Narrow selection

জন্মদিন পালন করা কি যাবে?


14:33:04 06/15/2024

ইসলামী শরিয়াহ মতে দিবস পালন করা জায়েয?

ভ্যালেন্সটাইন ডে বা ভালবাসা দিবস বাংলাদেশে ১৯৯৩ খ্রি. থেকে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। রুমান একজন খৃষ্টান পাদ্রীর নাম সেন্ট ভ্যালেন্সটাইন। তার নাম ও কাহিনী অনুসারে নাম করণ ও দিবসটির প্রচলন হয়ে আসছে। তিনি একজন দক্ষ চিকিৎসক ছিলেন। ফলে তার জনপ্রিয়তার অভাব ছিল না। এমন কি রোমান সম্রাট থেকেও তার জনপ্রিয়তা বেশী ছিল।

 

এজন্য রোমান সম্রাট ঈর্ষাণ্বিত হয়ে ১৪ ফেব্র“য়ারী ৪৯৬ খিৃষ্টাব্দে তাকে হত্যা করে। সেন্ট ভ্যালেন্সটাইনের নামে পোপ জুলিয়াস ১৪ ফেব্র“য়ারীকে সেন্ট ভ্যালেন্সটাইন ডে হিসাবে প্রথমে ঘোষণা করেন। আরো কিছু ঘটনা ও তথ্য এ বিষয়ে পাওয়া যায়। তবে সব ঘটনার মূল কথা হচ্ছে বিষয়টি এবং দিবসটির সহিত মুসলমানদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। দিবসটির সহিত খৃষ্টানদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় তারা এটাকে ব্যাপক ভাবে পালন করে থাকে। ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। যাতে রয়েছে নিজস্ব চিন্তা ধারা, কৃষ্টি-কালচার, সভ্যতা, সংস্কৃতি, আকিদতা, বিশ্বাস, মূল্যবোধ, ইবাদত, আচার-অনুষ্ঠান, সভ্য,

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন

 

শালীনতা মানবিকতা, সুন্দর সুষম জীবন ধারা ইত্যাদি। মুসলিম জাতি যতদিন পর্যন্ত নিজেস্ব সংস্কতি ও কৃষ্টি কালচারের উপর অধিষ্ঠিত ছিল ততদিন তারা বিশ্ব সভ্যতার কেন্দ্র বিন্দু ছিল। তারাই বিশ্ববাসিকে সভ্যতা শিখিয়ে মানব জাতিকে ধন্য করেছিল। মানব জাতির উত্তম আদর্শের রূপ রেখা তো তারাই রচনা করেছেন। কিন্তু বড়ই পরিতাপ ও আফসোসের বিষয় হচ্ছে যে, মুসলমানরা সেই অমূল্য সম্পদ যা দ্বারা বিশ্ববাসীর কাছে তারাছিল নন্দীত তা থেকে আজ মুসলমান বহু দূরে।

 

তাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি আজ আগ্রাসনের শিকার। মুসলিম জাতি আজ অপ-সংস্কৃতির বিষাক্ত ছোবলে রক্তাক্ত হয়ে দিশাহারা। ইসলামের শক্ররা তাদের সুদূর প্রসারী  ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্রের নীল নক্শার অংশ হিসাবে এ দিবসটিকে মুসলিম যুব সমাজে প্রচলন ঘটিয়ে নাজায়েজ পন্থায় প্রেমপত্র, প্রেমকার্ড বিনিময় ফুল ও বই বিনিময় প্রেমিক-প্রেমিকার একান্ত আড্ডা, প্রেম ও ভালবাসা বিনিময়, লজ্জাহীন অবৈধ, হৈ-হোল্লা যা যুব সমাজ সহ গোটা মুসলিম সমাজটাকেই কুলুষিত করছে। এ দিবসের সাথে আমাদের দেশীয় জাতীয় এবং ধর্মীয় কোন রূপ সম্পর্ক নেই।

 

সুতরাং যে দিসের সঙ্গে আমাদের ধর্মীয় ও জাতীয় অনুভূতির কোন রূপ সম্পর্ক নেই সে দিবসকে পালন করে আমরা মুসলমান বীরের জাতি কেন ধবংসাক্ত ছবলে আক্রান্ত হচ্ছি। যে ব্যক্তি, যে জাতির মতবাদের অনুসারী হবে তার হাসর ঐ জাতির সঙ্গে হবে। আল হাদিস

 

অতএব, হে যুব সমাজের তরুণ-তরুণীরা এবং মুসলিম সমাজের সকল ভাই-বোনেরা আসুন আমরা নিজেস্ব সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হই এবং মুসলিম বিদ্বেষী আগ্রাসন থেকে নিজেকে রক্ষা করে মুসলিম সভ্যতায় জাতিকে আলোকিত করি। আল্লাহ্ পাক আমাদের তৌফিক দিন। আমিন

 

নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?

সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color