Narrow selection

বদর যুদ্ধের ইতিহাস


10:22:55 11/15/2023

বদর যুদ্ধের ইতিহাস: বদর যুদ্ধের ইতিহাস সর্ম্পকে কমবেশি আমরা সবাই জানি। যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ রমজান, ৬২৪ সালে। এ যুদ্ধে মুসলমানদের যে ত্যাগ এ বিষয়ে যদি আপনি অনুধাবন করেন তাহলে চিন্তাও করতে পারবেন না যে, আসলে যুদ্ধটা কতটা কষ্টের ছিল! যেমন; মদিনা থেকে বদর প্রান্ত ৮০ মাইল দূরত্বের পথ। যা কিলোমিটার হিসেবে 130 কিলোমিটার দূরে। 

চিন্তা করা যায় বিষয়টা কত কষ্টের, 130 কিলোমিটার রান করে বদর প্রান্তে গিয়েছিলেন। এদিকে মুসলিম সেনাপ্রধান ছিলেন মোহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ (স.)  মুহাজির ছিলেন 82 জন, আউস গোত্রের ছিল 61 জন, আর খাজরাজ গোত্রের ছিল 170 জন, মোট সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র 313 জন এই বাহিনী নিয়ে নবীজি স. বদর প্রান্তে পৌঁছেন।

অন্যদিকে অমুসলিম বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল এক হাজারের অধিক। যাদের  ঊঁট ছিল অগণিত এবং ঘোড়া ছিল ১০০টি। কোথায় মুসলমানদের দুইটি ঘোড়া আর অমুসলিমদের হাতে ছিল 100 ঘোড়া এবং অমুসলিম সেনাদের ছিল 6০০ লৌহবর্ম । এমন শক্তিশালী বাহিনী নিয়ে আবু জাহেল বদর প্রান্তে পৌঁছে। অমুসলিম বাহিনীর সেনাপ্রধান ছিল উতবা বিন রবিয়া।

তারপরেও মুসলমানরা আশ্চর্যজনকভাবে বিজয় লাভ করে। কারণ সেই যুদ্ধে মুসলমানদের বড় শত্রু আবু জেহেলকে হত্যা করা হয়। এবং আরো ৭০ জন অমুসলিমকে হত্যা করা হয়, ৭০ জনকে বন্দী করা হয়। এবং শেষ পর্যন্ত কাফেররা বাকি সৈন্য নিয়ে পালিয়ে যায়। মুসলমানদের জয়ের ধনী ছড়িয়ে পরে গোটা বিশ্বে। 

রোম পারস্যের রাজ রাজারা মুসলমানদের তৃতীয় শক্তি হিসেবে গণ্য করা শুরু করে। এই বিজয় মুসলমানদেরকে শক্তি যোগায় মুসলমানদের সাহস যোগায় এবং ইসলাম প্রচারে অনেক সহায়ক হয়।

এ বিজয়ে সরাসরি আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের দ্বারা সাহায্য করেন। মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ ছিল। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন তার নেতৃত্ব মোতাবেক তারা চলেছেন। তাদের মধ্যে কোন দলাদলি ছিলনা। ঐক্যবদ্ধ এক জাতী ছিল। বর্তমান সময়ে পৌনে 200 কোটি মুসলিম। অথচ মুসলমান নির্যাতিত, একটা কারণে, … মুসলমানরা আজ খন্ড বিখন্ড জাতি। মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য নেই। মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেছে। শিয়া-সুন্নি নামে আলাদা করেছে, রাফিযী খারিজি নামে আলাদা করেছে। হানাফী শাফি বলে আলাদা আলাদা দলে পরিণত হয়েছে। আহলে হাদিস নামে নতুন নতুন দল বের হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগ,-বিএনপি, জামাত, ইসলামী আন্দোলন নামে নানা দলে বিভক্ত। এর পিছনে বিধর্মীদের হাত রয়েছে, কারণ তারা ময়দানে কখনোই মুসলমানদের সাথে জিততে পারেনি। তবে তারা ক্রিটিকেল বুদ্ধি দিয়ে মুসলমানদেরকে ডিভাইডেড করে তারা বিজয় লাভ করছে।  কিন্তু দুঃখজনক মুসলমানরা আজ এটা বোঝেনা। মুসলমানদের সামনে ইসলামের কথা বললে, কোরআনের আয়াত পড়লে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম বা জিহাদের কথা বললে, মুসলমানরা-ই আজ বিরক্ত বোধ করে। মুসলমানরাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেগে যায় কি আশ্চর্য ব্যাপার! নিজেদের স্বাধীনতার কথা বললে, ইসলামের কথা বললে, ইসলামিক খেলাফতের কথা বললে, আমাদের আরেক মুসলমান ভাইয়ের শরীর জ্বলে ওঠে। খুব দুঃখজনক।

আসুন সময় থাকতে জাগ্রত হই। নবীজি যে পথ দেখিয়েছেন সেই পথে চলি। ঐক্যবদ্ধ থাকি। আল্লাহতালা আমাদের সবাইকে ইসলামী দাওয়াতি কাজে ও ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠার কাজে আত্মনিয়োগ করার তৌফিক দান করুন। আমীন


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color