জান্নাতের সুখ ও শান্তী - Jannater sukh Santi
14:34:03 06/13/2024
জান্নাতের সুখ ও শান্তী: হাদীস শরীফে আছে, এক জান্নাতী জান্নাতে বসা থাকবে। আল্লাহ্ তায়ালা তার সামনে জান্নাতের একটি দৃশ্য উন্মুক্ত করবেন। যা দেখে, সে জান্নাতির সত্তর বছর কেটে যাবে। সে তার চোখের পলক ফেলতেও ভুলে যাবে। জান্নাতের এক দিন হাজার বছরের সমান হবে। এক সাপ্তাহ সাত হাজার বছরে পূর্ণ হবে। কিন্তু সময় কোন দিক দিয়ে অতিক্রম করবে তা বুঝতেই পারবে না।
আল্লাহর হিসাবে হাজার বছরে এক দিন হবে। মনে হবে মাত্র এক মিনিট অতিক্রম হয়েছে। স্বামী স্ত্রী একে অন্যকে দেখতে থাকবে। স্বামীদের চেহারা এত সুন্দর রুপ হবে স্ত্রী স্বামীর দিকে তাকিয়ে এক পলকে চল্লিশ বছর কেটে যাবে।
আমার আল্লাহর কসম, প্রথম যখন দৃষ্টি পড়বে, এক পলকেই চল্লিশ বছর কেটে যাবে। তারা চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাবে। দৃষ্টি অবনত হবে না। ডান বাম খেয়াল থাকবে না।
আর সে হুরগণকে দেখে জান্নাতীরা আত্মহারা হয়ে যাবে। এ সে হুর , যার আঙ্গলের একটি অংশ যদি সূর্যের সামনে রাখা হয়, তাহলে সূর্যের আলো ম্লান হয়ে যাবে। সে হুর যদি দুনিয়ার সমুদ্রে থুথু নিক্ষেপ করে, তাহলে সমুদ্রের পানি মধুর চেয়েও মিস্টি হয়ে যাবে।
মৃতের সাথে যদি কথা বলে, তাহলে মৃত জীবিত হয়ে যাবে। যদি জীবিত মানুষের সাথে কথা বলে, ওরনা যদি বাতাসে নাড়া দেয় তাহলে সমস্ত জগত সুগন্ধিতে মৌ মৌ করে উঠবে।
একটি চুল যদি পৃথিবীতে যদি ফেলে দেয়, তাহলে সমস্ত পৃথিবী আলোকিত হয়ে যাবে। আল্লাপাক বলেন,
এরপরও তোমরা আমার কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে।
আল্লাহ আরও বলেন, তোমরা ব্যভিচার করো না। আমার পাবন্দি করো। আমি জান্নাতী হুরদের সাথে তাদের বিবাহ দিবো। আর আল্লাহ বলেন, আর যে আল্লাহর সামনে উপস্হিত হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্য দুটি জান্নাত। উভয় উদ্যানে রয়েছে প্রবাহমান দুই প্রস্রবন। সেখানে থাকবে আনতনয়না রমনীগণ, কোনো জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।
আল্লাহতায়ালা তাদের আগুন পানি মাটি বাতাস দিয়ে তৈরী করেননি। তাদেরকে তৈরী করেছেন, মেশকে আম্বর ও জাফরান ও কর্পুর দিয়ে। পায়ের আঙ্গল থেকে নিয়ে হাটু পর্যন্ত আম্বর ও জাফরানের তৈরী। হাঁটু থেকে বুকের ছাতি পর্যন্ত মেশকের তৈরী। বুকের ছাতি থেকে গ্রীবা পর্যন্ত আম্বরের তৈরী। গ্রীবা থেকে মস্তক পর্যন্ত কর্পুরের তৈরী। এ হলো জান্নাতের আনতনয়না হুরগণ। এরপর আল্লাহতায়ালা তাদের জান্নাতের পানি দ্বারা ধৌত করেছেন।
ঢেলে দিয়েছেন ইলাহী নূর। তার মধ্যে সৃস্টি হয়েছে ঝলক। তারপর সেজেছে পূর্ণ যৌবনা বধু। তারা প্রস্রাব পায়খানা নাপাকী থেকে মুক্ত। হায়েজ নেফাস কিংবা বার্ধক্য কখনও তাদের স্পর্শ করবেনা। চিরস্থায়ী থাকবে তাদের রুপ-যৌবন। গর্ভধারণ করবে না। তাদের মৃত্যু হবে না । বিশ্বাসঘাতকতা, গালমন্দ এবং সব রকমমের চারিত্রিক ত্রুটি থেকে মুক্ত।
তাদের এসব গুনাবলীর কথা বলেছেন হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং। আল্লাহ আমাদের সকলকে জান্নাতের নেয়ামত লাভ করার তাওফীক দান করুন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের উপায়