Narrow selection

মুহাম্মাদ সা. এর সম্মানিত পিতার মৃত্যু


10:50:39 01/02/2025

মুহাম্মাদ সা. এর সম্মানিত পিতার মৃত্যু

 

মুহাম্মাদ সা. এখনও জন্ম নেননি। তাঁর সম্মানিত পিতা আব্দুল্লাহকে তাঁর পিতা আব্দুল মুত্তালিব মদীনা থেকে খেজুর আনার জন্য আদেশ করলেন। আব্দুল্লাহ মহানবী সা. কে গর্ভ অবস্থায় রেখে মদীনায় গেলেন। হঠাৎ সেখানে তাঁর মৃত্যু হয় এবং জন্মের পূর্বেই পিতার ছায়া মাথা থেকে উঠে যায়। সীরাতে মুগলতাঈ পৃঃ৭

 

মুহাম্মদ সা. এর বংশ পরিচয়

 

দুগ্ধ পান ও শৈশবকাল

 

সর্বপ্রথম মহানবী সা.কে তাঁর সম্মানিতা মাতা এবং কিছু দিন পর আবু লাহাবের বাঁদী সুআইবা দুধ পান করান। এর পর আল্লাহ প্রদত্ব এই দৌলত হালীমা সাদিয়ার ভাগ্যে আসে। (মুগলতাঈ)

 

আরবের অভিজাত লোকদের সাধারণ অভ্যাস ছিল যে, শিশুদের দুধ পান করানোর জন্য পার্শ্ববর্তী গ্রামে পাঠিয়ে দিতেন। যার ফলে শিশুদের শারীরিক সুস্থতা ভাল হত এবং তারা বিশুদ্ধ আরবী ভাষা শিখে যেত। এই জন্য গ্রামের অধিকাংশ নারীরা দুগ্ধপানকারী শিশুদেরকে নেয়ার জন্য শহরে আসত।

 

হযরত হালীমা সাদিয়ার বর্ণনা, আমি তায়েফের বনী সাআদের নারীদের সাথে দুধ পানকারী শিশুদের সন্ধানে মক্কায় চললাম। সে বছর ছিল দুর্ভিক্ষ । আমার কোলে এক শিশু ছিল। কিন্তু (অভাব অনটনের কারণে) এত দুধ ছিল না যে, তার যথেষ্ট হবে। সারা রাত সে ক্ষুধার তাড়নায় ছটফট করত। আমরা তার কারণে বসে বসে রাত কাটাতাম। আমাদের নিকট একটি উটনীও ছিল। কিন্তু সেটারও দুধ ছিল না।

 

মক্কার সফরে যে গাধার উপর আরোহী ছিলাম সেও এই পরিমাণ দুর্বল ছিল যে, সকলের সাথে চলতে পারত না। সঙ্গীরা সেটির কারণে সঙ্কীর্ণতায় ভুগতেছিল। অবশেষে খুব কষ্টে সফর শেষ হল ।

 

মক্কায় পৌঁছার পর যে সকল নারী রাসূলুল্লাহ সা. কে দেখত এবং শুনত যে, মহানবী সা. ইয়াতীম, তখন কেউ তাঁকে গ্রহণ করত না। (কেননা, অধিক পুরষ্কার এবং সম্মানী পাওয়ার আশা নেই) এদিকে হালীমার সৌভাগ্যের তারকা চমকাচ্ছিল। তার দুধ কম থাকাটা তার জন্য রহমত হয়ে গেল। কেননা, কম দুধ দেখে কেউ তার নিকট শিশু দেয়া পছন্দ করত না ।

 

হালীমা বলেন, আমি আমার স্বামীকে বললাম, এটা ভাল মনে হচ্ছে না যে, শূন্য হাত ফিরে যাব। খালি যাওয়া থেকে এটাই উত্তম যে, এই ইয়াতীমকে নিয়ে যাই। স্বামী মঞ্জুর করলেনএবং তিনি এই ইয়াতীম রত্নটিকে নিয়ে আসলেন। যার কারণে হালীমা এবং আমীনার ঘর নয় বরং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য আলোকোজ্জ্বল হল।

 

আল্লাহর অনুগ্রহ যে, হালীমার ভাগ্য খুলল এবং বিশ্ব জগতের সরদার তার কোলে এসে গেলেন। তাঁবুতে নিয়ে দুধ পান করাতে বসলে বরকত প্রকাশ পেতে লাগল । এত পরিমাণ দুধ আসল যে, মহানবী নিজে এবং তাঁর দুধ শরীক ভাই খুব পরিতৃপ্ত সহকারে দুধ পান করলেন এবং আরামের সাথে নিদ্রা গেলেন । ওদিকে উটনীকে দেখা গেল যে, সেটির স্তন দুধে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমার স্বামী উটনী থেকে দুধ বের করলেন এবং আমরা সবাই তৃপ্তিসহকারে দুধ পান করলাম এবং সারা রাত আরামে কাটালাম। দীর্ঘ দিন পর এটাই প্রথম রাত্রি ছিল যে, আমরা প্রশান্তির সাথে নিদ্রা গেলাম । এখন আমার স্বামী বলতে লাগলেন, হালীমা তুমি তো বড় মুবারক শিশু এনেছ। আমি বললাম, আমারও এ ধারণা যে, এ অত্যন্ত বরকতপূর্ণ শিশু।


 

এরপর আমরা মক্কা থেকে রওয়ানা হলাম। আমি তাঁকে কোলে নিয়ে পূর্বের সেই গাধার উপর সওয়ার হলাম। কিন্তু এবার আল্লাহর কুদরতের এই খেলা দেখতে পেলাম যে, এখন সেটা এত দ্রুত চলতে লাগল যে, কারো আরোহী তার ধারে কাছে পৌঁছতে পারল না। আমার সঙ্গিনী নারীরা আশ্চার্য হয়ে বলতে লাগল, এটা কি সেই গাধা যার উপর তুমি আরোহণ করে এসেছিলে ?

মোটকথা, রাস্তা অতিক্রম করলাম। আমরা বাড়িতে পৌঁছলাম। সেখানে খুব দুর্ভিক্ষ পড়েছিল।

 

সমস্ত দুধের প্রাণী দুধ শূন্য ছিল। কিন্তু আমাদের গৃহে প্রবেশ করা মাত্রই আমাদের সমস্ত বকরির স্তন দুধে ভরপুর হয়ে গিয়েছিল। এখন প্রতি দিন বকরিগুলো দুধে পরিপূর্ণ হয়ে ফিরে আসে। অন্য কারোর প্রাণী থেকে এক ফোটা দুধও পাওয়া যেত না। আমার গোত্রের লোকেরা তাদের রাখালদেরকে বলল, তোমরাও তোমাদের প্রাণীগুলোকে সে স্থানে চরাবে যেখানে হালীমার বকরিগুলো চরে। কিন্তু সেখানকার চারণভূমি এবং ময়দানের কোন বিশেষত্ব ছিল না বরং অন্য কোন রত্নের পরশে এসব হচ্ছিল। 

 

তারা এসব কোথা থেকে আনবে? সুতরাং একই স্থানে চরানোর পরও তাদের বকরিগুলো দুধ শূন্য ছিল আর আমার বকরিগুলো দুধে ভরপুর আসত। এভাবে আমরা প্রতিনিয়ত তাঁর বরকতসমূহ প্রত্যক্ষ করতেছিলাম। এমনকি দুই বছর অতিবাহিত হয়ে গেল এবং আমি তাঁর দুধ ছাড়িয়ে দিলাম। -সালিহাত

 

সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি

মধু খাওয়ার উপকারিতা কি?

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color