আল্লাহ মাখলুককে কত ভালোবাসেন? - Majhluker proti valobasa
04:09:02 06/15/2024
হযরত নূহ (আ.) এর ঘটনা: হযরত নূহ (আ.) এর সময়ে যখন তুফান এলো তখন পুরো জাতি ধ্বংস হয়ে গেলো। তুফান থেমে যাওয়ার পর আল্লাহ তায়ালা হযরত নূহ (আ.) কে নির্দেশ দিলেন, এখন তোমার কাজ হলো মাটির পাত্র তৈরি করা। তিনি তৈরি করতে লাগলেন।
এভাবে কয়েকদিন মাটির পাত্রের বিশাল স্তুপ গড়ে উঠলো। হযরত নূহ (আ.) কে আল্লাহ পাক এবার আদেশ দিলেন’ মাটির পাত্রগুলো এবার একটি একটি করে ভেঙে ফেলো।নূহ (আ.) আরয করলেন’ হে আল্লাহ ! আপনার নির্দেশে অনেক কষ্টে মাটির পাত্রগুলো তৈরি করেছি।
এখন আবার এগুলো ভাঙতে বলছেন? আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করলেন’ এটা আমার নির্দেশ। পাত্রগুলো একটা একটা করে ভেঙে ফেলো। নূহ (আ.) একটা একটা করে পাত্রগুলো ভেঙে ফেললেন। কিন্তু তার মনে বেদনার দাগ বসে রইলো।
তিনি কেবলই ভাবছিলেন’ এতো কষ্ট করে পাত্রগুলো বানালাম’ তারপর আবার ভেঙে ফেললাম! তারপর আল্লাহ তায়ালা হযরত নূহ (আ.) কে বললেন’ হে নূহ ! তুমি আমারই নির্দেশে নিজ হাতে এ পাত্রগুলো তৈরি করেছো। আর তাতেই মাটির এ পাত্রের প্রতি এতোভালোবাসা! আমি যখন ভাঙতে বলেছি তখন তুমি ভাঙতে পারছিলে না।
তুমি চাচ্ছিলে তোমার হাতে তৈরি মাটির পাত্রগুলো কোনো মতে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাক। কারন’ এগুলোর প্রতি তোমার অন্তরের ভালবাসা রয়েছে। অথচ তুমি জান না’ এ জগতের সকল সৃষ্টি আমি আমার হাতে তৈরী করেছি। অথচ তুমি তোমার আমাকে বলেছ হে আল্লাহ! এপৃথিবীর বুকে যেনো অবিচারী একজন কাফেরও অবশিষ্ট না থাকে। তুমি আবেদন জানালে’ আর আমি সকলকে ধ্বংস করে দিলাম ।
এখানে আল্লাহ তায়ালা মূলত নূহ (আ.) এর দৃষ্টি আকর্ষণ কলে এ কথা বুঝাতে চেয়েছেন।মাটি দিয়ে তুমি তোমার হাতে পাত্র তৈরি করেছো বলে তার প্রতি তোমার মমতার শেষ নেই । অতচ এ পাত্র তৈরির মাটি তো আর তোমার সৃষ্টি করা ছিলো না।
আর এ পাত্রও তুমি তোমার ইচ্ছায় তৈরি করোনি, তৈরি করেছিলে আমার নির্দেশে । তারপর এ পাত্রের প্রতি তোমার ভালোবাসা এতো গভীর । সুতরাং একবার ভেবে দেখ, আমার মাখলুকের প্রতি আমার ভালোবাসা কেমন! তাই আমাকে ভালোবাসতে হলে আমার মাখলুককে ভালোবাসতে হবে।