Narrow selection

কতটুকু পর্দা করা ফরজ? - How much veiling is obligatory


02:20:16 12/04/2023

কত টুকো পর্দা করা ফরজ সূরায়ে নূরের আলোকে পর্দা ব্যবস্থা

আল্লাহপাক সূরায়ে নূরের ত্রিশ নম্বর আয়াত থেকে পর্দার আলোচনা করেছেন-

قل للمؤمنين يغضوا من أبصارهم ويحفظوا فروجهم

হে রাসূল! আপনি মু'মিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন দু'টি দায়িত্ব পালন করে। একটি (তাদের অক্ষিযুগলকে যেন তারা হেফাজত করে,) নত করে । রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা যেন কোন মেয়ের দিকে না তাকায় ৷ বোরকা পরা হউক বা বোরকা বিহীন হউক। বোরকা পরা মেয়ের বাহ্যিক সৌন্দর্য অবলোকন করার অধিকার পুরুষের নেই। এটার কারণে মেয়ের কোন অসুবিধে হবেনা, মেয়েতো বোরকা পরে বের হয়েছে। পুরুষ বেপর্দার গুনাহে অভিযুক্ত হবে। পর্দার দায়িত্ব শুধু মেয়ের নয়, পর্দা এ করতে হবে ।এজন্য পুরুষকে আল্লাহ প্রথমেই সম্বোধন করে বলেছেন হে রাসূল, আপনি বলুন, মোমিন পুরুষদেরকে এই ম্যাসেজ পৌঁছে দেন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নিচের দিকে রাখে । আল্লাহর নবীকে জিজ্ঞেস করা হল-

سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن نظر الفجاة

যদি কোন মেয়ের দিকে অনিচ্ছাকৃত চোখ পড়ে যায় আমি কি করব? আল্লাহর রাসূল উত্তর দিলেন- সাথে সাথে তোমার চোখকে ফিরিয়ে নাও।

فان لک النظرة الأولى يا على

আলীকে সম্বোধন করে তিনি বললেন- অনিচ্ছাকৃত প্রথম দৃষ্টি তোমার জন্য বিধেয়। তবে তাড়াতাড়ি তুমি চোখকে ফিরিয়ে নাও। দ্বিতীয়বার যদি তুমি তাকাও, তাহলে এ ব্যাপারে তোমাকে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। এর মানে এই নয় যে, প্রথম বার এমন লম্বা করে দৃষ্টি দিব যাতে দ্বিতীয়বার আর দেখতে না হয়। না, ব্যাপারটি এমন নয়। মহানবী (সাঃ) বুঝাতে চেয়েছেন, প্রথম বার হঠাৎ দৃষ্টি নিবদ্ধ হলে সাথে সাথে ফিরিয়ে নাও। দ্বিতীয়বার তাকিওনা ।

অন্য হাদীসে আল্লাহর নবী বলেছেন, কোন মু'মিন পুরুষ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কোন মহিলার দিকে তাকিয়ে তার রস আস্বাদন করে, দৃষ্টির মাধ্যমে কোন সুন্দরী মেয়ের মজা অনুভব করে, আল্লাহ কেয়ামতের ময়দানে শীশাকে গুলিত করে তার চোখের উপর ঢালবেন আর বলবেন, দুনিয়াতে তুমি নিষিদ্ধ বস্তুর দিকে তাকিয়েছ এখনি তোমাকে সে মজা ভোগ করতে হবে । কাজেই মন যদি তাকাতে চায়, তাহলে আল্লাহর নবীর এই বাণীর কথা স্মরণ করতে হবে ।

অনেকে ব্যাখ্যা করেন যে, একটি গোলাপ ফুলের দিকে তাকানো এ মনোভাব নিয়ে যে, আল্লাহর সৃষ্টি কতইনা সুন্দর; এতে যেমন কোন বাধা নেই, একই ভাবে মানবীয় সৌন্দর্যকে দেখা নিষিদ্ধ কেন হবে? এই যুক্তি অনেকে অবতারণা করতে চান। পার্থক্য যদি আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখেন। নিজে বুঝবেন । গোলাপ ফুলের দিকে তাকালে যে পরিচ্ছন্ন অনুভূতি সৃষ্টি হয়। সেই অনুভূতি একজন সুন্দরী মেয়ের দিকে তাকালে কখনো হয়না। গোলাপের অনুভূতি যদি একজন সুন্দরী মেয়ের দিকে তাকালে হত, তাহলে আল্লাহর রাসূল এবং ইসলাম তা নিষেধ করতোনা ।

কিন্তু দুটি অনুভুতিকে যদি আপনি বিশ্লেষন করেন, তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, গোলাপের দিকে তাকানোর অনুভূতি হল পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন আর একজন নারীর দিকে তাকানোর অনুভূতি হল যৌন আবেগ সম্পন্ন। কাজেই তা অপবিত্র ও অপরিচ্ছন্ন। আল্লাহ দৃষ্টিকে অবনত করার নির্দেশ দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত: বলেছেন- “এবং তাদের লজ্জাস্থানকে যেন তারা হেফাজত করে।

পুরুষের প্রতি নারীর দৃষ্টি ঃ

তারপরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ৩১ নং আয়াতে বলেন-

وقل للمؤمنات يغضضن من أبصارهن

মু'মিন মেয়েদেরকে আপনি বলুন, তারা যেন তাদের অক্ষিযুগলকে নত রাখে । সুন্দর পুরুষদের দিকে যেন তারা না তাকায়। তাহলে পুরুষ যেমন মেয়ের দিকে তাকানো নিষেধ, একইভাবে মেয়েদেরও পুরুষের দিকে তাকানো নিষেধ। পার্থক্য আছে, আল্লাহ পাক প্রথম নির্দেশ দান করেছেন পুরুষদেরকে । হে পুরুষ তুমি তাকাবেনা। দ্বিতীয়বার নির্দেশ দিচ্ছেন হে মহিলা, তুমিও তাকাবেনা। পুরুষকে প্রথমে নির্দেশ পরে নারীকে নির্দেশ দেয়ার কারণ হল, পুরুষদের তাকানোতে তীব্রতা আছে, তাই আমরা যদি নর এবং নারীকে বিশ্লেষণ করি দেখব একজন নর কোন নারীর দিকে তাকালে সে মেয়েকে উত্তক্য করে, মেয়ের পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়ায়।

কিন্তু একটি মেয়ে কোন যুবকের দিকে তাকালে যুবকের পেছনে ছুটার মত সাহস তার হয়না । তাদের মানসিকতা হল পলায়নপর, পেছনের দিকে যাওয়া, লজ্জাশীলতা। এ জন্য আল্লাহ পাক পুরুষকে নিষেধ করছেন প্রথমে, আর নারীদেরকে পরে নিষেধ করেছেন। কারণ, মেয়েদের দৃষ্টির তুলনায় ছেলেদের দৃষ্টি বেশী ক্ষতিকর

সমাজের জন্য ।

উম্মে সালমা (রাজিঃ) বলেন, আমি এবং মায়মুনা নবীজীর দুই স্ত্রী গৃহে বসেছিলাম । হঠাৎ একজন লোক এসে প্রবেশ করল। লোকটির নাম আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম। তিনি অন্ধ সাহাবী । আল্লাহর নবী তাকে ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দান করলেন এবং আমাদেরকে বললেন- তোমরা চলে যাও। উম্মে সালমা এবং মাইমুনা বলল- আমরা চলে যাব কেন? লোকটিতো অন্ধ, আমাদেরকে দেখতে পাবেনা। বোখারী শরীফে আছে- আল্লাহর নবী বললেন হ্যাঁ, সে অন্ধ তোমাদেরকে দেখতে পাবেনা, কিন্তু তোমরা তো অন্ধ নও, তোমরা তো তাকে দেখতে পাবে। এটা দ্বারা বুঝা যায়, মহিলা পুরুষের দিকে তাকাতে পারেনা । তবে পুরুষ মহিলার দিকে তাকানো বেশী অন্যায়, আর মহিলাদের তাকানোর মধ্যে যেহেতু অতটুকু শক্তি ও আবেগ থাকেন, এজন্য মহিলারা প্রয়োজনে তাকাতে পারবে ।

মা আয়েশাকে আল্লাহর নবী বললেন- আস, মসজিদে নববীর সামনে ছেলেরা খেলাধুলা করছে, নিগ্রো ছেলেরা লাঠি দিয়ে খেলছে। হযরত আয়েশার বয়স কম ছিল, তিনি খেলা দেখতে চান। আল্লাহর নবী তাঁকে অনুমতি দিলেন আর বললেন তুমি আমার পিছনে দাঁড়াও আর খেলা দেখ। এমনভাবে দাঁড়াবে তারা যেন তোমাকে দেখতে না পারে। এ দ্বারা বুঝা যায়, পুরুষরা যাতে মেয়েদেরকে দেখতে না পারে এ ব্যবস্থা আল্লাহর নবী করেছেন, কিন্তু স্ত্রীকে তাকানোর অনুমতি দান করেছেন। কারণ তিনি জানেন, তার এই তাকানোর মধ্যে কোন অপচ্ছিন্নতা নেই। এ জন্য হযরত আয়েশাকে হাবশার ছেলেদের খেলা দেখার অনুমতি দিয়েছেন।

সৌন্দর্য প্রকাশ

তার পর আল্লাহ বলেন-

ولا يبدين زينتهن

মহিলারা যাতে তাদের সৌন্দর্যকে প্রকাশ না করে। সৌন্দর্য প্রকাশ মানে, এমন পোষাক পরিচ্ছদ এবং প্রসাধনি করে বের না হয় যাতে তাদের প্রতি ছেলেদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় । বোরকার নামে ঝকঝকে কাপড় পরার অনুমতি ইসলামে নেই । এতে তার সৌন্দর্যকে প্রদর্শন করা হবে ।

হাদীস শরীফে আছে, মহিলারা সুঘ্রাণ দ্রব্য ব্যবহার করে রাস্তায় যদি বের হয়, আর তার ঘ্রাণ পুরুষদের নাকে যাওয়ার পরে তারা যদি তার প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং খারাপ কিছু ভাবে সে মহিলা যেনাকারিনী মহিলা হিসেবে গণ্য হবে। নাউজুবিল্লাহ । কাজেই সৌন্দর্যকে প্রকাশ করা যাবেনা, হ্যাঁ, সৌন্দর্যকে ততটুকু প্রকাশ করা যাবে (যতটুকু গোপন করা যায়না। ততটুকু প্রকাশ হয়ে গেলে কোন অসুবিধা হবেনা। সে যদি দীর্ঘ হয় তা বুঝা যাবে। বাইর থেকে মোটামোটি তার শারীরিক কাঠামোগত সৌন্দর্য অনুভব করা যায়, এটা তার পক্ষে গোপন করা সম্ভব নয়। এটা যদি প্রকাশ হয়ে যায়, আল্লাহ পাক এজন্য তাকে শাস্তি দিবেন না ।

পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পরে হযরত সওদা আল্লাহর নবীর স্ত্রী বোরকা গায়ে দিয়ে এক কাজে বের হলেন, হযরত ওমর (রাঃ) তাকে দেখে বললেন- হে সওদা! তোমাকে চিনে ফেলেছি, তুমি সওদা। হযরত ওমরের ইচ্ছা ছিল মহিলারা যেন বোরকা পরেও বের না হয়। যাতে তাদের শারীরিক অবয়ব বাইরে প্রদর্শিত না হয় । সওদা মন খারাপ করে আল্লাহর নবীর দরবারে এসে বলল ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি বের হলাম আর ওমর এই কথা বলেছে । আল্লাহর নবী বললেন- এটা গোপন করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে মহিলারা যদি বোরকা পরে বের হয় আর যেই সৌন্দর্য ঢেকে রাখা সম্ভব নয়, সেটা যদি প্রকাশ হয় এর জন্য আল্লাহ তাকে শাস্তি দিবন না। মানুষের সাধ্যের বাইরে আল্লাহ তাকে কষ্ট দেন না ।

বড় উড়না পরিধান :

ويضر بهن بخمرهن على جيوبهن

বিশেষভাবে মহিলারা বড় উড়না পরিধান করে বের হবে। তাদের বক্ষকে বড় উড়না দ্বারা ঢেকে দিবে, যাতে তারা বোরকাও ঢোলা কাপড় গায়ে দিয়ে যখন বের হবে তাদের শরীরের উপর নীচের অবস্থাগুলো মানুষ বুঝতে না পারে । এমন টাইট বোরকা পরিধান করবেনা যাতে উঁচু-নীচু অংশ পরিস্ফুটিত হয়, এটাকে পর্দা বলা হবেনা ।

আল্লাহ পাক বিশেষ ভাবে বলেন-

ويضربن بخمرهن على جيوبهن

শরীরের যেখানে উঁচু-নীচু অঙ্গ আছে তার উপর যেন ঢোলা ঢালা কাপড় ঢেলে দেয়। যাতে বাইর থেকে ওগুলো আর বুঝা না যায়। শালীনতার সাথে বের হবে।

যাদের সাথে পর্দা নেই :

ولا يبدين زينتهن الا لبعو لتهن او ابائهن او اباء بعو لتهن او ابنائهن أو ابناء بعولتهن او اخو انهن او بنى اخو انهن او بنى اخو اتهن او نسائهن او ما ملکت ایما نهن او التابعين غير او لى الاربة من الرجال او الطفل الذين لم على عورة النساء.

তাদের বাইরের সৌন্দর্যগুলো প্রকাশ করতে পারবেনা। কয়েক শ্রেণীর লোক ছাড়া, স্বামীর কাছে প্রকাশ করতে পারবে তাদের বাবার কাছে প্রকাশ করতে পারবে শশুরের কাছে প্রকাশ করতে পারবে, নিজের ছেলেদের কাছে প্রকাশ করতে পারবে নিজের স্বামীর আগের ঘরের ছেলের সামনে প্রকাশ করতে পারবে, আপন ভাইদের কাছে পারবে, ভাতিজাদের কাছে পারবে, ভাগিনাদের কাছে পারবে, নিজেদের আত্মীয় ও পরিচিত মহিলাদের কাছে পারবে। সাধারণ মহিলাদের কাছে পারবে না।

যে মহিলা বাইরের পুরুষদেরকে বর্ণনা করবে এমন মহিলাদের কাছে প্রকাশ করতে পারবেনা। ঘরের মধ্যে যদি কোন চাকর থাকে এবং চাকরগুলো যদি এমন হয় যে, বেশী বুড়ো, মহিলাদের প্রতি তাদের কোন আগ্রহ নেই এই পর্যায়ের বুড়ো চাকরের কাছেও যদি মহিলা প্রকাশিত হয়, তাতে কোন অসুবিধা হবেনা। বা ছোট চাকর ছেলে, তার সামনেও যদি প্রকাশিত হয়, তাতে কোন অসুবিধা হবেনা। যারা মেয়েদের সম্পর্কে কিছু বুঝেনা, যৌন দৃষ্টিকোন থেকে মেয়ে ছেলের পার্থক্য করতে পারেনা, এমন ছোট চাকরদের সামেন প্রকাশিত হলে কোন অসুবিধা নেই।

রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বোরকা পরে বের হয়েছে কিন্তু হাঁটা চলাকে এত শৈল্পিক ও নৃত্যময় করে হাঁটবেনা যাতে করে Daily Daisy to play পর্দার অবরণের বাইরে হাঁটা চলার মধ্যে একটা তরঙ্গ সৃষ্টি করে। সেটা এমন হতে পারে যে, তাদের চলাফেরার মধ্যে একটা নৃত্য থাকতে পারে, আল্লাহ পাক কত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ণ বিষয়ে বান্দাদেরকে সতর্ক করেছেন । আল্লাহর নবী

বলেন-

لعن الله الكاسيات والعاريات

আল্লাহ লা'নত করেন সে সমস্ত মহিলার উপর যারা কাপড় পরিধান করেও উলঙ্গ থাকে । এমন কাপড় পরিধান করেছে যা দ্বারা সে পুরুষদেরকে আকর্ষণ করে। সে নিজেরা অন্য পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট, পুরুষদেরকেও

আকৃস্ট করার চেষ্টা করে

এমন ভাবে নেড়ে হাটে মনে হবে যেন উট, উট যেমন সেভাবে যদি কোন মহিলা হাঁটে আল্লাহর নবী বলেন-

لايد خلن الجنة ولا يجدن ريحها

3) চলার সময় মাথাকে তরঙ্গায়িত ভঙ্গিতে হাঁটে,

এই জাতীয় মহিলা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা, জান্নাতের ঘ্রাণ পর্যন্ত তারা পাবেনা । অর্থাৎ কাপড় পরিধান করেও যারা পুরুষকে আকৃষ্ট করতে চায়, ও ভাবে হাঁটে আল্লাহপাক তাদের জান্নাতের ঘ্রাণ থেকেও বঞ্চিত করবেন।

وتوبو الى الله جميعا

আর তোমরা যদি অন্যায় কর, বেপর্দা করে থাক, তাহলে আজ থেকে তোমরা আল্লাহর দরবারে তাওবা কর। আল্লাহ জানেন, আমার বান্দা হয়তো মনের প্রবৃত্তিকে অনুকরণ করতে গিয়ে বেপর্দা হয়েছে, যখনি তোমার অনুভুতি আসবে এবং কোরআনের এই আয়াত মনে প্রবেশ করবে সাথে সাথে আল্লাহর দরবারে তাওবা কর ।

যাদের জন্য পর্দার বিধান শীতল :

কুরআনে কারীমের সূরায়ে নূরের ষাট নম্বর আয়াত, যদি আপনি পড়ে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কেন কোন শ্রেণীর মু'মিন নারীদেরকে পর্দা শীতল করে দিয়েছেন।

والقوا عد من النساء

সে মহিলারা যারা ঘরের মধ্যে বসে থাকে, বুড়ী হয়ে গেছে, বার্ধক্য জর্জরিত, বিয়ে শাদী আর হবেনা, বা বিয়ের প্রয়োজনও নেই, এই জাতীয় মহিলারা যদি কাপড় চোপড় একটু খোলা রাখে তাদেরকে আল্লাহ ধরবেন না। অর্থাৎ বয়স বাড়ার সাথে সাথে যখন মহিলাদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, শারীরিক কাঠামো আস্তে আস্তে শুষ্ক হয়ে যায় এই জাতীয় মহিলাদের জন্য পর্দা হ্রাস হয়ে যায়। আমাদের সমাজে উল্টা দেখা যায়। নানী তার যুবতী নাতনীকে নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন, নাতনী পুরাপুরি অনাবৃত থাকলেও যে বুড়ীর দিকে কেউ তাকাবে না সে বুড়ী হাত মোজা পা মোজা পড়েছে, কালো বোরকা পড়েছে আর অন্য দিকে তার নাতনীকে একেবারে খোলা রেখেছে, সবাই তার দিকে তাকাচ্ছে।

কুরআনে কারীমের আলোকে আমরা বলতে চাই হে নানী! তোমার তো পর্দা নেই, তোমার বোরকা তোমার নাতনীর গায়ে তুলে দাও। তুমি যদি খোলাও থাক তাতে অসুবিধা নেই। যার বোরকা পরা দরকার সে পরেনা। আর যার পরার দরকার নেই সেতো বোরকা পরে আবার হাত মোজা পা মোজা পরে । যাক, এটা হচ্ছে পর্দার অর্থকে না বুঝার ফলশ্রুতি। আমি তাই বলতে চাই, বোরকা পর্দা নয়, পর্দা একটি কনসেপ্ট, একটি চিন্তা ধারার নাম।


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color