Narrow selection

বয়ান কাকে বলে ও কত প্রকার - Boyan Kake Bole


12:34:03 06/13/2024

বয়ান কাকে বলে ও কত প্রকার

 

তাবলীগী বয়ান করা সম্পর্কে কয়েকটি উপদেশ।

১. কুরআন, হাদীস, হায়াতে সাহাবা ও বুযুর্গদের জীবনী থেকে     বয়ান  করার চেষ্টা করা।

২. ভাষার মধ্যে ন¤্রতা, ভদ্রতা কমলতা, সাবলিলতা, ভালবাসা, আবেগ ও ব্যথার মিশ্রণ থাকা।

৩. রাজনৈতিক  কোন কথা না বলা।

৪. কাহারো উপরআক্রমনামূলক কোন কথা না বলা।

৫. ইংরেজী শব্দ বলার চেষ্টা না করা।

৬. তাবলীগের ছয় ছিফাতের উপর কথা বলার চেষ্টা করা।

৭. উলামায়েকেরাম থেকে তাহক্বীক্ব করে কথা বলা।

৮. উলামায়েকেরেম ব্যতিত অন্য কেউ কুরআন ও হাদীসের মূল আরবী বলার চেষ্টা না করা।

৯. মজমার অবস্থানুযায়ী কথা বলা।

১০. মজমা ছোট-বড় হিসেবে আওয়াজ ছোট-বড় করা।         

১১. আলেম ব্যতিত অন্য কেউ কোন আম সাথীর থেকে কোন কথা শুনে তা বয়ানে না বলা। বরং উলামায়েকেরাম থেকে তা তাহক্বীক্ব করে বলা। যদিও সে তাবলীগের পুরাতন সাথী হয়।

১২. আলেম ছাড়া অন্য কেউ মসজিদের মেম্বরে বসার চেষ্টা না করা।

১৩. শ্রতাদের আগ্রহের উপর কথা লম্বা বা সংক্ষিপ্ত করা।

১৪. বয়ানের মধ্যে দাওয়াতের জিম্মাদারী বুঝানোর চেষ্টা করা।

১৫. তাবলীগের উলামায়েকেরাম যেভাবে বয়ান ও দোয়া করেন  সেভাবে বয়ান ও দোয়া করার চেষ্টা করা।

১৬. বয়ানের শেষে আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার জন্য খুব গুরুত্বের সাথে তাশকীল করা।

১৭. নিজের কোন কৃতিত্ব বয়ানে না বলা।

১৮. মজমাতে উলামায়েকেরাম থাকলে হাত নাড়িয়ে কথা না বলা।

১৯. গুরুত্বপূর্ণ কোন কথা আসলে তা একাধিকবার বলা।

২০. অনর্থক ও অতিরিক্ত কোন কথা যেমনঃ- এরকম ভাবে, বলেন যে, বুঝে আসছে, এ্যা ইত্যাদি বারবার না বলা।

২১. শ্রতাদের দিকে তাকিয়ে কথা বলা।

২২. হাতের দ্বারা বারবার কোন কাজ যেমনঃ- কোথাও চুলকানো, স্পর্শ করা ইত্যাদি না করা।

 

এখানে কয়েকটি বয়ানের সারাংশ বর্ণনা করা হলোঃ

  نحمده و نصلى على رسوله الكريم اما بعد فاعو>بالله من الشيطان الرجيم بسم الله الرحمن الرحيم

  يايها ال>ين امنوا امنوا وقال تعالى الم تر كيف ضرب الله مثلا كلمة طيبة كشجرة طيبة اصلها ثابت وفرعها فى السماء تؤتى اكلها كل حين با>ن ربها-  و قال رسول الله صلى الله عليه و سلم جددوا ايمانكم قيل يا رسول الله و كيف نجددايماننا قال اكثروا من قول لا اله الا الله- اوكما قال صلعم +

 

বয়ানঃ

এখানে কয়েকটি বয়ানের সারাংশ বর্ণনা করা হলো।

১ নাম্বার বয়ান ইমান সম্পর্কে

  ১.আল্লাহ তা‘য়ালা এরশাদ ফরমানঃ

অর্থঃ- (হে নবী) আপনি কি জানেন না, আল্লাহ তা‘য়ালা কালেমায়ে তাইয়্যেবার কেমন সুন্দর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন ? উহা একটি পবিত্র বৃক্ষসাদৃশ যার শাখা-প্রশাখা স-উচু আসমানে। এই বৃক্ষটি আল্লাহর হুকুমে প্রত্যেক মৌসুমে ফল দেয় অর্থাৎ খুব ফল ধরে।(সূরা ইব্রাহীম,আয়াত-২৪,২৫)

 

২. আল্লাহ তা‘য়ালা এরশাদ ফরমানঃ 

অর্থঃ- হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমান আনো।

ব্যখ্যাঃ-

 

৩. নবী করীম (স.)এরশাদ ফরমান

অর্থঃ- হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল (স.) এরশাদ ফরমান, তোমরা তোমাদের ইমানকে সতেজ বা তাজা করিতে থাকো। প্রশ্ন করা হলে কিভাবে আমরা ইমানকে তাজা করিবো ? তিনি বলিলেন বেশী বেশী করে“ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ”বলিতে থাকো ।(মোসনাদে আহমাদ)

 

৪. নবী করীম (স.)এরশাদ ফরমানঃ-

 অর্থঃ-হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আসরা হতে বর্ণিত রাসূল (স.)এরশাদ ফরমান, ইমান তোমাদের অন্তরে এমনভাবে পুরাতন হয়ে যায় যেমন কাপড় পুরাতন হয়ে যায়। কাজেই তোমরা আল্লাহ তা‘য়ালার নিকট দোয়া করো যেন তিনি তোমাদের অন্তরে ইমানকে তাজা রাখেন।(মোসতাদরাকে হাকিম)।

 

৫. কালেমায়ে ত্বইয়্যিবাঃ

অর্থঃ-আল্লাহ তা‘য়ালা ব্যতিত কোন মাবূদ নেই, হযরত মুহাম্মাদ (স.) আল্লাহর রাসূল।

 

৬. কালেমায়ে শাহাদাত :

অর্থঃ-আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ তা‘য়ালা ব্যতিত আর কোন মাবূদ নেই। এবং আমি আর সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মাদ (স.) তার বান্দা ও রাসূল।

 

৭. ইমানে মুজমালঃ

অর্থঃ আমি ইমান আনিলাম আল্লাহ তা‘য়ালার উপর যেরকম তিনি তার নামসমূহ ও গুনাবলীর সহিত আছেন এবং আমি তার সমস্ত বিধি বিধান মানিয়ে নিলাম।

 

৮. ইমানে মুফাছছালঃ 

অর্থঃ-আমি ইমান আনিলাম আল্লাহ তা‘য়ালার উপর , তার ফেরেস্তাগণের উপর, তার রাসূলগণের উপর, পরকালের দিনের উপর, ভালো-মন্দের তাকদীর আল্লাহর পক্ষ থেকে এর উপর এবং মৃত্যুর পর পুনরায় জিন্দা হওয়ার উপর।

 

৯.পবিত্র কুরআনে ঈমানী কালেমার উপমা, আল্লাহ তা‘য়ালার এরশাদ

অর্থঃ-(হে নবী) আপনি কি দেখেন না, আল্লাহ তা‘য়ালা কালিমা তাইয়্যেবার কেমন সুন্দর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন ? উহা একটি পবিত্র বৃক্ষের মত যার শিকড় অত্যন্ত মুজবতের সাথে মাটিতে গেড়ে আছে। আর উহার শাখা-প্রশাখা সু-উচু আসমানে বিস্তৃত। এবং বৃক্ষটি আল্লাহর হুকুমে সবসময় সকল মৌসুমে ফল দেয়। অর্থাৎ সবসময় খুব বেশী ফল ধরে। আল্লাহ তা‘য়ালা এসব দৃষ্টান্ত এজন্য বর্ণনা করেন যাতে মানুষ খুব ভাল ভাবে বুঝতে পারে।(সূরা ইব্রাহীম-২৪,২৫)

 

অনুরূপ ভাবে উক্ত কালিমা তার পাঠকারীকে দুনিয়া ও আখেরাতে সবসময় উপরকার পৌছাবে। 

 

১০. নবী করীম (স.)এরশাদ ফরমানঃ

অর্থঃ-হযরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স.) ফরমান, তোমরা তোমাদের ্্্্্্ঈমানকে তাজা করিতে থাক, কেহ আরজ করিল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা আমাদের ঈমানকে কিভাবে তাজা-নবায়ন করিবো ? তিনি বলিলেন “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বেশী বেশী বলিতে থাক। (মুসনাদে আহমাদ, তাবয়ানী, তারগীব)।

 

১১. নবী করীম (স.)এরশাদ ফরমানঃ-

অর্থঃ-হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(স.) এরশাদ করেন, তোমাদের অন্তরে ঈমান এমনিভাবে পুরাতন (দুর্বল) হয়ে যায় যেমন কাপড় পুরাতন হয়ে যায়, সুতরাং তোমরা আল্লাহর নিকট দোয়া কর যেন তিনি তোমাদের অন্তরে ঈমানকে তাজা রাখেন। (মসতাদরাকে হাকীম)।

 

২ নাম্বার বয়ান পরকালের সাত প্রশ্ন সম্পর্কে

 কবরে তিনটি ও কেয়ামতের দিন চারটি।

কবরের তিনটি প্রশ্ন যথাঃ-১. তোমার রব কে? ২. তোমার দ্বীন কি ? ৩. এই ব্যক্তি যাকে তোমাদের নিকট নবী হিসেবে পাঠানো হয়েছিলো অথাৎ মুহাম্মাদ (স.) তাঁর ব্যাপারে তোমার কি ধারণা?

দলীলসহ, বিস্তারিতঃ-

 

অর্থঃ-হযরত বারা ইবনে আযেব রা. বর্ণনা করেন, রাসূল (স.) এর সহিত আমরা একজন আনসারী সাহাবীর জানাযায় অংশ গ্রহণ করিলাম। আমরা কবরের নিকট যেই সময় পৌঁছালাম তখনো কবর খননের কাজ শেষ হয় নাই। রাসূল (স.) বসিলেন আমরাও তাঁর আশে পাশে এমন নীরবে বসিলাম, যেন আমাদের মাথার উপর পাখি বসে আছে। রাসূল (স.) এর হাত মুবারকে একটি  কাঠি ছিল সেই কাঠি দ্বারা তিনি মাটি খোছাইতে ছিলেন।

 

তারপর তিনি মাথা উঠাইয়া দুই অথবা তিন বার বলিলেন, কবরের আযাব হতে আল্লাহ তা‘য়ালার নিকট আশ্রয় চাও। তারপর বলিলেন কবরে দুইজন ফেরেস্তা আসেন, তারা কবরবাসীকে বসান, তারপর প্রশ্ন করেন, তোমার রব কে? সে বলে আল্লাহ আমার রব। পুনরায় প্রশ্ন করা হয়, তোমার দ্বীন কি? সে বলে ইসলাম আমার দ্বীন। তারপর বলে যাকে তোমাদের নিকট প্রেরণ করা হয়েছিল তার সম্পর্কে তোমার কি ধারণা? সে বলে তিনি আল্লাহ তা‘য়ালার রাসূল (স.)।

 

ফেরেস্তাতারা বলেন, তোমাকে এই কথা কে বলেছে? সে বলে আমি আল্লাহর কিতাব পাঠ করেছি, তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি, তা সত্য বলে মেনেছি। রাসূল (স.) বলেন ,তারপর বলেন একজন ঘোষক আসমান হতে ঘোসণা করেন আমার বান্দা সত্য বলেছে, তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও। জান্নাতের পোশাক তাকে পরিধান করিয়ে দাও। জান্নাতের দিকে তার জন্য একটি দরজা খুলে দাও। তারপর সেই দরজা দিয়ে জান্নাতের মৃদু বাতাস এবং সুবাস আসতে থাকে।

 

কবরকে তার জন্য দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত প্রসারিত করে দেওয়া হয়। রাসূল (স.) তারপর কাফেরের মৃত্যুর আলোচনা করিলেন  এবং বলিলেন ফেরেস্তা এসে তাকে বসান এবং প্রশ্ন করেন, তোমার রব কে ? সে বলে হায় হায় আফসোস আমি কিছুই জানি না। তারপর ফেরেস্তা জিজ্ঞাসা করেন তোমার দ্বীন কি  ? সে বলে হায় হায় আফসোস আমি কিছুই জানি না। তারপর প্রশ্ন করেন, তোমার নিকট যাকে পাঠানো হয়েছে তাঁর সম্পর্কে তোমার ধারণা কি ? সে বলে হায় হায় আফসোস আমি কিছুই জানি না।

 

সেই সময় আল্লাহ তা‘য়ালার পক্ষ হতে আসমান হতে একজন ঘোষক ঘোষণা করেন, এই ব্যক্তি মিথ্যা বলেছে। তারপর ঘোষণা করা হয়, তার জন্য আগুনের বিছানা বিছিয়ে দাও। তাকে আগুনের পোশাক পরিধান করিয়ে দাও, আর দোযখের দিকে একটি দরজা খুলে দাও। রাসূল (স.) বলেন, দোযখের উত্তাপ ও ঝলসানো বাতাস তার নিকট পৌছাতে থাকে। তার কবর এতো সংকীর্ণ করে দেওয়া হয় যে, তার পাঁজরের হাড় একটি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়ে যায়। (আবু দাউদ-মুন্তাখাব হাদিস-১০৬)। 

 

কেয়ামতের দিন চার প্রশ্ন যথাঃ

১. সারাটি জীবন কোন কাজে ব্যয় করেছ ?

২. যৌবন কাল কোন কাজে ব্যয় করেছ ?

৩. ধন-সম্পদ কিভাবে অর্জন করেছ ও কোথায় খরচ করেছ ?

৪. যেই পরিমান এলম শিক্ষা করেছ উহার উপর কতটুকু আমল করেছ ?

 

দলীলসহ বিস্তারিতঃ-

অর্থঃ-নবী করীম (স.) এরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন চারটি প্রশ্নের জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত কিয়ামতের দিবসে কোন ব্যক্তি স্বস্থান হতে বিন্দুমাত্রও আপন কদম হটাতে পারবে না। ১.সারাটা জীবন কোন কাজে ব্যয় করেছ। ২. যৌবন কাল কোন কাজে ব্যয় করেছ। ৩.ধন-দৌলত কিভাবে অর্জন করেছ ও কোথায় খরচ করেছ। ৪ যেই পরিমান ইলম শিক্ষা করেছ উহার উপর কতটুকু আমল করেছ। (বায়হাকী- ফাযায়েলে আমল-৩৬)

 

  ৩ নাম্বার বয়ান আল্লাহ তা‘য়ালা একত্ববাদ সর্ম্পকে

১. অর্থঃ-(হে নবী) বলুন, তিঁনিই এক আল্লাহ। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিঁনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয়নি। এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। (সূরা এখলাছ) 

২. অর্থঃ-আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিঁনি চিরজীব, সবকিছুর ধারক।(সূরা-আলে ইমরান,আয়াত-২)

৩. অর্থঃ- আল্লাহ, তিঁনি ব্যতিত কোন উপাস্য নেই। সব সৌন্দর্যমন্ডিত নাম তাঁরই।(সূরা ত্ব-হা,৮)

৪. অর্থঃ- আমিই আল্লাহ ব্যতিত কোন এলাহ নেই। অতএব আমারই এবাদত কর এবং আমার স্বরণার্থে নামায কায়েম কর।( সূরা -ত্ব-হা, ১৪)

৫. অর্থঃ- যদি নভোমন্ড ও ভূ-মন্ডলে আল্লাহ ব্যতিত অন্যান্য উপস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তাঁরা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র।(সূরা আম্বিয়া -২২)

৬. অর্থঃ-আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি, তাঁকে এ আদেশেই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতিত অন্য কোন উপাস্য নেই সুতরাং আমারই এবাদত কর। (সূরা আম্বিয়া,২৫)

৭. অর্থঃ-তাঁরা কি আল্লাহ ব্যতিত অন্যান্য উপাস্য গ্রহণ করেছে ? বলুন, তোমরা তোমাদের প্রমাণ আন।্্্্্্ এটাই আমার সঙ্গীদের কথা,এটাই আমার পূর্ববতীদের কথা। বরং তাদের অধিকাংশই সত্য জানে না অতএব তারা টালবাহানা করে ।(সূরা আম্বিয়া-২৪)

৮. অর্থঃ-নিশ্চই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করেদেন, তার জন্য বাসস্থান হয় জাহান্নাম।অত্যাচারীদের কোন সাহায্য নেই।(সূরা আল মায়েদাহ-৭২)

৯. অর্থঃ-নিশ্চই তারা কাফের যারা বলে,আল্লাহ তিনের এক অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই। যদি তারা স্বীয় উক্তি থেকে নিবৃত্ত না হয় তবে তাদের মধ্যে যারা কুফুরে আটক থাকবে, তাদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পতিত হবে।(সূরা আল মায়েদাহ,৭৩)

১০. অর্থ-নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তার সাথে শরীক করে। তিঁনি ক্ষমা করেন নি¤œ পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে সে যেন অপবাদ আরোপ করল।(সূরা আন নিসা-৪৮)

 

৪ নাম্বার বয়ান আল্লাহ তা‘য়ালা রিযিকদাতা সম্পর্কে

১. অর্থঃ- আল্লাহ তা‘য়ালাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত।(সূরা আয যারিয়াত-৫৮)

২. অর্থঃ-আমার কাছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার রয়েছে। আমি নির্দিষ্ট পরিমানেই তা অবতরণ করি।(সূরা হিজর-২১)

৩. অর্থঃ- আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ  নিয়েছেন, তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়।(সূরা হূদ-৬)

৪. অর্থঃ- যদি আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেন, তবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃিষ্ট করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চই তিনি তাঁর বান্দাদের খবর রাখেন ও সবকিছুর খবর রাখেন।(সূরা আশ শুরা-২৭)

৫. অর্থঃ-বলুন, আমার পালনকর্তা তার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে রিযিক বারিয়ে দেন এবং সীমিত পরিমানে দেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময়ে দেন। তিনি উত্তম রিযিকদাতা।(সূরা সাবা-৩৯)

৬. অর্থঃ-বলুন, নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল থেকে কে তোমাদের কে রিযিক দেয়। বলুন, আল্লাহ। আমরা অথবা তোমরা সৎ পথে অথবা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছি ও আছো?(সূরা সাবা-২৪)

৭. অর্থঃ-আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা হ্্রাস করেন। নিশ্চই, আল্লাহ সববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।(সূরা আনকাবূত-৬২)

৮. অর্থঃ-এমন অনেক জন্তু আছে, যারা খাদ্য সঞ্চিত করে রাখে না।আল্লাহই রিযিক দেন তাদেরকে এবং তোমাদেরকেও।তিনি সর্বশ্রোতা,সর্বঙ্গ।(সূরা আনকাবূত-৬০)

৯.অর্থঃ-তোমাদের রিযিক এবং যা কিছু অঙ্গীকার করা হয়েছে তা আসমানে।(সূরা )

১০. অর্থঃ-আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর।(।(সূরা আলে ইমরান-৬৭)

১১. অর্থঃ- হযরত ওমর রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন যে, আমি নবী করীম(স.)কে একথা এরশাদ করতে শুনেছি যে, যদি তোমরা আল্লাহ তা‘য়ালাকে ভরসা করার মত ভরসা কর তাহলে আল্লাহ তা‘য়ালা তোমাদেরকে পাখীর মত রিযিক দিবেন যেমন পাখিরা সকালে খালি পেটে বের হয় এবং ভরা পেটে ফিরে আসে।

 

৫ নাম্বার বয়ান আল্লাহ তা‘য়ালান কুদরত বা ক্ষমতা সম্পর্কে

১. অর্থঃ-পূণ্যময় তিনি, যার হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান। (সূরা আল মুলক-১)

২. অর্থঃ-সকল ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা‘য়ালারই।

৩. অর্থঃ-বলুন, আমার পালনকর্তার কথা, লেখার জন্য যদি সমুদ্রের পানি কালি হয়,তবে আমার পালনকর্তার কথা,শেষ হওয়ার আগেই সে সমুদ্র নিঃশোষিত হয়ে যাবে। সাহায্যার্থে অনুরুপ আরেকটি সমুদ্র এনে দিলেও।(সূরা কাহাফ-১০৯)

৪. অর্থঃ-পৃথিবীতে যত বৃক্ষ আছে, সবই যদি কালি হয় এবং সমুদ্রের সাথেও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়ে কালি হয়, তবুও তার বাক্যবলী লিখে শেষ করা যাবে না। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।(সূরা লোকমান-২৭)

 

৫. অর্থঃ-যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে আকাশ থেকে বারি বর্ষন করে, এতপর তাদ্বারা  মৃত্তিকাকে উহার মৃত হওয়ার পর সঞ্জীবিত করে, তবে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না।(সূরা আনকাবূত-৬৩)

 

৬. অর্থঃ-আপনি বলুন, বলতো দেখি, যদি আল্লাহ তোমাদের কান,ওচোখ নিয়ে          যান এবং তোমাদের এবংতোমাদের অন্তওে মোহর এঁটে দেন, তবে আল্লাহ ব্যতিত এমন উপাস্য কে আছে,যে এগুলো এনে দিবে? দেখ,আমি কিভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিদর্শনবলী বর্ণনা করি।তথাপি তারা বিমুখ হচ্ছে।(সূরা আন আনআম-৪৬)

 

৭. অর্থঃ-বলে দিন, দেখতো যদি আল্লাহর শাস্তি,আকস্মিত কিংবা প্রকাশ্যে তোমাদের উপর আসে, তবে জালেম সম্প্রদায় ব্যতিত কে ধ্বংস হবে ?(সূরা আন আনআম-৪৭)

 

৮. অর্থঃ-বলুন,ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি রাতকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী  করেন,তবে আল্লাহ ব্যতিত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে আলোকদান করতে পাওে ? তোমরা কি তবুও কর্ণপাত করবে না।(সূরা আন কাসাস)

 

৯. অর্থঃ- বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি দিনকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন,তবে আল্লাহ ব্যতিত এমন উপাস্য কে আছে যে তোমাকে রাতদান করতে পারে, যাতে তোমরা বিশ্রাম করবে .? তোমরা কি তবুও ভেবে দেখ না ?(সূরা কাসাস ৭৩)

 

১০. অর্থঃ-বলুন,ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকার।তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যা কে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। তুমি রাতকে দিন এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও।আর তুমিই জীবিতকে মৃতের এবং মৃতকে জীবিতের থেকে বের করেন।আর তুমি যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিকদান কর। (সূরা আলে ইমরান-২৬-২৭)

 

১১. অর্থঃ-তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি আছে রয়েছে। এগুলো তিনি ব্যতিত কেউ জানেন না। স্থলে ও জলে যা আছে, তা তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরেন, কিন্তু তা তিনি জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না, এবং কোন আদ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না, কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।(সূরা আল আনআম-৫৯)

 

১২. অর্থঃ-তাঁর আরও নিদর্শন, রাতে ও দিনে তোমাদের নিদ্রা এবং তাঁর কৃপা অন্বেষণ।  নিশ্চয় এতে মনোযোগী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শণবলী রয়েছে।(সূরা আর রুম-২৩)

 

১৩. অর্থঃ-তিন্্িই রাত্রি বেলায় তোমাদেরকে বায়ায় ও করেনেন এবং যা কিছু তোমরা দিনের বেলায় কর, তা তিনি জানেন।অতঃপর তোমাদেরকে দিবসে সমুখিত করেন। যাতে নিদিষ্ট ওয়াদা পূর্ণ হয় অতঃপর তাঁরই দিকে তোমাদেরকে যেতে হবে এবং তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্মের ব্যপারে অবহিত করবেন। (সূরা আন আনআম-৬০)

 

১৪. অর্থঃ-আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, তিনি সব কিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রা স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রা ও নয়। আসমান জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর  অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা  থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে রেখেছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সর্বচ্চো ও সর্বাপেক্ষা মহান।(সূরা আল বাকারা-২৫৫)

 

১৬. অর্থঃ- আমি তোমাদের কে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস করো না ? তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি করি ? (সূরা আল ওয়াকিয়া-৫৭,৫৮)

 

১৭. অর্থঃ-তোমরা যে বীজবপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি ? তোমরা তা উৎপন্ন কর, না আমি উৎপন্নকারী। আমি ইচ্ছা করলে তা খড় কুটা করে দিতে পারি।অতপর হয়ে যাবে বিস্ময়াবিষ্ট।(সূরা ওয়াকিয়া-৬৩,৬৪,৬৫)

 

১৮. অর্থঃ-তোমারা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি তা বর্ষণ করি ? আমি ইচ্ছা করলে লোনা করে দিতে পারি। অতপর কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না ? তোমরা যে অগ্নিপ্রজ্বলিত কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি ? তোমারা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছো , না আমি সৃষ্টি করেছি ? আমিই সে বৃক্ষকে করেছি স্বরনিকা এবং মরুবাসীদের  জন্যে সামগ্রী। (সূরা ওয়াকিয়া-৬৮-৭৩)

 

১৯. অর্থঃ- তারা আল্লাহকে যথার্থরুপে বোঝেনি। কেয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তার হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমূহ ভাজ করা থাকবে তার ডান হাতে। তিনি পবিত্র । আর এরা যাকে শরীক করে তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে। সিংগায় ফুক দেয়া হবে ফলে আসমান ও যমিনে যারা আছে সবাই বেহুস হয়ে যাবে। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন। অতপর আবার সিংগায় ফুক দেয়া হবে তৎক্ষনাত তারা দন্ডায়মান হয়ে দেখতে থাকবে।পৃথিবী তার পালন কর্তার নূরে উদ্ভাসিত হবে। আমলনামা স্থাপন করা হবে। পয়গম্বরগণ ও সাক্ষীগণকে আনা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায় বিচার করা হবে। তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। প্রত্যেকে যা করেছে তার পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে। তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্মক অবগত।(সূরা যুমার ,৬৭Ñ৭০)

 

২০. অর্থঃ- যিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি তাদের অনুরুপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন ? হাঁ, তিনি মহা¯্রষ্টা, সর্বজ্ঞ। তিনি যখন কোন কিছু ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়। অতএব পবিত্র তিনি, যার হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তারই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরা ইয়াসিন-৮১-৮৩)

 

২১. অর্থঃ-তিনি যা চান তাই করেন।(সূরা বুরুজ-১৬)

২২. অর্থঃ- আল্লাহ তা‘য়ালা দিন ও রাত্রির পরিবর্তন ঘটান , এতে অন্তর দৃষ্টি সম্পন্ন গণের জন্যে চিন্তার উপকরণ রয়েছে। (সূরা আন নূর-৪৪)

২৩. অর্থঃ-আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন। (সূরা হজ্জ-১৮)

 

২৪. অর্থঃ-আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোন কষ্ট দেন তবে তিনি ব্যতিত তা অপসারনকারী কেউ নাই। পক্ষান্তরে যদি তোমরা মঙ্গল করেন তবে তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। তিনি পরাক্রান্ত স্বীয় বান্দাদের উপর। তিনি জ্ঞানময়,সর্বজ্ঞ।(সূরা আল আনআম-১৭-১৮)

 

৬ নাম্বার বয়ানঃ আল্লাহ খালেক বা সৃষ্টিকর্তা হওয়া সম্পকৃত আয়াত সমূহ 

১. অর্থঃ-আল্লাহ সবকিছুর স্্রষ্টা এবং তিনি সবকিছুর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।(সূরা আল যুমার)         

২. অর্থঃ-আপনি যদি তাদের কে জিজ্ঞেস করেন,নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল কে সৃষ্টি করেছেন তারা অবশ্যই বলবে,আল্লাহ।বলুন সকল প্্র্রশংসাই আল্লাহর।বরং তাদের অধিকাংশই জ্ঞান রাখে না।(সূরা লোকমান-২৫

৩. অর্থঃ-যদি আপনি তাদের কে জিজ্ঞেস করেন,কে নভোমন্ডল ও কে ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন,চন্দ্র ও সূর্যকে  কর্মে নিয়োজিত করেছে? তবে তারা অবশ্যই বলিবে আল্লাহ্।তবে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে? (সূরা আন-কাবুত-৬১)

৪. অর্থঃ-আপনার পালনকর্তা যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন।এবং পছন্দ   করেন।তাদের কোন ক্ষমতা নেই।আল্লাহ পবিত্র এবং তারা যাকে শরীক করে তা থেকে উর্দ্ধে। (সূরা আল কাসাস) 

 

৫.অর্থঃ-আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন অতঃপর রিযিক দিয়েছেন,্্্্্্্্্্্এরপর তোমাদের জীবিত করবেন ,তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি যে এসব কাজের মধ্যে কোন ্একটিও করতে পারবে।তারা যাকে শরীক করে আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মহান।(সূরা আররুম-৪০)

৬.অর্থঃ-তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে ্এক এই যে,তিনি মৃত্তিকা থেকে তোমাদের সৃিষ্ট করেছেন এখন তোমরা মানুষ,পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছ।(সূরা আররুম-২০)

৭. অর্থঃ-আল্লাহ প্রথম বার সৃষ্টি করেন অতঃপর তিনি পুনরায় সৃষ্টি করবেন।এরপর তোমরা তার দিকে প্রতবর্তিত হবে।(সূরা আররূম-১১)

৮.অর্থঃ- আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।(সূরা ত্বীন-৪)

 

৯.’অর্থঃ-আল্লাহ তায়ালা সমস্ত জীব সৃষ্টি করেছেন পানি হতে,উহাদেও কতক পেটে ভর দিয়ে চলে,কতক দুই পায়ে চলে এবং কতক চলে চার পায়ে ,আল্লাহ তায়ালা যাহা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন ।নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্ববিষয় সর্বশক্তিমান।(সূরা নূর-৪৫)ু

 আকাশকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি।(সূরা উহা বানিয়েছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং ্্্্উহাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি।(সূরা মুলক-২-৫)

১০.অর্থঃ-যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন,তোমাদিগকে পরীক্ষা করার জন্য কে তোমাদেও মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী,ক্ষমাশীল।যিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সপ্তাকাশ।দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখিতে পাবে না।তুমি আসার তাকিয়ে  দেখ,কোন ত্রুটি দেখিতে পাওে কি? অতঃপর তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরাও,সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার ফিরে আসবে।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের উপায়

সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color