সাওর গুহায় অবস্থান
সাওর গুহায় অবস্থান
মহানবী সা. এই পর্বতের এক গুহায় গিয়ে অবস্থান করলেন। এদিকে এই কুরাইশ যুবকরা সকাল পর্যন্ত মহানবী সা. এর বাইরে বের হওয়ার প্রতীক্ষায় রইল । অবশেষে জানা গেল যে, সেখানে মুহাম্মদ সা. এর পরিবর্তে হযরত আলী রা. শুয়ে আছেন। তারা সাংঘাতিক পেরেশান হল এবং চতুর্দিকে মহানবী সা এর অন্বেষণে লোক পাঠাল। মহানবী সা.কে পাকড়াও করার জন্য এক শত উট পুরস্কারের ঘোষণা করল। অনেক লোক মহানবী সা. এর খোঁজে বের হল ।
কিছু পদচিহ্ন-বিশারদ লোক পায়ের চিহ্ন ধরে চলতে চলতে ঠিক গুহার পাড়ে পৌঁছেও গেল। যদি তারা সামান্য ঝুঁকে দেখত তাহলে মহানবী সা.কে পরিস্কারভাবে দেখতে পেত। সে সময় হযরত সিদ্দিকে আকবার চিন্তিত হলেন। মহানবী সা. বললেন, ঘাবড়িও না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাথে রয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালার কুদরত যে, তাদের সকলের দৃষ্টি গুহা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হল । কেউ ঝুকে দেখল না; বরং তাদের সবচেয়ে চতুর ব্যক্তি উমাইয়্যা ইবনে খালফ বলল, এখানে তার অবস্থান অসম্ভব। কেননা, আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে ঐ গুহার মুখে রাতারাতি মাকড়সা জাল বুনিয়েছে এবং জংলী কবুতর বাসা বানিয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা. ও সিদ্দিকে আকবর সেই গুহায় একাধারে তিনরাত আত্মগোপন করেছিলেন।
এমনকি, অন্বেষণকারীরা নিরাশ হয়ে বসে পড়ল।
এই তিন দিনে সিদ্দিকে আকবরের পুত্র আব্দুল্লাহ রাতে গোপনে নিয়মিত তাঁদের কাছে আসতেন। সকাল হবার পূর্বেই মক্কায় পৌঁছে যেতেন। কুরাইশদের খবর নিয়ে রাতে মহানবীর কাছে বর্ণনা করতেন। তাঁর বোন আসমা বিনতে আবু বকর প্রতি রাতে খাদ্য মহানবীর কাছে পৌছাতেন। যেহেতু আরবের লোকেরা পদ চিহ্ন ভালরূপে চিনত তাই আব্দুল্লাহ তার দাসকে বলে দিয়েছিলেন যে, প্রতি দিন বকরি চরানোর জন্য ঐ গুহা পর্যন্ত যাবে, যাতে তাদের পদচিহ্ন মিশে যায়।