Narrow selection

নাকে মাংস বাড়লে করণীয় কি?


নাকে মাংস বাড়লে করণীয় কি?

নাকে মাংস বৃদ্ধিকে চিকিৎসা পরিভাষায় নাসাল পলিপ (Nasal Polyp) বলা হয়। এটি মূলত নাকের ভেতরের মিউকাস মেমব্রেন বা শ্লেষ্মা ঝিল্লির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, যা শ্বাসকষ্ট, নাক বন্ধ থাকা, ঘ্রাণ শক্তি হ্রাস এবং অন্যান্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। সাধারণত, অ্যালার্জি, সংক্রমণ, ক্রনিক সাইনুসাইটিস, বা বংশগত কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। নাসাল পলিপ ছোট আকারের হলে বিশেষভাবে সমস্যা সৃষ্টি নাও করতে পারে, কিন্তু বড় হলে চিকিৎসা করা জরুরি।

 

আপনার কি ডলার প্রয়োজন? যোগাযোগ করুন 01303 483365

 

নাকে মাংস বাড়ার কারণ

নাসাল পলিপের সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে নিম্নলিখিত কারণগুলোর জন্য এটি হতে পারে:

  1. অ্যালার্জি: ধুলাবালি, ফুলের পরাগ, পশুর লোম, কিংবা অন্যান্য অ্যালার্জির কারণে নাকের মিউকাস ঝিল্লি অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে যায়, যা মাংস বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
  2. সংক্রমণ: দীর্ঘমেয়াদী সাইনাস সংক্রমণ (ক্রনিক সাইনুসাইটিস) থাকলে নাকের ভেতরের অংশে অতিরিক্ত টিস্যু বৃদ্ধি পায়।
  3. অ্যাসপিরিন সেনসিটিভিটি: কিছু মানুষের শরীর অ্যাসপিরিন বা অন্যান্য ব্যথানাশক ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীল, যা পলিপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
  4. হরমোনজনিত পরিবর্তন: শরীরে কিছু নির্দিষ্ট হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে নাসাল পলিপ দেখা দিতে পারে।
  5. বংশগত কারণ: যদি পরিবারে কারও নাসাল পলিপের সমস্যা থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মেও এটি দেখা দিতে পারে।

 

নাকে মাংস বাড়লে লক্ষণ

নাসাল পলিপ হলে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে:

  • নাক বন্ধ থাকা এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা
  • ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়া বা সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলা
  • মাথাব্যথা বা চোখের আশপাশে চাপ অনুভব করা
  • নাক দিয়ে ঘন শ্লেষ্মা পড়া
  • ঘুমের সময় নাক ডাকা
  • নাক দিয়ে পানি পড়া ও নাক চুলকানো

 

নাকে মাংস বাড়লে করণীয়

নাসাল পলিপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ঘরোয়া ওষুধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।

১. চিকিৎসা পদ্ধতি

  • স্টেরয়েড নাকের স্প্রে: চিকিৎসক সাধারণত কর্টিকোস্টেরয়েড স্প্রে প্রেসক্রাইব করেন, যা নাকের ভেতরের মাংস কমাতে সাহায্য করে।
  • এন্টিহিস্টামিন ও ডিকনজেস্ট্যান্ট: অ্যালার্জির কারণে যদি পলিপ হয়ে থাকে, তবে এন্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • অ্যান্টিবায়োটিক: যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ থাকে, তবে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিতে পারেন।
  • সার্জারি: বড় পলিপ বা ওষুধে কাজ না করলে এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি করা হতে পারে।

 

২. ঘরোয়া প্রতিকার

  • বাষ্প গ্রহণ: গরম পানির ভাপ নিলে নাকের পলিপ ছোট হতে পারে এবং শ্বাস নিতে সুবিধা হয়।
  • লবণ পানি দিয়ে গার্গল: নাসাল স্যালাইন স্প্রে বা লবণ পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলে আরাম পাওয়া যায়।
  • মধু ও আদার রস: অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে নাকের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

যদি সমস্যাটি দীর্ঘমেয়াদী হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color