মুহাম্মদ সা. এর বংশ পরিচয় - Muhammad's Genealogy
11:15:47 01/01/2025
মহানবী সা. এর সম্মানিত বংশ
মহানবী সা. এর পবিত্র বংশ সারা পৃথিবীর বংশ থেকে অধিক সম্ভ্রান্ত এবং পুত পবিত্র ছিল। এটা এমন একটি কথা যে, মক্কার সকল কাফের এবং মহানবী সা. এর শত্রুরাও অস্বীকার করতে পারেনি। আবু সুফিয়ান রা. কুফর অবস্থায় রোম বাদশাহর সামনে ইহা স্বীকারও করেছিলেন। অথচ, তিনি তখন চাচ্ছিলেন যে, যদি কোন সুযোগ হয় তাহলে মহানবী সা. এর দোষ বলবেন।
মহানবী সা. এর সম্মানিত বংশ সম্মানিত পিতার দিক থেকে এইঃ- মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব বিন হাশিম বিন আব্দে মানাফ বিন কুসাই বিন কিলাব বিন মুররা বিন কাআব বিন লুওয়াই বিন গালেব বিন ফিহির বিন মালিক বিন নজর বিন কিনানা বিন খুযাইমা বিন মুদরিকা বিন ইলয়াস বিন মুজার বিন নিযার বিন মায়াদ বিন আদনান।
এ পর্যন্ত বংশ পরম্পরা সর্বসম্মতিক্রমে প্রমাণিত আছে। এখান থেকে হযরত আদম আ. পর্যন্ত মতানৈক্য রয়েছে। এজন্য, সেগুলো বর্জন করা হয়েছে।
সম্মানিতা জননীর দিক হতে মহানবী সা. এর বংশ পরম্পর এরূপঃ
মুহাম্মদ বিন আমিনা বিনতে ওহাব বিন আব্দে মানাফ বিন যুহরা বিন কিলাব। এর দ্বারা জানা গেল যে, কিলাব বিন মুররা পর্যন্ত পৌঁছে মহানবী সা. এর পিতা-মাতার বংশ মিলে যায়।
মহানবী সা. এর জন্মের পূর্বেই বরকতসমূহ প্রকাশ
সূর্যোদয়ের পূর্বে যেমনিভাবে সুবহে সাদিকের বিশ্বব্যাপী আলোকচ্ছটা ও লাল আভা পৃথিবীকে সূর্যোদয়ের সুসংবাদ প্রদান করে, তেমনিভাবে নবুওয়াতের সূর্যোদয়ের সময় যখন ঘনিয়ে আসল, তখন সারা বিশ্বের দিকে দিকে এমন সব ঘটনা প্রকাশ পেতে লাগল, যা মহানবী সা. এর শুভাগমনের সু-সংবাদ দিচ্ছিল। মুহাদ্দিস এবং ঐতিহাসিকদের পরিভাষায় সেগুলোকে (ইরহাসাত) বলা হয়।
মহানবী সা. এর সম্মানিত জননীর বর্ণনা যে, যখন মহানবী সা. তার গর্ভে স্থিতি লাভ করলেন তখন তাকে স্বপ্নে এ সুসংবাদ দেয়া হল যে, তোমার গর্ভের বাচ্চাটি এই উম্মতের নেতা হবেন। যখন তিনি জন্ম লাভ করবেন তখন তুমি এই দুআ পাঠ করবে যে, (আমি তাঁকে আল্লাহর আশ্রয়ে দিচ্ছি এবং তাঁর নাম মুহাম্মদ সা. রাখবে। (সীরাতে ইবনে হিশাম)
তিনি বলেন, মহানবী সা.গর্ভে স্থিতি লাভ করার পর আমি এক জ্যোতি দেখলাম, যার আলোতে সিরিয়া এলাকার বসরা শহরের প্রাসাদ তাঁর সম্মুখপাণে এসে গেল। (সীরাতে ইবনে হিশাম)
তিনি (নবীজী সা. এর আম্মাজান) বলেন, আমি মুহাম্মদ সা. অপেক্ষা অধিক হালকা এবং সহজ গর্ভ কোন নারীকে ধারণ করতে দেখিনি। অর্থাৎ, গর্ভে থাকাকালীন নারীদের সাধারণত যে বমির ভাব বা অবসাদ ইত্যাদি হয়ে থাকে, সে সবের কিছুই আমার হয়নি। এগুলো ছাড়া আরো অনেক ঘটনা প্রকাশিত হয়েছিল। এ সংক্ষিপ্ত পুস্তকে যেগুলোর পরিসর হবে না।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?
সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন