কাবা নির্মাণকাবা নির্মাণ
07:09:35 01/04/2025
কাবা নির্মাণ এবং মহানবী সা. কে সর্বসম্মতিক্রমে আমীন মেনে নেয়া
যখন মহানবী সা. এর বয়স ৩৫ বছর হল, তখন কুরাইশগণ নতুন করে বায়তুল্লাহ নির্মাণের ইচ্ছা করলেন। বায়তুল্লাহ এর নির্মাণ প্রত্যেকেই সৌভাগ্য মনে করত। কুরাইশ গোত্ররা নিজেদের ভাগ্যের ফয়সালা এর উপর করে রেখেছিল যে, নির্মাণে অধিক অংশ নিবে। তাই নির্মাণকাজ গোত্রসমূহের মাঝে ভাগ করতে বাধ্য হল। যাতে কোন ঝগড়া না হয়। সেই নির্মাণকাজ বন্টনের সাথে কাবা নির্মাণ হাজরে আসওয়াদের সীমা পর্যন্ত পৌছে গিয়েছিল। কিন্তু এখন হাজরে আসওয়াদকে উঠিয়ে নির্মাণের মধ্যে স্থাপন করা সম্পর্কে মারাত্মক মতানৈক্য হল। প্রত্যেক গোত্র এবং প্রত্যেক ব্যক্তির ইচ্ছা ছিল, সে এই সৌভাগ্য অর্জন করবে।
সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি
এমনকি যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্য অঙ্গীকার হতে লাগল। বিভিন্ন গোত্রের চিন্তাবিদ লোকরা ইচ্ছা করলেন যে, পরামর্শ করে কোন সন্ধির পথ বের করবেন। এই উদ্দেশ্যে মসজিদে সমবেত হলেন। পরামর্শের মধ্যে এটা সিদ্ধান্ত হল যে, যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম মসজিদের এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে সে তোমাদের বিষয়টির মীমাংসা করবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তার মীমাংসা আল্লাহ তায়ালার ফয়সালা মনে করে মেনে নিবে
আল্লাহর কুদরত যে, সর্বপ্রথম মহানবী সা. সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন। মহানবী সা. কে দেখে সকলেই এক বাক্যে বলল, ইনি আমীন। আমরা তার মীমাংসা মেনে নিতে রাজি আছি। মহানবী সা. তাশরীফ আনলেন এবং এমন বিজ্ঞজনিত মীমাংসা করলেন যে, সকলেই খুশি হয়ে গেল। অর্থাৎ একটি চাদর বিছালেন এবং তার মধ্যে নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদ উঠিয়ে রেখে দিলেন। অতঃপর আদেশ করলেন যে, প্রত্যেক গোত্রের নির্বাচিত ব্যক্তি চাদরের এক এক প্রান্ত ধরবে। এমনই করা হল। যখন ভিত পর্যন্ত পৌঁছল তখন মহানবী সা. নিজ হাতে উঠিয়ে রেখে দিলেন।
ইবনে হিশাম এই ঘটনা বর্ণনার পর লিখেন, নবুওয়াতের পূর্বে সমস্ত কুরাইশ সর্বসম্মতিক্রমে মহানবী সা. কে আমীন বলত। [সীরাতে ইবনে হিশাম১/ ১০৫]