ইসলামের হজ্ব - Hajj in Islam
ইসলামের হজ্ব
দশম হিজরীর যি-কা'দা মাসে রোজ সোমবার মহানবী সা. হজ্বের জন্য মক্কা মুয্যামার দিকে রওয়ানা হলেন। সাহাবীদের একটি ভারী দল সাথে ছিলেন। যাদের সংখ্যা এক লাখ থেকে অধিক বর্ণিত আছে। মদীনা মুনাওয়ারা থেকে মাত্র ছয় মাইল দূরে যুল হুলায়ফা নামক স্থানে ইহরাম বাঁধলেন। ৪ঠা যিল হজ্ব রোজ শনিবার মক্কা মুয়ায্যামায় প্রবেশ করেন এবং নিয়ম অনুযায়ী হজ্ব আদায় করেন।
সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি
আরাফার ভাষণ: নয় তারিখে আরাফায় তাশরীফ আনেন। মহানবী সা. এক দীর্ঘ ও প্রাঞ্জল ভাষায় ভাষণ দেন। যা উপদেশ ও প্রজ্ঞায় ছিল ভরপুর। আল্লাহ তায়ালার শেষ রাসূলের শেষ পয়গাম ছিল। বিশেষ করে নিম্নের বাণীগুলো প্রত্যেক মুসলমানের মনে বদ্ধমূল রাখা উচিত
হে লোক সকল আমার কথা শ্রবণ কর। আমি তোমাদের সকল জরুরী বিষয়গুলো বর্ণনা করব। জানা নেই, আগামী বছর তোমাদের সাথে আর দেখা হয় কি না। এরপর বললেন, মুসলমানদের জান, মাল, সম্মান তোমাদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত এমনই হারাম, যেমন এই দিন (আরাফা) এই মাস (যিল হজ্ব) এই শহর (মক্কা) এর সম্মান। এজন্য, যে ব্যক্তির কাছে কারো রাখা আমানত আছে, সে যেন তা আদায় করে। এরপর বললেন, হে লোক সকল তোমাদের উপর তোমাদের নারীদের কিছু অধিকার রয়েছে এবং তাদের উপর তোমাদের কিছু অধিকার রয়েছে। হে লোক সকল মুসলমান সব ভাই ভাই। কোন ব্যক্তির জন্য তার ভাইয়ের মাল তার সন্তুষ্টি ছাড়া হালাল নয়। আমার পরে তোমরা আবার কাফের হয়ে যেয়ো না যে, একে অপরের গরদান উড়িয়ে দেবে। এজন্য, আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ তায়ালার কিতাব রেখে যাচ্ছি। যদি তোমরা তা দৃঢ়ভাবে আকড়িয়ে ধর তাহলে পথভ্রষ্ঠ হবে না ।
অতঃপর ইরশাদ করলেন, হে লোক সকল তোমাদের প্রভু একজন। তোমাদের পিতা একজন, তোমরা সকলেই আদম আ. এর সন্তান। আদম আ. মাটি দ্বারা সৃষ্টি। তোমাদের মধ্যে সবচেয় সম্মানিত সে-ই যে অধিক আল্লাহভীরু। কোনো অনারবীর উপর আরাবীর মর্যাদা একমাত্র তাকওয়ার ছাড়া কোন শ্রেষ্ঠত্ব হতে পারে না। স্মরণ রেখ, আমি পৌছিয়ে দিলাম। হে আল্লাহ, তুমি সাক্ষী থাক। আমি পৌছিয়ে দিয়েছি। উপস্থিত জনতার উচিত, এই বাণীগুলো অনুপস্থিতদেরকে পৌছিয়ে দিবে। হজ্ব আদায় শেষ করে মহানবী সা. মক্কায় দশ দিন অবস্থান করে মদীনায় ফিরে আসেন।
নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?
সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন