কিডনির পাথর লক্ষণ - Kidney stone symptoms
07:04:21 12/11/2023
কিডনির পাথর লক্ষণ সমাধান : হাড় মজবুত রাখতে এবং হাড়ের অসুখের জন্য ক্যালসিয়াম খেতে বলা হয়। ক্যালসিয়ামের অভাবে অস্টিও ম্যালেশিয়া, রিকেটস এবং অস্টিও পোরোসিস হতে পারে।
অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কিডনিতে পাথর হবার কারণ হতে পারে। ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনির পাথরই ক্যালসিয়াম অক্সালেট। আর একবার কিডনিতে পাথর হলে বারবার পাথর হওয়ার আশংকা থেকে যায়।
কিডনিতে একবার পাথর হলে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে নানা বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। বিশেষত ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটযুক্ত খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনের বেশি ক্যালসিয়াম শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করা দরকার। যাতে বাড়তি ক্যালসিয়াম অক্সালেট কিডনিতে জমতে না পারে।
অ্যাসিডিক ইউরিনে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অ্যালকালাইন ইউরিনে এ সমস্যা হয় না। অক্সালিক এসিডযুক্ত খাবার যেমন- পালং শাক, টমেটো, আমলকি, শসা, ফুলকপি, মাশরুম, বেগুন; কার্বোনেটেড পানীয় যেমন কোক, চা, কফি ইত্যাদি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া দরকার। একেবারে খাবেন না সে কথা কিন্তু বলা হচ্ছে না।
আর দুধ একেবারে না খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। যাদের পাথর হওয়ার প্রবণতা আছে তাদের রক্ত ও ইউরিন বা প্রস্রাব পরীক্ষা করে ক্যালসিয়ামের ডোজ ঠিক করা দরকার। আরেকটি কথা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দু গ্লাস পানি পান করে ঘুমাতে যান এবং মাঝরাতে প্রস্রাব করে আবার দু গ্লাস পানি পান করে পুনরায় ঘুমাতে যাবেন। কেননা কিডনির পাথরগুলো মাঝরাতে তৈরি হয়। তাই এ নিয়মে পানি পান করা ভালো।