ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি?
ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি?
ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি একটি সাধারণ সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। মূলত ভাইরাস সংক্রমণ, ঠান্ডা আবহাওয়া, ধুলাবালি, অ্যালার্জি ইত্যাদি এর কারণ হতে পারে। সাধারণত ঠান্ডা লাগলে জ্বর, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। তবে কিছু সহজ ও কার্যকর উপায়ে ঠান্ডা লাগা থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব। নিচে কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো—
আপনার কি ডলার প্রয়োজন? যোগাযোগ করুন 01303 483365
১. উষ্ণ পানীয় পান করুন
ঠান্ডা লাগলে গলা ব্যথা ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যা দূর করতে গরম পানি, আদা চা, মধু মিশ্রিত গরম পানি বা লেবু চা খাওয়া যেতে পারে। এগুলো গলা ব্যথা উপশম করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২. বিশ্রাম নিন
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৩. গরম পানির ভাপ নিন
ঠান্ডা লাগলে নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা দূর করতে গরম পানির ভাপ নেওয়া কার্যকর। একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে মাথায় তোয়ালে দিয়ে ভাপ নিলে নাকের পথ পরিষ্কার হয় এবং আরাম পাওয়া যায়।
৪. আদা ও মধু খান
আদা ও মধু ঠান্ডা ও গলা ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। এক চা চামচ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
৫. লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন
গলা ব্যথা বা কফ হলে লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলে আরাম পাওয়া যায়। এটি গলা জীবাণুমুক্ত রাখে এবং ব্যথা কমায়।
৬. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শরীরে পানির অভাব হলে ঠান্ডা আরো বাড়তে পারে। তাই দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
৭. মসলাযুক্ত খাবার খান
মসলাযুক্ত খাবার যেমন— কালোজিরা, গোলমরিচ, দারুচিনি, এলাচ ঠান্ডা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৮. ধুলাবালি ও ঠান্ডা পরিবেশ এড়িয়ে চলুন
যারা সহজেই ঠান্ডা আক্রান্ত হন, তাদের ধুলাবালি ও অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশ এড়িয়ে চলা উচিত।
৯. ওষুধ গ্রহণ করুন (প্রয়োজনে)
সাধারণ ঠান্ডা সেরে যেতে ৫-৭ দিন লাগতে পারে। তবে যদি সমস্যা গুরুতর হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
১০. পুষ্টিকর খাবার খান
ঠান্ডা লাগলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ফলমূল, শাকসবজি, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
উপসংহার
ঠান্ডা লাগা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি কখনো কখনো বিরক্তিকর হতে পারে। ঘরোয়া পদ্ধতি ও কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজেই আরাম পাওয়া সম্ভব। তবে দীর্ঘদিন ভালো না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।