ইসলামী ব্যাংকিং এর ইতিহাস
04:35:31 06/15/2024
ইসলামী ব্যাংকিং এর ইতিহাস
প্রথমেই আমি সংক্ষেপে আরজ করতে চাই যে, ইসলামী ব্যাংকিং বা সুদবিহীন ব্যাংকিং এর যে রূপরেখা উত্থিত হয়েছে, তা নতুন কোন বিষয় নয়। বরং এ বিষয়ে আমার যৎসামান্য কাজ করার সুযোগ হয়েছে। যার ফলে লোকেরা ভেবেছে যে, আমি এর আবিষ্কারক ও উদ্ভাবক। আমি সর্বপ্রথম কাজ শুরু করেছি অথচ বিষয়টি এমন নয়।
মূলত সুদ এমন একটি কবিরা গুনাহ, যার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা এমন কঠোর শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা অন্য কোন গুনাহ সম্পর্কে ব্যবহার করেননি। সুদ দাতা গ্রহীতা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন (তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও) এই সতর্কবাণী ব্যভিচার সম্পর্কে উচ্চারণ করা হয়নি, মদপান সম্পর্কে উচ্চারণ করা হয়নি, জুয়া সম্পর্কে উচ্চারণ করা হয়নি, অন্য কোন গুনাহ সম্পর্কে উচ্চারণ করা হয়নি।
কিন্তু দু’দশক পূর্বে প্রাশ্চাত্যের আধুনিক গবেষকগণ এক গবেষণা পেশ করেছে যে, ব্যাংকের সুদ এর অন্তর্ভুক্ত নয়, যাকে কুরআন কারীম হারাম ঘোষণা করেছে। রিভার নামে ঐ সকল আধুনিক গবেষকগণ যে প্রবন্ধ রচনা করেছে তাতে তারা এ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে যে, মূলত দুজন দরিদ্র ব্যক্তিরা করে থাকে। কিন্তু ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে যা প্রদান করা হয়, তা কুরআনে নিষিদ্ধ অন্তর্ভুক্ত নয়।
এর বিরুদ্ধে আমার কয়েকটি প্রবন্ধ লেখার তৌফিক হয়েছে। পরবর্তীতে তা আদালতে উত্থাপিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে। সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ এর উপর পর্যালোচনা হয়েছে। আমরা সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ হতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ব্যাংক সমূহের সুদও কুরআনুল কারীমে নিষিদ্ধ ‘রিবা’ এর অন্তর্ভুক্ত। সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত শরীয়া ব্যাঞ্চ ভেঙে দেয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে আমাকে পৃথক হতে হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তা’লার দরবারে অশেষ কৃতজ্ঞতা যেসব প্রমাণাদি ওলামায়ে হক্কানির প্রচেষ্টার ফলে উত্থাপন করা হয়েছে সেগুলোর আলোকে এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে যে, সকল প্রকার এবং সুদের সকল পদ্ধতি চাই তা অল্প পরিমাণে হোক কিংবা বড় কোন ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে হোক সর্বাবস্থায় তা হারাম।
সুতরাং
ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ একটি কবিরা গুনাহ। যে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য সেটা ছোট হোক অথবা বড় পর্যায়ের। সর্বাবস্থায় সুদ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। তা না হলে আল্লাহ তা’আলা এর জন্য আমাদেরকে শাস্তি দান করবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুদ ও হারাম কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন।