নাক চুলকালে করণীয় কি? - What to do when your nose itches?
নাক চুলকালে করণীয় কি?
নাক চুলকানো একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি কখনো কখনো স্বল্পমেয়াদী এবং ক্ষণস্থায়ী হতে পারে, আবার কখনো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। নাক চুলকানোর কারণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি, যাতে এটি অতিরিক্ত বিরক্তির কারণ না হয় বা বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিত না দেয়।
আপনার কি ডলার প্রয়োজন? বিস্তারিত
নাক চুলকানোর কারণ
নাক চুলকানোর বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটি সাধারণ কারণ হলো—
- অ্যালার্জি: ধুলোবালি, পরাগ রেণু, প্রাণীর লোম বা ঘরোয়া ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে নাক চুলকাতে পারে।
- শুকনো নাক: শীতকালে বা শুষ্ক আবহাওয়ায় নাকের ভেতরের অংশ শুষ্ক হয়ে গেলে চুলকানোর অনুভূতি হতে পারে।
- সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা লাগা: ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে নাসারন্ধ্র সংবেদনশীল হয়ে পড়লে নাক চুলকাতে পারে।
- ত্বকের সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণের ফলে নাকের ভেতরের অংশে চুলকানি হতে পারে।
- কেমিক্যাল বা সুগন্ধির সংস্পর্শ: কোনো প্রসাধনী, সাবান, পারফিউম বা অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থের কারণে সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়ে চুলকানি হতে পারে।
- নাকের পলিপ বা অন্য কোনো সমস্যা: দীর্ঘমেয়াদী নাক চুলকানো যদি নাক বন্ধ থাকা বা শ্বাসকষ্টের সাথে যুক্ত হয়, তাহলে নাকের পলিপ বা অন্য কোনো গঠনগত সমস্যার কারণে হতে পারে।
নাক চুলকানোর প্রতিকার ও করণীয়
নাক চুলকানো প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য কিছু কার্যকর উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।
-
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
- প্রতিদিন নিয়মিতভাবে নাক পরিষ্কার রাখা উচিত।
- বাইরে থেকে এসে মুখ ও নাক ধোয়ার অভ্যাস করা ভালো।
- নাকের ভেতরে ময়লা বা ধুলাবালি জমতে দিলে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে।
-
অ্যালার্জির কারণ চিহ্নিত ও পরিহার করা
- যদি কোনো নির্দিষ্ট খাবার, ধুলোবালি, ফুলের রেণু বা পশুর লোমের কারণে নাক চুলকায়, তাহলে তা এড়িয়ে চলা উচিত।
- ঘর পরিষ্কার রাখা ও বিছানার চাদর নিয়মিত ধোয়া জরুরি।
-
শুষ্ক নাক প্রতিরোধ করা
- পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত, যাতে শরীরে আর্দ্রতা বজায় থাকে।
- নাকের ভেতরে ভ্যাসলিন বা নারিকেল তেল ব্যবহার করলে এটি আর্দ্র থাকে।
- বিশেষ করে শীতকালে বা এয়ার কন্ডিশনারের কারণে নাক শুষ্ক হয়ে গেলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
-
ঘরোয়া প্রতিকার
- ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে নাক ধুলে আরাম পাওয়া যায়।
- গরম পানির ভাপ নিলে নাকের শ্লেষ্মা নরম হয়ে চুলকানি কমে যায়।
- মধু বা অ্যালোভেরা জেল সামান্য পরিমাণে নাকের ভেতরে লাগালে চুলকানি প্রশমিত হতে পারে।
-
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
- দীর্ঘমেয়াদী বা তীব্র চুলকানি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
- যদি নাকের মধ্যে ইনফেকশন, ব্যথা বা প্রদাহ দেখা দেয়, তবে ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
উপসংহার
নাক চুলকানো আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও এটি বিরক্তির কারণ হতে পারে। অ্যালার্জি, শুষ্ক আবহাওয়া বা সংক্রমণের কারণে এটি হলে সঠিক পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আরাম পাওয়া যায়। তবে, যদি সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র আকার ধারণ করে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।