ঈমান সম্পর্কিত কয়েকটি আকীদা
05:51:39 06/16/2024
ঈমান সম্পর্কিত কয়েকটি আকীদা
সংক্ষিপ্ত ঈমান –এর ক্ষেত্রে খাঁটি দেলে শুধু কালিমায়ে তাইয়্যেবা বা কালিমায়ে মাহাদাত বলে নেয়াই যথেষ্ট । অতএব কেউ মুসলমান হতে চাইলে সে কালিমায়ে তাইয়্যেবা এই-
কালিমার মধ্যে আল্লাহ তাআলার যে একত্ববাদ ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যে রেসালাত (রসূল হওয়া) সম্বন্ধে স্বীকৃতি রয়েছে তা জেনে বুঝে মেনে নিতে হবে এবং দ্বিধাহীন চিত্ত্বে তা গ্রহণ করতে হবে। কালিমার এই অর্থ ও বিষয়বস্তু উপলব্ধি ব্যতিরেকে কেবল মুখে মুখে কালিমা উচ্চারণ করে নিলেই সে আল্লাহুর কাছে মুমিন ও মুসলমান বলে গণ্য হবে না।
বিস্তারিত ঈমান –এর মধ্যে যা কিছু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত আছে, তা একে একে বিস্তারিত ভাবে সবটা বিশ্বাস করতে হবে এবং সেগুলো সত্য হওয়ার স্বীকৃতি দিতে হবে। কেউ তার কোন একটি অস্বীকার করলেও সে কাফের হয়ে যাবে এবং অনন্তকাল তাকে জাহান্নামে থাকতে হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
উল্লেখ্যঃ ঈমানের জন্য মৌখিক স্বীকৃতির যে কথা পূর্বে উল্লেখ করা হল,তা শামসুল আইম্মা ও ইমাম ফখরুল ইসলামের নিকট।তবে ওযরের সময় তাদের নিকট ও শুধু অন্তরের বিশ্বাস ঈমানের জন্য যথেষ্ট । যেমন হত্যার হুমকী দিয়ে আল্লাহ, আল্লাহর রাসূলকে অস্বীকার করার জন্য কাউকে বাধ্য করা হলে সে যদি মুখে অস্বীকার করে কিন্তু তার অন্তরে বিশ্বাস থাকে ,তাহলে তাতে তার ঈমান বহাল থাকবে।
এ ক্ষেত্রে মুখের স্বীকৃতি ঈমানের জন্য অপরিহার্য নয়। আর জমহুর মুহাক্কিকীন ও ইমাম আবূ মানসূর মাতুরীদীর নিকট ঈমানের জন্য শুধু অন্তরের বিশ্বাসই যথেষ্ট । তাদের নিকট মৌখিক স্বীকৃতি শুধু পার্থিব বিধানাবলী কার্যকারী হওয়ার জন্য।এত এব কেই শুধু অন্তরে বিশ্বাস করলে মুখে স্বীকার না করলে সে পরকালে আল্লাহর কাছে মুমিন বলে গণ্য হবে তবে দুনিয়াতে তার উপর মমিনের বিধান জারী হবে না ।
পক্ষান্তরে কেউ মুখে স্বীকার করলে আর অন্তরে অবিশ্বাস থাকলে দুনিয়াতে তার উপর মুমিনের বিধান জারী হবে তবে পরকালে সে মুমিন বলে গণ্য হবে না। বিস্তারিত যেসব বিষয়ে ঈমান রাখতে হয়,সেসব বিষয়ের সমন্দে য়ে কালিমা গঠন করা হয়েছে ,তাকে বলা হয় ঈমানে মুফাসসাল। এর মধ্যে ঈমানের তাফসীলী বিষয় ঈমানে মুফাসসাল এইঃ কালিমায়ে তাইয়্যেবা, কালিমায়ে শাহাদাত ,কালিমায়ে তাওতীদ কালিমায়ে তামজীদ প্রভৃতি কালিমা সমূহ মুখস্ত করা জরুরী নয় ,শুধু তার বিষয়বস্তুতে বিশ্বাস করাই যথেষ্ট।
কোন মুমিনের পক্ষে একথা বলা শোভনীয় নয় যে আমি ইনশাআল্লাহ ঈমানদার। কেননা ইনশাআল্লাহ (অর্থাৎ, যদি আল্লাহ চান) কথাটি যদি ঈমানের ব্যাপারে সন্দেহের ভিত্তিতে হয়ে থাকে তাহলে সেটা হবে নিশ্চিত কুফরী। আর যদি আদবের কারণে কিংবা সব বিষয়কে আল্লাহর যিকরের দ্বারা বরকত
হাসিল করার উদ্দেশ্যে অথবা নিজের গুণকির্তন হয়ে যাওয়া থেকে আত্নরক্ষার উদ্দেশ্যে বলা হয়,তবুও এরুপ বলা উত্তম নয়।
কেননা,এ কথাটি ঈমানের ব্যাপারে সন্দেহ পরিজ্ঞাপক। আমল ঈমানের অংশ কি না এ ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) ইমাম আহমদ (রহঃ) ও আশাইরাদের নিকট ঈমানের মধ্যে বৃদ্ধি ও হ্রাস ঘটে। ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) এর নিকট ঈমানের মধ্যে হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে না।
মূলত: এই মতবিরোধ আমল ঈমানের অংশ কি-না এ বিষয়ে মতবিরোধের উপর নির্ভরশীল। যারা বলেন আমল ঈমানের অংশ,তাদের নিকট আমলের কারণে ঈমানের অংশ নয় তাদের নিকট আমল না থাকলে ঈমানের মধ্যে হ্রাস পায়।
পক্ষান্তরে যারা বলেন আমল ঈমানের অংশ নয় তাদের নিকট আমল না থাকলে ঈমানের মধ্যে হ্রাস ঘটে না এবং আমল থাকলে ঈমানের অংশ মধ্যে বৃদ্ধি ঘটে না। তবে এই মতবিরোধ মূলতঃ শাব্দিক মতবিরোধ। বস্তুতঃ যারা আমলকে ঈমানের অংশ বলেন,তারাও খাওয়ারিজদের ন্যায় এমন অংশ বলেন নাযে,আমল না থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মুমিনই থাকবে না।
আবার যার আমলকে ঈমানের অংশ বলেন না,তারাও আমলের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করেন না। বরং বলেন আমলের দ্বারা ঈমানের নূর বৃদ্ধি পায়। এর বিপরীত গোনাহ দ্বারা ঈমানের নূর হ্রাসপায় এবং এভাবে ঈমানের ক্ষতিহয়। তাই বিদআত,কুসংস্কার,ইত্যাদি দ্বারা ঈমানের ক্ষতি হয়।
নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?
সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন