Narrow selection

বেদাত করলে কত বড় গুনাহ হয়?


04:10:54 06/16/2024

বেদাত করলে কত বড় গুনাহ হয়?

বিদআতের কারণে সুন্নত মিটে যায়-

ما ابتدع قوم بدعة الا رفع الله من سنتهم مثلها لا يعيدها اليهم الى يوم القيامة-

রাসূলে আকরাম (সা:) এরশাদ করেছেন যখন কোন সম্প্রদায় দ্বীনের মধ্যে নতুন কোন আমল আবিস্কার করে, তখন আল্লাহ্ তায়ালা তাদের দ্বীন হতে সম পরিমাণ সুন্নতকে তুলে নেন যাহা কিয়ামত পর্যন্ত আর ফিরাইয়া দেন না। সুনানে দারমী- হাদিস নং- ১০১

 

 বিদআতির তওবা নসীবে জোটে না

ان الله حجّب التوبة عن كل صاحب بدعة حتى يدع بدعة – طبرانى-

অর্থ : বিদআতী বিদআত পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত আল্লাহ্  পাক তওবাকে প্রাচীর দিয়ে তার জন্য আড়াল করে রাখেন, কাজেই সে তওবা করার ইচ্ছা বা মানুষিকতা থেকেই বঞ্চিত হয়ে যায়। তবরানী পৃঃ নং ৬২

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন

 

মানুষ বিদআতকে নেক কাজ মনে করে সওয়াবের নিয়তে তা করে থাকে, এটা গোনাহ্ মনে করে না। কাজেই তওবা করার প্রয়োজনও মনে করে না। ফলে শিরক ফিররিছালাত অর্থাৎ বিদআতের মত কবিরা গুণাহকে নেকের কাজ মনে করে করতে করতে তওবা ছাড়াই গুমরাহ্ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ্

 

عن ابى بكر الصديق ان رسول الله (صـ) قال ان ابليس اهلكتهم بالذنوب  فاهلكونى  بالاستغفار فلما رايت  ذالك اهلكتهم  بالاهواء فهم  يحسبون  انهم      مهتدون فلايستغفرون – كتاب السنة-

হযরত অবু বকর সিদ্দিক (রা:) হতে বর্ণিত রাসূলে আকরাম (সা:) এরশাদ করেছেন, ইবলিশ শয়তান বলে, আমি বনি আদমকে গুনাহের মধ্যে লিপ্ত করে বরবাদ করে দেই। আর তারা আমার সকল প্রচেষ্টা মেহনতকে ইস্তেগফার দ্বারা ধবংস করে দেয়। কাজেই আমি যখন তা অনুভব করলাম তখন আমি তাদের বিদআতে লিপ্ত করে বরবাদ করেদিলাম। অথচ তারা ধারণা করে উহা নেক কাজ এবং হেদায়েতের উপর প্রতিষ্ঠিত। সুতরাং তারা তওবা ও ইস্তেগফার করে না। (কিতাবুস সুন্নাহ, হাদিস নং- ৭)

 

বিদআতির কোন নেক আমল কবুল হয় না।

عن حذيفة (رضـ) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يقبل الله لصاحب بدعة صوما وصلاة ولا صدقة ولا حجا وعمرة ولا جهادا ولا صرفا ولا عدلا يخرج من الاسلام كما تخرج الشعرة من العجين – (ابن ماجة ٦)

হযরত রাসূল আকরাম (সা:) এরশাদ করেছেন, আল্লাহ্ পাক বিদআতির কোন (নেক আমল), রোজা, নামায, সদকা, হজ্ব, উমরা, জিহাদ, নফল, ফরজ ইবাদত কিছুই কবুল করেন না। আটার খামির হতে যেমন সহজে চুল বের হয়ে আসে, অনুরূপ ভাবে ইসলাম থেকে সে বের হয়ে যায়। ইবনে মাজা- ৬ পৃষ্ঠা।

উল্লেখিত হাদিসে বিদআতের ভয়াবহতা এবং পরকালের মারাত্মক ক্ষতির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

 

বিদআতের উৎস

পূর্ববর্তী সকল ধর্মই অবিকৃত ছিল না। নবী ইন্তেকালের পরেই মুহুর্তের মধ্যেই কোন ধর্ম বিকৃত হয়ে যায়নি। বরং প্রথমে বিদআতের অনুপ্রবেশ ঘটে। ক্রমান্বয়ে তা কুফর, শিরকে রূপ নেয়। ইসলাম ধর্মেও ইতোমধ্যে অনেক বিদআত অনুপ্রবেশ করেছে। বিশেষ করে এশকে রাসূলের নামে অনেক বিদআত আবিস্কার হয়েছে। এশকে রাসূলের মাপ-কাঠি না জানাই এর মূল কারণ।

 

এশকে রাসূলের মাপ-কাঠি ও পদ্ধতির বা নিয়ম নীতি না জেনে আশেকে রাসূল (সা.) দাবীদারদের দ্বারাই বেশীর ভাগ বিদআতের উদ্ভব ঘটেছে। যেমন- রাসূল (সা:) কে মহাব্বতের জোসে আলিমুল গয়িব, হাজির-নাজির, সর্বময় ক্ষমতা ধর আল্লাহ্ পাকের আকার ধারণকারী, নূরের তৈরী বা নূরে মুজাচ্ছাম ইত্যাদি মনে করা। মুহাব্বতের জোসে বর্তমান সমাজে রাসূলের শানে প্রচলিত মিলাদুন্নবী (সা:) ও তার মধ্যে কিয়াম করা এসবই বিদআতের অন্তর্ভুক্ত।

 

বিদআত সঠিক দ্বীন পরিবর্তনের কৌশল

বিদআতের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে, যদি ইবাদতের মধ্যে মনগড়া নিয়ম, পদ্ধতি, শর্ত চালু করা হয়, তাহলে সঠিক দ্বীন পবির্তন হয়ে যাবে। কেননা কিছুদিন পর আসল এবং নকল সংমিশ্রণ হয়ে সঠিক দ্বীন নির্ণয় করা কঠিন হয়ে এমন এক পর্যায় গিয়ে দাঁড়াবে যে, নকল নিয়মই মানুষ আসল দ্বীন মনে করতে থাকবে। এমন কি উহাকেও বাদ দিতে বা না করলে তাকে কাফের ফতুয়া দেওয়া হবে।

 

যেমন বর্তমান সমাজে প্রচলিত মিলাদ ও কিয়াম, ঈদে মিলাদুন্নবী ইত্যাদি  না করলে তাকে কাফের ফতুয়া দেওয়া হয়। পক্ষান্তরে কেউ নামায, রোজা, হজ্ব, যাকাত, পর্দা বা হালাল, হারাম না মানলে তাকে কাফের ফতুয়া দেওয়া হয় না। নাউযুবিল্লাহ্

 

ব্যাপারটা স¤পূর্ণ উল্টা হয়েছে। যা হোক পূর্ব যুগের উম্মতগণের মধ্যে দ্বীন পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় কারণ ছিল আসমানি কিতাব ও স্বীয় নবীর প্রদর্শিত ইবাদতের মধ্যে নিজেদের পক্ষ হতে নতুন নতুন নীতি আবিস্কার করা। যাতে সঠিক বা আসল দ্বীন এবং নকল দ্বীনের মধ্যে জন সাধারণের জন্য পার্থক্য করা দুঃসাধ্য হয়ে যায়। আমাদের বর্তমান সমাজের দিকে তাকালেই যা সহজেই বুঝে আসে।

 

অতএব এজন্যেই হযরত নবী করিম (সা:) শিরক এর পর বিদআত থেকে দুরে থাকার জন্য উম্মতকে বিশেষ ভাবে সাবধান করেছেন। কারণ বিদআত দ্বারা ধর্মের বাস্তব ও সঠিক রূপ রেখা পরিবর্তন হয়ে যায়।

 

বিদাআতী সম্মানের উপযুক্ত নয়

عن ابراهيم بن ميسرة (رضـ) قال  قال  رسول  الله  صلى الله عليه  وسلم  من  وقرصاحب بدعة فقد اعان على هدم الاسلام – بيهقى

অর্থ : হযরত ইব্রাহিম ইবনে মাইসারা (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত রাসূল আকরাম (সা:) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি বিদআতীকে সম্মান করল সে মূলত: ইসলামকে ধবংস করার কাজে সাহায্য করল। বাইহাকী- ৫২৩

 

বিদআতীর আমল যেহেতু শরীয়ত বহির্ভূত, সেহেতু দ্বীন ইসলাম তার আমল দ্বারা বিকৃত হয় এবং গুনাহকে সে নেকী মনে করে যা কুফুরীর দিকে নিজে এবং জাতিকে ধাবিত করে। যার কারণে সে আল্লাহর নিকট ঘৃণিত হয়। আর আল্লাহ্ পাকের নিকট যে ঘৃণিত হয় তার সম্মান প্রদর্শন করার প্রশ্নই আসে না। এই জন্য রাসুলে আকরাম (সা:) বিদআতীকে সম্মান প্রদর্শন করা দ্বীন ইসলামকে ধ্বংসের সহযোগি হিসাবে সামিল করেছেন।

 

নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?

সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color