Narrow selection

গাযওয়া, সারিয়া এবং বিক্ষিপ্ত ঘটনা


গাযওয়া, সারিয়া এবং বিক্ষিপ্ত ঘটনা

প্রথম সারিয়া হামজা রা. এর নেতৃত্বে

হিজরতের সাত মাস পর রমজান মাসে নবী কারীম সা. হযরত হামজা রা. কে ত্রিশ জন মুহাজিরদের আমীর নিযুক্ত করে সাদা পতাকা প্রদান করলেন এবং কুরাইশদের এক কাফেলার উপর আক্রমণ করতে নির্দেশ দিলেন। কিন্তু যখন এসব মুজাহিদ সমুদ্রকুলে পৌঁছলেন এবং পরস্পর মুখোমুখী হলেন, তখন মাজদি বিন আমর জুহানী মধ্যস্থতা করে যুদ্ধ থামিয়ে দিল।

 

সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি

 

সারিয়া উবায়দা ইবনুল হারেস ও তীর নিক্ষেপের সূচনা

প্রথম হিজরীর শাওয়াল মাসে হযরত উবায়দা ইবনুল হারেস রা.কে ষাটজন লোকের আমীর বানিয়ে বাতনে রাবেগের দিকে আবু সুফিয়ানের মুকাবেলা করার জন্য প্রেরণ করলেন। এই জিহাদে সা'দ বিন আবু ওয়াক্কাস রা. কাফেরদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করলেন। এটা সর্বপ্রথম তীর যা কাফেরদের প্রতি ইসলামে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

 

দ্বিতীয় হিজরী

কেবলা পরিবর্তন, বদর যুদ্ধ ও সারিয়ায়ে আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ

এই বছর ইসলামে এক মহা পরিবর্তন হয়েছিল। মুসলমানদের কেবলা মহানবী সা. এর ইচ্ছা মাফিক বায়তুল মাকদিসের পরিবর্তে কা'বা ঘরকে নির্ধারিণ করা হল। যা পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর। মানুষকে একদিকে করার সাথে সাথে আল্লাহর ইবাদতে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এই ঘরকে মনোনিবেশের কেন্দ্র বানানো হল।

 

সারিয়ায়ে আব্দুল্লাহ বিন জাহাশ ও ইসলামে প্রথম গনীমত

এ বছরই মহানবী সা. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রা. কে বারজন মুহাজিরের আমীর নিযুক্ত করে রজব মাসে নাখলা নামক স্থানে এক কুরাইশী কাফেলার উপর আক্রমণের জন্য প্রেরণ করলেন। যে দিন সেই বাহিনী সম্মুখে আসল, ঘটনাক্রমে সেটি ছিল রজব মাসের ১ম তারিখ। রজব সেই মাসের একটি যাতে ইসলামের সূচনা লগ্নে যুদ্ধ করা হারাম ছিল। কিন্তু সাহাবায়ে কিরাম এটিকে জুমাদাস সানীর ত্রিশ তারিখ মনে করতেছিলেন

 

লুবাবুন নুকুল এবং বায়যাবীতে ইবনে জারীর, তাবারানী ও বায়হাকী থেকে এরকমই বর্ণনা এসেছে। এজন্য পরামর্শের পর এটাই সিদ্ধান্ত হল যে, মোকাবেলা করা চাই। অবশেষে যুদ্ধ হল। (মুশরিকদের) দলনেতা মারা পড়ল । দু'জন গ্রেফতার হল । বাকী সবাই ভেগে গেল। মুসলমানদের এতে অনেক মালে গনীমাত হাতে আসল। সারিয়ার আমীর (সেগুলো) জিহাদে অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে বিতরণ করে দিলেন। এক পঞ্চমাংশ বায়তুল মালের জন্য রাখলেন। 

 

কোন কোন রেওয়ায়েতে রয়েছে, সমস্ত গনীমতের মাল মহানবী সা. এর খেদমতে আনা হল। মহানবী সা. বললেন, আমি তোমাদেরকে হারাম মাস তথা রজব মাসে যুদ্ধ করার আদেশ দেয়নি। অবশেষে এই মালে গনীমত মহানবী সা. বদর যুদ্ধ থেকে অবসর হওয়ার পর বদরের মালে গনীমাতের সাথে বন্টন করে দিলেন।

 

এ ঘটনার কারণে আরবদের মাঝে আলোচনা হতে লাগল যে, মহানবী সা. হারাম মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ করা বৈধ করে দিয়েছেন। তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের জবাবে বলেন ( অর্থ : তারা আপনার কাছে হারাম মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে।) আয়াত অবতীর্ণ করেন।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন

নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?

সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color