Narrow selection

হাই প্রেসার এর কারণে কি মাথা ব্যথা করে?


হাই প্রেসার এর কারণে কি মাথা ব্যথা করে?

ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ হচ্ছে আমাদের রক্তের চাপ যা আমাদের ধমনীতে রক্ত প্রবাহিত হতে সাহায্য করে। রক্তচাপের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মান থাকে সিস্টোলিক (উচ্চ চাপ) এবং ডায়াস্টোলিক (নিম্ন চাপ)। সাধারণত, সিস্টোলিক চাপ ১২০ মিমি.এইচ.জি. এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৮০ মিমি.এইচ.জি. হওয়া উচিত। যদি রক্তচাপ স্বাভাবিক সীমার বাইরে চলে যায়, তাহলে তা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে, প্রশ্ন হল ব্লাড প্রেশার বাড়লে কি মাথা ব্যথা হতে পারে?

 

ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেলে মাথা ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। তবে, মাথা ব্যথা কখনও কখনও তীব্র আকার নিতে পারে, যা মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা এমনকি মনের অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। রক্তচাপ বাড়লে আমাদের ধমনীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি হয়, যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

 

সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি

 

ব্লাড প্রেশারের কারণে মাথা ব্যথা হওয়ার পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে। রক্তচাপ বেড়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন অংশে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়, বিশেষত মাথার অংশে। এটি মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যা মাথা ব্যথার সৃষ্টি করে। উচ্চ রক্তচাপ মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করতে পারে, যার ফলে মাথা ব্যথা হতে পারে। এটি এক ধরনের স্নায়বিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে মস্তিষ্কের আংশিক ক্ষতি হতে পারে, যার ফলস্বরূপ মাথাব্যথা অনুভূত হয়।

 

এছাড়া, ব্লাড প্রেশার বাড়লে এমন কিছু লক্ষণও দেখা দেয় যা মাথা ব্যথা সৃষ্টি করতে সহায়ক। যেমন, চোখে ঝাপসা দেখা, বমি ভাব, ঘোরানো মাথা, অস্বস্তি ইত্যাদি। যদি রক্তচাপ অত্যধিক বেড়ে যায় এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে তা আরও মারাত্মক অবস্থা তৈরি করতে পারে, যেমন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক। এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

 

মাথাব্যথা যদি খুব তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে, তাহলে এটি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সংকেত হতে পারে। চিকিৎসক ব্লাড প্রেশার পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা মেডিকেশন প্রদান করবেন।

 

উপসংহারে, হ্যাঁ, ব্লাড প্রেশার বাড়লে মাথা ব্যথা হতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে সময়মতো রক্তচাপ পরীক্ষা এবং নিয়মিত চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ডায়েট, শারীরিক ব্যায়াম এবং যথাযথ বিশ্রাম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে, যার মাধ্যমে মাথাব্যথা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color