ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি?
ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি?
গরমের দিনে ফ্যানের বাতাস স্বস্তি দিলেও অনেক সময় এটি ঠান্ডা লাগার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যারা সংবেদনশীল বা সহজেই ঠান্ডা-সর্দিতে আক্রান্ত হন, তাদের জন্য ফ্যানের বাতাসে বেশিক্ষণ থাকা অস্বস্তিকর হতে পারে। যদি ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা লেগে যায়, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায় এবং ভবিষ্যতে এটি এড়ানো সম্ভব হয়।
আপনার কি ডলার প্রয়োজন? বিস্তারিত
১. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন
ফ্যানের গতিবেগ বেশি থাকলে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হতে পারে। তাই ফ্যানের স্পিড কমিয়ে মাঝারি বা নিচু মাত্রায় রাখুন। এছাড়া, রুমের জানালা-দরজা কিছুটা খোলা রেখে প্রাকৃতিক বাতাস চলাচলের সুযোগ তৈরি করলে কৃত্রিম বাতাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।
২. পর্যাপ্ত পোশাক পরিধান করুন
অনেক সময় গরমের কারণে আমরা পাতলা কাপড় পরি, যা ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা লাগার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় পাতলা জামা বা স্লিভলেস পোশাক পরলে ঠান্ডা দ্রুত লাগে। তাই হালকা কিন্তু পুরো শরীর ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরা উচিত, বিশেষ করে যখন ফ্যানের বাতাসে থাকতে হয়।
৩. কম্বলের ব্যবহার
রাতে ঘুমানোর সময় ঠান্ডা লাগলে পাতলা কম্বল বা চাদর ব্যবহার করুন। এটি ঠান্ডা বাতাসের সরাসরি সংস্পর্শ থেকে শরীরকে রক্ষা করবে এবং সর্দি-কাশির সম্ভাবনা কমাবে।
৪. গরম পানীয় পান করুন
ঠান্ডা লাগলে দ্রুত আরামের জন্য গরম পানীয় যেমন আদা চা, তুলসী চা বা মধু-মিশ্রিত গরম পানি পান করা উপকারী হতে পারে। এগুলো শরীরকে গরম রাখে এবং ঠান্ডার লক্ষণগুলো দ্রুত উপশম করে।
৫. ভাপ নিন
যদি ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা লেগে সর্দি বা গলা ব্যথা শুরু হয়, তাহলে গরম পানির ভাপ নেওয়া ভালো উপায় হতে পারে। একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাতে লবণ বা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে তাপ গ্রহণ করলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয় এবং সর্দি কমে যায়।
৬. সঠিকভাবে ফ্যান ব্যবহার করুন
ফ্যানের বাতাস সরাসরি শরীরের ওপর না পড়ে, এমনভাবে সেটিং করুন। ফ্যানের গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়ালের দিকে মুখ করে রাখলে বাতাস ঘুরে আসবে, ফলে শরীরে সরাসরি ঠান্ডা বাতাসের প্রভাব কমবে।
৭. তেল মালিশ করুন
ঠান্ডা লাগলে গরম তেল (সরিষার তেল বা নারকেল তেল) হালকা গরম করে বুকে, পিঠে ও গলায় মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়। এটি সর্দি কমায় এবং শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
৮. গরম পানিতে গোসল করুন
যদি ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা লেগে শরীরে কাঁপুনি আসে, তাহলে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে আরাম পাওয়া যাবে। এতে শরীর গরম থাকবে এবং শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ কমবে।
৯. ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন
ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা লাগার পর ঠান্ডা বা বরফযুক্ত পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন। দই, আইসক্রিম বা ফ্রিজের পানি খেলে ঠান্ডা আরও বাড়তে পারে।
১০. ডাক্তারের পরামর্শ নিন
যদি ঠান্ডা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা লাগলে এসব ব্যবস্থা নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব।