Narrow selection

অযোগ্য ব্যক্তির জন্য সুপারিশ কি জায়েয? - Recommendations for ineligible persons


06:26:17 12/04/2023

অযোগ্য ব্যক্তির জন্য সুপারিশ কি জায়েয? : প্রথম কথা হচ্ছে, সুপারিশ সর্বদা জায়েয ও সত্য কাজের ক্ষেত্রে হওয়া উচিত। শরীয়ত পরিপন্থী কাজ ও মিথ্যা বানোয়াট কাজের জন্য সুপারিশ করা কখনো জায়েয নয়। কারো সম্পর্কে জানেন যে, সে অমুক কাজ বা অমুক পদের যোগ্য নয়, অথচ সে কাজটি অথবা পদটির জন্য আবেদন করে রেখেছে। আর আপনার কাছে বারবার ধরনা দিচ্ছে একটু সুপারিশ করার জন্য। আপনিও তার আর্থিক দৈন্যতার দিকে তাকিয়ে হয়তো লিখে দিলেন, তাকে অমুক পদমর্যাদা অথবা অমুক চাকুরি দেয়া যেতে পারে। এ ধরনের সুপারিশ নাজায়েয সুপারিশ।

সুপারিশ মানে সাক্ষ্য

কারণ, 'সুপারিশ' যেমন তার অভাব মেটানোর মাধ্যম, তেমনি একপ্রকার সাক্ষ্য দেয়াও বটে। আপনার সুপারিশ করার অর্থ হচ্ছে- একথার সাক্ষ্য দেয়া যে, 'আমার দৃষ্টিতে লোকটি এ কাজের উপযুক্ত। অতএব, আমি আপনার নিকট এ সুপারিশ করছি যে, তাকে এ কাজ দেয়া, হোক। সুপারিশ করা মানে সাক্ষ্য দেয়া। সাক্ষ্য প্রদানে খেয়াল রাখতে হয়, যেন তা বাস্তবতার পরিপন্থী না হয়। অতএব, অযোগ্যের ব্যাপারে সুপারিশ করা হারাম। তখন যে সুপারিশ সওয়াবের বিষয় ছিল, সেটা উল্টো গুনাহের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

আর এটা এমন একটি গুনাহ যে, যদি আপনার সুপারিশের কারণে কোনো অযোগ্য ব্যক্তির পদমর্যাদা মিলে, তবে সে ওই পদে থেকে তার অযোগ্যতার কারণে যত ভুল কাজ করবে অথবা মানুষকে কষ্ট দেবে, সবগুলো ভুল বা ক্ষতির একটা অংশ সুপারিশকারীর কাঁধেও বর্তাবে। কারণ, এই অযোগ্য এতদূর পৌঁছার পিছনে সুপারিশকারীর হাত ছিল। আবারো বলছি- সুপারিশ হওয়ার পাশাপাশি সাক্ষ্যও বটে। নাজায়েয কাজের জন্য সুপারিশ করা বা সাক্ষ্য দেয়া কখনো জায়েয হতে পারে না।

পরীক্ষকের কাছে সুপারিশ করা

কোনো এক সময় ইউনিভার্সিটির এম এ ইসলামি ষ্টাডিজের উত্তরপত্র দেখার জন্য আমার কাছেও পাঠানো হতো। আমিও গ্রহণ করতাম। গ্রহণ করতে না করতেই আমার কাছে মানুষের কাতার লেগে যেত। কখনো টেলিফোনে, কখনো সাক্ষাতে। দৃশ্যত বহু দ্বীনদার, আমানতদার এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিও আমার নিকট শুধু এ উদ্দেশ্যেই আসত। তাদের হাতে থাকত নম্বরের একটি তালিকা, তালিকাটি ধরিয়ে দিয়ে আমাকে বলত,  এ নম্বরবিশিষ্টদের প্রতি একটু বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন।


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color