কানে শো শো শব্দের ঔষধের নাম কি?
কানে শো শো শব্দের ঔষধের নাম কি? কানে শো শো শব্দ হওয়া বা টিনিটাস (Tinnitus) হলো এক ধরনের অস্বাভাবিক শব্দ, যা রোগী কেবল নিজেই অনুভব করেন। এটি বেশিরভাগ সময় কানের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি অন্য স্বাস্থ্য সমস্যারও লক্ষণ হতে পারে।
কানে শো শো শব্দের কারণ:
১. ইনফেকশন বা প্রদাহ: কানে ইনফেকশন হলে বা প্রদাহ দেখা দিলে শো শো শব্দ হতে পারে।
২. শরীরের রক্তচাপ পরিবর্তন: উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপের কারণে টিনিটাস হতে পারে।
3. শ্রবণশক্তির ক্ষতি: বয়সজনিত কারণে বা উচ্চ শব্দে বেশি সময় থাকার ফলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে, যার ফলে টিনিটাস হতে পারে।
৪. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু এন্টিবায়োটিক, অ্যাসপিরিন বা উচ্চমাত্রার পেইনকিলার ব্যবহারের ফলে টিনিটাস হতে পারে।
৫. ইয়ারওয়্যাক (কানের ময়লা): অতিরিক্ত ইয়ারওয়্যাক জমে গেলে কানে শো শো শব্দ হতে পারে।
আপনার কি ডলার প্রয়োজন? যোগাযোগ করুন 01303 483365
কানে শো শো শব্দের ঔষধের নাম:
টিনিটাসের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই, তবে কিছু ওষুধ কানের শো শো শব্দ কমাতে সহায়ক হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়।
১. বেটাহিস্টিন (Betahistine):
- এটি ভার্টিগো এবং মেনিয়ার্স রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- এটি কানের রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে টিনিটাস উপশম করতে সাহায্য করে।
২. সেরট্রালিন (Sertraline) ও পারোক্সেটিন (Paroxetine):
- এই ওষুধগুলো মূলত অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- মানসিক চাপ কমানোর মাধ্যমে টিনিটাসের লক্ষণ কমাতে পারে।
৩. এন্টিহিস্টামিন (Antihistamines):
- যেমন সিট্রিজিন বা লোরাটাডিন কিছু ক্ষেত্রে উপকার দিতে পারে।
৪. গাবাপেন্টিন (Gabapentin):
- এটি স্নায়ুর ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে টিনিটাস কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
৫. মেলাটোনিন (Melatonin):
- এটি ঘুমের সমস্যা দূর করতে ব্যবহৃত হয়, যা টিনিটাসের কারণে হওয়া অস্থিরতা কমাতে পারে।
প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা:
- ক্যাফেইন ও নিকোটিন এড়িয়ে চলুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম করুন।
- উচ্চ শব্দযুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ:
যদি কানে শো শো শব্দ দীর্ঘদিন ধরে থাকে বা এটি দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে, তবে অবশ্যই একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। উপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এর কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।