গলা চুলকালে করণীয় কী?
গলা চুলকালে করণীয় কী? গলা চুলকানো একটি সাধারণ সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি মূলত অ্যালার্জি, সংক্রমণ, ঠান্ডা, শুষ্ক আবহাওয়া, দূষণ বা কিছু খাবারের প্রতি সংবেদনশীলতার কারণে হতে পারে। গলা চুলকানো কখনো সামান্য বিরক্তিকর হলেও কখনো এটি বড় কোনো স্বাস্থ্যসমস্যার ইঙ্গিত দেয়। সঠিক কারণ জানা থাকলে এটি নিরাময় করা সহজ হয়। নিচে গলা চুলকানোর কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আপনার কি ডলার প্রয়োজন? বিস্তারিত
গলা চুলকানোর সম্ভাব্য কারণ
১. অ্যালার্জি: ধুলোবালি, পরাগরেণু, প্রাণীর লোম, ধোঁয়া বা কিছু খাবারের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে গলা চুলকাতে পারে।
২. শুকনো গলা: পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া বা শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে গলা শুষ্ক হয়ে চুলকাতে পারে।
3. ঠান্ডা ও ভাইরাল সংক্রমণ: সর্দি, ফ্লু বা অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের কারণে গলা চুলকাতে পারে।
4. অ্যাসিড রিফ্লাক্স: পাকস্থলীর অ্যাসিড যদি খাদ্যনালীতে উঠে আসে, তাহলে গলায় জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হতে পারে।
5. ধূমপান ও বায়ুদূষণ: ধূমপান বা দূষিত বাতাসে বেশি সময় থাকলে গলা শুষ্ক হয়ে চুলকাতে পারে।
6. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধ, বিশেষত ব্লাড প্রেসার বা অ্যাজমার ওষুধ, গলাকে শুষ্ক করে তুলতে পারে।
গলা চুলকালে করণীয়
১. গার্গল করা
- কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলার চুলকানি কমতে পারে।
- দিনে ২-৩ বার এটি করলে আরাম পাওয়া যায়।
২. পর্যাপ্ত পানি পান করা
- গলা চুলকানোর অন্যতম কারণ পানিশূন্যতা।
- দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
- গরম চা বা মধু মিশ্রিত পানি খেলে গলায় আরাম পাওয়া যায়।
৩. মধু ও আদা ব্যবহার করা
- এক চামচ মধু খেলে গলার চুলকানি কমতে পারে।
- আদা চা বা মধুর সাথে আদার রস মিশিয়ে পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৪. ভেষজ ওষুধ ও চা
- তুলসী পাতার রস, গোলমরিচ ও লবঙ্গ দিয়ে তৈরি চা গলার জন্য উপকারী।
- লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে।
৫. ধোঁয়া ও ধুলাবালি থেকে দূরে থাকা
- ধুলাবালি ও দূষিত বাতাস গলা শুষ্ক করে দিতে পারে।
- বাইরে গেলে মাস্ক পরা উচিত।
৬. অ্যালার্জি প্রতিরোধ করা
- যদি কোনো নির্দিষ্ট খাবার বা পরিবেশগত উপাদান থেকে অ্যালার্জি হয়, তাহলে তা এড়িয়ে চলা উচিত।
- প্রয়োজনে অ্যালার্জির ওষুধ খাওয়া যেতে পারে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৭. ওষুধ সেবন (প্রয়োজনে)
- যদি সংক্রমণজনিত কারণে গলা চুলকায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিহিস্টামিন বা অন্য ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
- যদি গলা চুলকানো এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়।
- যদি গলার সাথে ব্যথা, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট হয়।
- যদি কথা বলতে কষ্ট হয় বা গলার ভেতর ফুলে যায়।
সুতরাং, গলা চুলকানো সাধারণত গুরুতর সমস্যা নয়, তবে এটি অস্বস্তিকর হতে পারে। উপরের উপায়গুলো অনুসরণ করলে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব।