কোন ভিটামিনের অভাবে অল্প বয়সে চুল পেকে যায়? - causes hair to gray at a young age?
কোন ভিটামিনের অভাবে অল্প বয়সে চুল পেকে যায়?
চুল পাকার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া অনেকের জন্যই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুলের রঙ পরিবর্তন হয়, তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি দ্রুত ঘটে, যার অন্যতম কারণ হলো ভিটামিনের ঘাটতি।
ভিটামিন বি১২ এর অভাব
চুল অকালেই পেকে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভিটামিন বি১২-এর অভাব। এই ভিটামিন আমাদের রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং চুলের ফলিকলকে পুষ্টি সরবরাহ করে। যখন শরীরে বি১২-এর ঘাটতি দেখা দেয়, তখন চুলের রঞ্জক (Melanin) উৎপাদন কমে যায়, যা চুলকে ধূসর বা সাদা করে ফেলে।
সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি
ভিটামিন বি১২-এর অভাবের লক্ষণ:
- চুল পাতলা হয়ে যাওয়া ও দ্রুত পেকে যাওয়া
- অবসাদ বা দুর্বলতা
- হাত-পা ঝিনঝিন করা
- স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া
ভিটামিন বি১২-এর উৎস:
এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে খাবারের মাধ্যমে বি১২ গ্রহণ করা জরুরি। এটি মূলত প্রাণীজ উৎস থেকে পাওয়া যায়, যেমন—
- ডিম
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য
- মাংস, বিশেষ করে গরুর মাংস ও মুরগির মাংস
- মাছ, বিশেষ করে স্যালমন ও টুনা
যারা নিরামিষভোজী, তারা বি১২-এর ঘাটতি পূরণে ফোর্টিফায়েড সিরিয়াল বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
ভিটামিন ডি-এর অভাব
ভিটামিন ডি-এর অভাবও চুলের রঙ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে। এটি চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনের উৎপাদনে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দীর্ঘসময় সূর্যালোক থেকে দূরে থাকেন, তাদের চুল দ্রুত পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ভিটামিন ডি-এর উৎস:
- রোদে পর্যাপ্ত সময় কাটানো
- মাছের তেল ও সামুদ্রিক মাছ
- ডিমের কুসুম
- দুগ্ধজাত খাদ্য ও সাপ্লিমেন্ট
ভিটামিন ই-এর অভাব
ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা চুলের ফলিকলকে সুরক্ষা দেয় এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এর অভাবে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বেড়ে যায়, যা চুল পাকার অন্যতম কারণ হতে পারে।
ভিটামিন ই-এর উৎস:
- বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার (আমন্ড, আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ)
- সবুজ শাকসবজি
- অলিভ অয়েল
উপসংহার
অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ জরুরি। ভিটামিন বি১২, ডি ও ই-এর অভাব পূরণ করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব। তাই খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।