কুসংস্কার ও কু প্রথা কি?
14:28:32 06/15/2024
কুসংস্কার ও কু প্রথা কি? বর্তমান সমাজের কিছু কুসংস্কার বা কু-প্রথার সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা পেশ করা হলো। যা থেকে প্রত্যেক মুসলমানকে বিরত থাকা একান্ত প্রয়োজন।
১) প্রচলিত মিলাদ ও কিয়ামের অনুষ্ঠান ২) ১০ মহররম বা আশুরার দিবসে তাজিয়া মিছিল, শোকতাপ পালন, ছিন্নি সালাত ইত্যাদি ৩) সবে বরাতের হালুয়া-রুটির প্রথা ৪) ১২ রবিউল আউয়ালে ঈদে-মিলাদুন্নবী, জাশনে জুলুস ও আনন্দ মিছিল ৫) বিশ্বনবীকে আলেমুল গায়িব মনে করা ৬) বিশ্বনবীকে সর্বস্তরে বিরাজমান তথা হাজির ও নাজির মনে করা ৭) বিশ্বনবী (সা.) নূরের তৈরী মনে করা ৮) কবরের উপর গম্বুজ নির্মাণ ৯) কবর পাকা করা ১০) কবরের পাশে ঔরশ করা ১১) কবরকে সিজদা করা ১২) ১১ই শরীফ পালন করা ১৩) পীরকে সিজদা করা ১৪) নেওয়াজ পাক বলে খিচুরীকে সিজদা করা
১৫) দেওয়ান পাক পাঠ করা ১৬) কোন কবরকে মাজার বানানো ১৭) নবজাতক সন্তানকে বিজাতীয় নাম রাখা ১৮) কারও নিকট প্রবেশ কালে মাথা নিচু করা ১৯) বিদায়কালে জোড় হাত করে পিছপা হওয়া ২০) আল্লাহ্ ছাড়া কারও নামে কসম খাওয়া ২১) জন্ম দিবস পালন করা ২২) মৃত্যু দিবস পালন করা ২৩) ম্যারিজ ডে পালন করা ২৪) মাইয়্যাতের জন্য ৩, ৫, ৭, ৪০ দিন পালন করা ২৫) মাইয়্যাতের নামে তামদারী অনুষ্ঠান করা ২৬) ১ মিনিটের নিরবতা পালন করা ২৭) বর-কনের গোসন অনুষ্ঠান ২৮) গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান ২৯) কন্যার বাড়ীতে বরযাত্রীদের ধুমধামের সহিত খানা-পিনার অনুষ্ঠান করা ৩০) বৌ-ভাত অনুষ্ঠান ৩১) কোর্ট ম্যারিজ বা আদালতে বিবাহ্ করা ৩২) বৌ- প্রদর্শনী অনুষ্ঠান ৩৩) মায়োই সেলামী
৩৪) উকিল বাবার সাথে দেখা করা ৩৫) পীরের সাথে বেগানা মহিলাদের সাক্ষাত করা ৩৬) যৌতুক প্রথা ৩৭) লাশ বা কফিনে ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলী ৩৮) ড্রইং রুমে পুতুল রাখা ৩৯) চামুচ বা ছুরি দিয়ে খানা খাওয়া ৪০) বা হাতে খানা খাওয়া ৪১) বর-কনে হাতে মেহেদী অনুষ্ঠান ৪২) বিবাহে গান-বাজনা বাজানো ৪৩) কন্যাকে জোড় পূর্বক কবুল করানো ৪৪) স্ত্রীর নিকট মোহরানা মাফ চাওয়া ৪৫) বেহায়াপনার চলচিত্র ষ্টাইল ৪৬) বিউটি পার্লারে রূপ-লাবণ্য চর্চা করা ৪৬) বন্ধু-বান্ধবসহ কন্যা দেখা ৪৭) মাথায় সিঁদুর ও কপালে লাল টিপ বা ফোটা ব্যবহার করা ৪৮) নেইল পালিশ ব্যবহার করা ৪৯) সুন্দরী প্রতিযোগিতা বা মডেলিং ৫০) মারেফাতি গান ধর্মের নামে নাফরমানি ৫১) মূর্তি স্থাপন করা করা ৫২) টিভিতে অশ্লীল সিনামা দেখা
৫৩) কবরের উপর বাতি জালানো ৫৪) কবরের দিকে মূখ করে নামায পড়া ৫৫) ষাঁড়ের লড়াই ৫৬) কবুতর বাঁজি ৫৭) ব্লু ফিল্ম ৫৮) তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ভিউকার্ড, ঈদ কার্ড বিনিময় ও বেপরোয়া চলাফেরা ৫৯) পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা ৬০) গনকের কথা বিশ্বাস করা ৬১) কোন কিছুতে অশুভ লক্ষণ মনে করা ৬২) খাৎনা উপলক্ষে ৭ দিন পালন করা ৬৩) বিভিন্ন মেলায় যাওয়া এবং ক্রয় বিক্রয় করা ৬৪) জুয়াখেলা, তাস খেলা ৬৫) মৃত্যু ব্যক্তির ঘরে ৭ দিন বাতি জ্বালানো ৬৬) মৃত্যু ব্যক্তির জন্য ৩ দিন এবং স্বামী হলে ৪ মাস ১০ দিনের বেশী শোক-তাপ পালন করা
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
৬৭) মাজারে মানত করা ৬৮) বিজাতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করা ৬৯) আকিকার অনুষ্ঠান করে উপঢৌকন গ্রহণ করা ৭০) শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া ৭১) পুরুষের মাথায় মহিলাদের মতো চুল ও মহিলাদের লেবাস পরিধান করা, তদরুপ মহিলাদের মাথায় পুরুষদের মতো চুল ও পুরুষদের মতো লেবাস পরিধান করা ৭২) ১ এপ্রিলে এপ্রিল ফুল পালন করা ৭৩) মৃত্যুর ব্যক্তির লাশের সহিত সিজারা প্রদান করা ৭৪) কবরে বা মাজারে দান বক্স রাখা ও তাহাতে দান করা ৭৫) ভন্ডপীরের নিকট মুরীদ হওয়া ৭৬) মাজারকে গোসল করানো ৭৮) কবরকে চুম্বন করা ৭৯) কবরকে তাওয়াফ করা ৮০) হিন্দুদের পূজায় যোগদান করা ৮১) সালামের পরিবর্তে স্যালুট বা নমস্কার বলা ৮২) মুরীদ হওয়াকেই নাজাতের জন্য যথেষ্ঠ মনে করা
৮৩) ফরজ নামাযে সালাম ফিরানোর পর ইমাম মুক্তাদী সম্মিলিত ভাবে নামাযের মতই জরুরী মনে করে নামাযের অংশ হিসাবে মোনাজাত করা। উল্লেখ্য যে, তাকবীরে তাহ্রীমা থেকে সালাম পর্যন্ত যা কিছু আমল করা হয় উহাকে নামায বলা হয়। অতএব, মোনাজাত নামাযের কোন অংশ নয়, বিধায় সালাম ফিরানোর পর ইমাম-মুক্তাদীদের জন্য মোনাজাত করা বা না করা এটা তাদের ইচ্ছাধীন। ইচ্ছা করলে কেউ মোনাজাত করতেও পারে আবার নাও করতে পারে। এব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই
৮৪) ইমাম নিযুক্ত করে দিন, তারিখ ও সময় নির্ধারণ করতঃ এলানের মাধ্যমে সকলকে একত্রিত করে অতি মাত্রায় জোরে আওয়াজে সম্মিলিত ও সমস্বরে সুর মিলিয়ে জিকির করা। উল্লেখ্য যে, আল্লাহ্ পাকের জিকির এমন একটি নেক আমল যার জন্য কোন সময়, তারিখ ও আনুষ্ঠানিকতা নির্ধারণ নেই। সুতরাং চলতে, ফিরতে, উঠতে-বসতে, শুইতে, ঘরে-বাহিরে, রাস্তা-ঘাটে, বাসে, লঞ্চে, ষ্টীমারে, জাহাজে, বিমানে, ভ্যান, রিক্সাতে একাকি বা মসলিসে আস্তে বা স্বাভাবিক মধ্যম আওয়াজে মোট কথা সর্বাবস্থায় আল্লাহ্ পাকের জিকির করার নির্দেশ রয়েছে। যা সহীহ্ শুদ্ধ রূপে এখলাসের সহিত আমল করতে পারলে সহজেই আল্লাহ্ পাকের ওলী হওয়া যায়।
সর্বাবস্থায় সহীহ্-শুদ্ধ ও এখলাসের সহিত আল্লাহ্ পাকের জিকির ব্যতিত আল্লাহ্ পাকের ওলী হওয়া অসম্ভব। অতীত ও বর্তমানে হক্বানী বুজুর্গানে দ্বীনের যে সকল হালকা ছিল বা রয়েছে তাতে জিকিরের সাথে সাথে পবিত্র কুরআন থেকে মশ্ক বা তা’লিম এবং মাছলা-মাছায়েলের শিক্ষা পবিত্র কুরআন সুন্নাহ্র আলোকে বয়ানের মাধ্যমে এসলাহি তরবিয়তের ব্যবস্থা থাকার কারণে উক্ত মজলিশ বা হালকা বিদআত বা কু-প্রথার অন্তর্ভূক্ত নয়।