ার্স ব্যবহার করাই যথেষ্ট। তবে প্রদাহ থাকলে স্টেরয়েড আই ড্রপ ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে।
- Fluorometholone (FML Eye Drops)
- Prednisolone (Pred Forte Eye Drops)
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
- যদি চোখের লালচে ভাবের সাথে ব্যথা, আলোতে সংবেদনশীলতা বা দৃষ্টির সমস্যা হয়।
- যদি ওষুধ ব্যবহারের পরেও লালভাব না কমে।
- যদি সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন অতিরিক্ত পুঁজ বা ফুলে যাওয়া।
চোখের যেকোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে চোখকে সুস্থ রাখা সম্ভব।