ইসলামের মূল উৎস কয়টি ও কি কি? - Islamer Mul Utso koyti
05:46:54 06/16/2024
ইসলামের মূল উৎস কয়টি ও কি কি? ইসলামের চার উৎস সম্পর্কে আকীদা
দ্বীনে বুনিয়াদ অর্থাৎ যে সমস্ত জিনিসের উপর শরীআতের ভিত্তি তা হল চারটি । এই চারটি দ্বারা যা প্রমাণিত নয়, তা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয়। বুনিয়াদ বা ভিত্তি চতুষ্ঠয় এই-
১. কুরআন
আল-কোরআন হলো, যা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জিব্রাইল (আ.) এর মাধ্যমে রাসূল (স.) এর নিকট অবতীর্ণ করেছেন। কুর্মআন মাজিদ মানবজাতির হেদায়েতের জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, تبيانا لكل شيء যে কুরআনে আল্লাহ তাআলা সকল কিছুর বর্ণনা করেছেন। কুরআনের প্রতিটি আয়াত বিশ্বাস করা ফরজ এবং যে ব্যক্তি কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী আমল করবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে ওয়াদা দিয়েছেন।
২. হাদীছ/সুন্নাত
হাদীছ/সুন্নাত দ্বারা উদ্দেশ্য রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা,কাজ,ও সমর্থন । প্রথমটাকে সুন্নাতে কওলী,দ্বিতীয়টাকে সুন্নাতে ফেলী এবং তৃতীয়টাকে সুন্নাতে তাকবীরী বলে।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদার পবিত্র যুগের অনসরণীয় আমলসমূহ হাদীছের এবং শরীআতের দলীল সমূহের অন্তর্ভুক্ত ।তারাবীর বিশ রাকআত এই পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
কুরআন –হাদীছের ভাষ্যসমূহ কে জাহেরী অর্থে গ্রহণ করতে হবে যতক্ষণ জাহেরী অর্থ থেকে ফিরে যাওয়ার মত কোন কারণ না পাওয়া যাবে। বিনা কারণে জাহেরী অর্থ পরিত্যাগ করে বাতেনী অর্থ গ্রহণ করা এলহাদ বা ধর্ম ত্যাগ ও ধর্মবিকৃতির নামান্তর।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
৩. ইজমা
যেসব বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম –এর উম্মতের ইজমা বা ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় তা হক এবং সঠিক। ইজমা দলীল হওয়ার ব্যাপারে প্রমাণ হল কুরআনের আয়াত-
অর্থাৎ তোমরা শেষ্ঠ উম্মত । (সূরাঃ৩-আলে ইমরানঃ১১০)
অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে,
অর্থাৎ, কারও নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি এই রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং এই মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথ অনুসরণ করে, তাহলে সে যেদিকে ফিরে যায় সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দিব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব।(সূরাঃ৪-নিছাঃ১১৫)
এখানে বোঝানো হয়েছে,মুমিনগণ যে পথে চলে সেটা হক। এর ব্যাতিক্রম চললে জাহান্নামের পথ সুগম হবে। এ বক্তব্য ইজমা দলীল হওয়াকে বোঝায়।
ইজমা দলীল হওয়ার ব্যাপারে হাদীছ থেকে প্রমাণ হল-
অর্থাৎ ,বিভ্রান্তির উপর আমার উম্মতের এক্যমত্য হবে না।
অন্য এক হাদীছে আছে ,অর্থাৎ জামা,আতের উপর আল্লাহর সাহায্য রয়েছে। আর যে জামা‘আত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ,সে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় জাহান্নামে পতিত হবে।
৪. চতুর্থ বুনিয়াদ হল কিয়াস
অর্থাৎ আইম্মায়ে মুজতাহিদীনের কিয়াস। তাদের কিয়াস মানার অর্থ তাদের তাকলীদ করা। তাকলীদের সারকথা হল কোন কুযুর্গ ও বিজ্ঞ আলেম ব্যক্তির হক্কানিয়্যাতের প্রতি আস্থা রেখে –যে তিনি কুরআন ও হাদীছ মোতাবেক এ উক্তিটি করেছেন এবং সে মোতাবেক তিনি এ কাজটি করেছেন- তাঁর কথা ও কাজের অনুসরণ করা।
কিয়াস বলা হয়
অর্থাৎ আভিধানিকভাবে কিয়াস-এর অর্থ হল পরিমাপ,অনুপাত ও তুলনা করা। যেমন একটা স্যাগেুলকে আরেকটার সাথে পরিমাপ করে দেখলে বলা হয় সে এক স্যাগেুলকে আরেকটার উপর কিয়াস করেছে। উসূলে ফেকাহ-এর পরিভাষায় কিয়াস বলা হয় (কুরআন হাদীছে বর্ণিত) কোন মূল বিধান থেকে (কুরআন হাদীছে বর্ণিত হয়নি-এমন) কোন শাখা বিষয়ের হুকুম ও কারণকে পরিমাপ বা অনুমান করে নেয়া। অর্থাৎ ,ঐ শাখা বিষয়ের হুকুম ও কারণ ঐ মূল বিধান থেকে বের করে নেয়া।
কিয়াসের বুনিয়াদ কখনো হয় কুরআনের উপর । যেমন কুরআনে উল্লেখিত শরাবের উপর বর্তমান গাঁজা ,ভাং ,আফিম ও হেরোইনকে কিয়াস করে এগুলোকে হারাম বলা। কিয়াসের বুনিয়াদ কখনো হয় হাদীছের উপর। যেমন হাদীছে এসেছে গম, যব,খোরমা,লবণ এবং স্বর্ণ ও রুপা-এই ছয় প্রকার মালামালকে নগদে কমবেশ করা ব্যতীত বিক্রয় করতে হবে, বেশী গ্রহণ করা সূদ হবে।
এর মধ্যে একই প্রকার –এর একটাকে নগদ প্রদান ও অন্যটাকে বাকী রাখাও নিষেধ হবে। কারণ ,তাতে যে পক্ষ বাকী রাখল সে যেন বেশী গ্রহণ করল (এ হিসেবে যে,বাকী রাখাও একটা লাভ)। এ হাদীছে উল্লেখিত ছয় প্রকারের বাইরে তবে একই প্রকার ভুক্ত।
কিয়াসের বুনিয়াদ কখনো হয় ইজমা উপর। যেমন উম্মতের সর্বসম্মত মত হল কোন প্ররুষ কোন নারীর সাথে সহবাস করলে ঐ নারীর মা ঐ পুরুষের জন্য হারাম হয়ে যায়। এখন হযরত ইমাম আবূ হানিফা (রহঃ) এর উপর কিয়াস করে বলেছেন,কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে যেনা করলেও ঐ নারীর মা ঐ পুরুষের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?
সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন