কোরবানির আমল ও ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
04:40:04 06/15/2024
কোরবানির আমল ও ফজিলত
১। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুল (স) মদীনা মুনাওয়ারায় ১০ বছর অবস্থান করেছেন। আর প্রতি বছর কোরবানি দিয়েছেন। আর একটি হাদীসে হযরত বারা (রা) থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, একবার বকরা ঈদের দিন রাসুল (স) সাহাবাদেরকে সাথে নিয়ে মদিনার কবরস্থান জান্নাতুল বাকি অভিমুখে চললেন।
সেখানে প্রথমে মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন। তারপর সকলকে সম্বোধন করে বললেন, আজ আমাদের প্রথম কাজ ছিল নামাজ পড়া। তারপর কুরবানী করা। যে ব্যক্তি এরূপ আমল করল সে আমার তরিকার উপরে থাকবে।
আর যে ব্যক্তি নামাযের পূর্বেই কুরবানী করল, তার কুরবানী সঠিক হয়নি। বরং তার কুরবানীর গোশত খাওয়ার জন্যই হলো। সাওয়াবের সাথে এর কোন সম্পর্ক থাকলো না। আর ’কুরবানী’ গোশত খাওয়া বা খাওয়ানোর নাম নয়।
বরং ইহা শরীয়তের একটি বিধান আনুগত্য ও পালন করা জরুরি। হযরত ইব্রাহিম (আ) এর স্মৃতি জীবন্ত ও প্রাণবন্ত এবং মুসলমানদের আত্মত্যাগের জন্য জযবা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
২। রাসুল (স.) আরো ইরশাদ করেছেন, কুরবানীর দিন কুরবানী করা চেয়ে প্রিয় এবাদত আল্লাহর নিকট আর কিছুই নেই। কুরবানীর দিনে এটি শ্রেষ্ঠ সওয়াবের কাজ আর কোরবানি করার মুহূর্তে রক্তের ফোঁটা মাটিতে পড়ার পূর্বে আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হয়। তাই প্রাণ খুলে তোমরা কোরবানি করো।
এর চেয়ে বড় সাওয়াব আর কি হতে পারে। এক কোরবানির দাঁড়ায় লাখ লাখ নেকি মিলে যায়। যদি কেবলমাত্র ভেড়ার পশম কোন লোক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনা করে তাহলেও সে ব্যর্থ হবে। সুতরাং চিন্তার বিষয় কুরবানীর ফজিলত এত বেশি।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
৩। হযরত সাঈদ বিন আরকাম (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নবীজি কে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল (স.) এই কুরবানী প্রথাটা কি? রাসূল (স.) ইরশাদ করেন এটা তোমাদের পিতা হযরত ইব্রাহিম এর সুন্নাত।
সাহাবায়ে কেরাম পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ এতে আমাদের কি লাভ রয়েছে রাসুল ইরশাদ করেন যে, কুরবানীর পশুর প্রত্যেকটা চুলের পরিবর্তে একটি করে নেকি দেওয়া হয়।
আবার জিজ্ঞেস করলেন, যে সমস্ত পশুর মধ্যে পশম রয়েছে, ওইগুলোর মধ্যে কি সাওয়াব হবে? নবীজি বলেন যে, ওইগুলোতেও প্রতিটি পশমের বদলে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে (ইবনে মাযা)
আরো পড়ুন
৪। একদিন নবী করিম (স.) হযরত ফাতেমা কে ডেকে ইরশাদ করেন, হে ফাতেমা! তুমি তোমার কোরবানির জন্তুর নিকট যাও। কেননা কুরবানীর জন্তু জবাই করার পর রক্তের প্রথম ফোঁটা মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তোমার যাবতীয় গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
হযরত ফাতিমা (রা.) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ এটা কি শুধু আমার জন্যই? রাহমাতুল্লিল আলামিন জবাব দিলেন, এটা আমাদের জন্য ও সকল মুসলমানদের জন্য।
হযরত আয়েশা (রা) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন যে, করয (ধার) করে কুরবানী করব কি না? নবীজি ইরশাদ করেন হ্যা করো, আল্লাহ তাআলা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেবেন।
৫। নবীজি এরশাদ করেন তোমরা মোটাতাজা পশুর কুরবানী করো। কারণ এটা পুলসিরাতে তোমাদের সওয়ারী হবে।
৬। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবী কারীম (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না করে, সে যেন আমার ঈদগাহের নিকট না যায়। (ইবনে মাজা।