ইসমাইল (আ) এর জন্ম ও ইতিহাস
04:42:46 06/15/2024
হযরত ইসমাইল (আ) এর জন্ম ও ইতিহাস: হযরত ইব্রাহিম এ পর্যন্ত নিঃসন্তান ছিলেন। একদিন তিনি আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ আপনি আমাকে একটি সৎ সন্তান দান করুন।
সে দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেননি, আল্লাহ তার দোয়া কবুল করে তাকে সান্ত্বনা দিলেন। হযরত ইব্রাহিম এর ছোট বিবি হযরত হাজেরা (আ) গর্ভবতী হলেন। অতঃপর হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম জন্মগ্রহণ করেন।
হযরত সারা (আ) এটা জানতে পেরে মানব প্রকৃতির তাড়নায় হাজেরা (আ) এর প্রতি ঈর্ষান্বিত হলেন। তিনি হাজেরাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে লাগলেন। অবশেষে একদিন হযরত ইব্রাহিম (আ) হযরত হাজেরাকে এবং তার স্তন্যপায়ী শিশু ইসমাইলকে নিয়ে চললেন।
যেখানে বর্তমান কাবা গৃহ অবস্থিত! সেখানে একটি বড় গাছের নিচে জমজম কূপের বর্তমান স্থানের উপরের অংশে তাদেরকে ছেড়ে গেলেন। এই স্থানটি তখন জনহীন বিরাণভূমি ছিল। পানির নাম চিহ্ন পর্যন্তও ছিল না।
হযরত ইব্রাহিম এক মাশক্ (কলসি) পানি ও খেজুর তার নিকট রেখে দেন। অতঃপর মুখ ফিরিয়ে রওনা হলেন। হাজেরা তার পেছনে পেছনে বলতে বলতে চললেন যে, ইব্রাহীম (আ) আপনি আমাদেরকে উপত্যকা ভূমি ছেড়ে কোথায় যাচ্ছেন। যেখানে কোন মানুষ নেই। কোন সহায়ও নেই, কোন সুখ দুঃখের সাথী নেই।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
হাজেরা (আ)
হাজরা (আ) অনবরত এরুপ বলতে ছিলেন, কিন্তু ইব্রাহিম (আ) নিরবে চলে যাচ্ছিলেন। অবশেষে হাজেরা (আ) জিজ্ঞেস করলেন, আপনার আল্লাহ কি আপনাকে এরূপ আদেশ করেছেন। হযরত ইব্রাহিম (আ) বললেন হ্যা এটা আল্লাহতালার আদেশ।
হাজেরা (আ) একথা শুনে বললেন, যদি এটা আল্লাহর হুকুম হয়ে থাকে তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তিনি আমাদেরকে ধ্বংস ও বি নষ্ট করবেন না। অতঃপর হাজেরা ফিরে আসলেন ইব্রাহিম চলতে চলতে এক টিলার উপর এমন স্থানে পৌঁছলে যে, তাঁর পরিবারবর্গ হাজেরা ও ইসমাইল দৃষ্টিপথ হতে অদৃশ্য হয়ে গেলেন।
তখন বর্তমান কাবাগৃহের তদানীন্তন শূণ্যস্থানের দিকে মুখ করে হাত উঠিয়ে দোয়া করলেন। হে আমাদের পরওয়ারদিগার আমি আমার কত আওলাদকে এমন এক ময়দানে যেখানে কৃষির নাম চিহ্ন নেই। আপনার সম্মানিত ঘরের নিকটে এসে বসবাস করতে রেখে দিলাম, যেন তারা নামাজ কায়েম রাখে।
অতএব আপনি এমন করে দিন, যেন লোকদের অন্তর তাদের দিকে আকৃষ্ট হয়ে যায় এবং তাদের জন্য জমিন হতে উৎপন্ন শস্যাদি রিজিকের সরঞ্জাম প্রস্তুত করে দিন, যেন তারা আপনার শোকর আদায় কারী হয়। (সূরা ইব্রাহীম আয়াত ৩৭)